জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
هَمَّام [همم]
[হাম্মাম] শব্দের অর্থঃ-
আগ্রহী
আকাঙ্ক্ষী
উচ্চাভিলাষী
উদ্যমশীল
উদ্বিগ্ন।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার স্বালাত বাতিল হয়ে যাবেনা।
(০২)
সালামের জবাব দেওয়া আবশ্যক। কারণ, আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآ
আর যখন তোমাদেরকে সালাম দেওয়া হবে, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তম সালাম দেবে। অথবা জবাবে তাই দেবে। (সূরা আন নিসা ৮৬)
শরীয়তের বিধান হলো লিখিত সালামের জবাব লিখেও দেওয়া যায় আবার মুখে উচ্চারণ করেও দেওয়া যায়।
,
এক্ষেত্রে মৌখিক জবাব তাকে শুনিয়ে দেওয়া জরুরি নয় এবং সালামের জবাবের জন্য তাকে পাল্টা উত্তর লেখা কিংবা ফোন করে বা মেসেজ করে জানানো কোনোটিই জরুরি নয়। বরং একাকী মুখে জবাব দিয়ে দিলেই হবে।
-ফয়যুল কাদীর ৪/৩১; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১৫
তাই ফেসবুক,ইমো ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেহ যদি কাউকে সালাম দেয়,তাহলে সেই মেসেজ তার সামনে পরলে তাকে জবাব দিতে হবে।
লেখাটির জবাব দেবার ইচ্ছে থাকলে লিখার সময় সালামের জবাব লিখে দিবে। আর না দেবার ইচ্ছে থাকলে মুখে জবাব দিয়ে দিবে।
তবে উত্তম ও উচিত হল, লেখাটি পড়ার পর পরই মৌখিক জবাব দিয়ে দেবে। কারণ পরে যদি লেখার জবাব দেয়া না হয়, তাহলে যেন ওয়াজিব ছুটে যাবার গোনাহ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
,
وَيَجِبُ رَدُّ جَوَابِ كِتَابِ التَّحِيَّةِ كَرَدِّ السَّلَامِ.
وفى رد المحتار- (قَوْلُهُ وَيَجِبُ رَدُّ جَوَابِ كِتَابِ التَّحِيَّةِ) لِأَنَّ الْكِتَابَ مِنْ الْغَائِبِ بِمَنْزِلَةِ الْخِطَابِ مِنْ الْحَاضِرِ مُجْتَبًى وَالنَّاسُ عَنْهُ غَافِلُونَ ط. أَقُولُ: الْمُتَبَادَرُ مِنْ هَذَا أَنَّ الْمُرَادَ رَدُّ سَلَامِ الْكِتَابِ لَا رَدُّ الْكِتَابُ. لَكِنْ فِي الْجَامِعِ الصَّغِيرِ لِلسُّيُوطِيِّ رَدُّ جَوَابِ الْكِتَابِ حَقٌّ كَرَدِّ السَّلَامِ قَالَ شَارِحُهُ الْمُنَاوِيُّ: أَيْ إذَا كَتَبَ لَك رَجُلٌ بِالسَّلَامِ فِي كِتَابٍ وَوَصَلَ إلَيْك وَجَبَ عَلَيْك الرَّدُّ بِاللَّفْظِ أَوْ بِالْمُرَاسَلَةِ وَبِهِ صَرَّحَ جَمْعُ شَافِعِيَّةٍ؛ وَهُوَ مَذْهَبُ ابْنِ عَبَّاسٍ (رد المحتار، كتاب الصلاة، فصل فى البيع)
যার সারমর্ম হলো লিখিত পত্রে সালাম থাকলে সেটার জবাব দেওয়া ওয়াজিব।
চাই সেটা লিখিত ভাবেই হোক,বা মৌখিক ভাবেই হোক।
আরো জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
এক্ষেত্রে যেদিন উক্ত ভিডিও আপলোড হয়েছে,সেদিন হতে কেউ সেই সালামের জবাব মৌখিক/লিখিত দিলেই সকলের পক্ষ থেকে তাহা আদায় হয়ে যাবে।
বাকিদের উপর সেই সালামের জবাব দেয়া ওয়াজিব হবেনা।
★উল্লেখ্য, উক্ত সালামের জবাব তাকে শুনিয়ে দেয়ার আবশ্যকীয়তা নেই।
(০৩)
আপনি মৌখিক ভাবে সালামের জবাব দিবেন।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নুন্যতম একজন ব্যাক্তিও যদি সেই সালামের জবাব দেয়,সেক্ষেত্রে আপনার উপর আর সেই সালামের জবাব দেয়া আবশ্যক থাকবেনা।
(০৪)
আপনি মৌখিক ভাবে সালামের জবাব দিবেন।