বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/3366/
নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত
ধারাবাহিক ভাবে কাহারো অজু ভেঙ্গে যেতে থাকে, তাহলে তাকে মা'যুর বলা হবে।
কোনো অসুস্থ ব্যক্তি শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত
হওয়ার জন্য শর্ত হলো,
شرط
ثبوت العذر ابتداء أن يستوعب استمراره وقت الصلاة كاملا وهو الأظهر كالانقطاع لا
يثبت ما لم يستوعب الوقت كله-
শরয়ীভাবে মা'যুর প্রমাণিত
হওয়ার জন্য কোনো নামাযের শুরু থেকে শেষ ওয়াক্ত পর্যন্ত উযর স্থায়ী থাকা শর্ত। (ফাতাওয়ায়ে
হিন্দিয়া-১/৪০)
সুতরাং যদি কোনো একদিন কোনো একটি
নামাযের সম্পূর্ণ ওয়াক্ত আপনার এমনভাবে অতিবাহিত হয় যে, বায়ু বা অন্য
কোনো উযরের কারণে ফরয নামায পড়া আপনার জন্য সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি মা'যুর। অন্যথায়
শরয়ী ভাবে মা'যুর প্রমাণিত হবেন না।
যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত
কথার কথা ১ঘন্টা ২০ মিনিট (স্থান কালভেদে বিভিন্ন হতে পারে) ধারাবাহিক অজু ভেঙ্গে যেতে
থাকে।
কোনো একটি সময় এমন না পান যে আপনি
অযু করে ছোট কিরাত দিয়ে আপনার শুধু ফরজ নামাজটি
পড়তে পারেন, তাহলে এমতাবস্থায় আপনাকে মা'যুর বলে গণ্য করে মা'যুরের হুকুম
আপনার উপর আরোপ করা হবে।
মাজূর ব্যক্তির বিধান হল, প্রতি নামাযের
সময় হবার পর একবার অজু করা আবশ্যক। পরের নামাযের সময় আসা পর্যন্ত অজু পেশাব ঝরা ছাড়া
অজু ভঙ্গের আর কোন কারণ না হলে অজু ভঙ্গ হবে না। বরং উক্ত অজু দিয়ে যত ইচ্ছে নামায
পড়া যাবে, কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি সব ইবাদতই করা যাবে। মন ছোট করা বা নিজেকে
নাপাক মনে করার কোন প্রয়োজন নেই।
উদাহরণত
যোহর নামাযের সময় হয় কথার কথা ১২
টা সময়। আর আসর সময় হয় ৪ টা সময়।
আপনি ১২ টা সময় অজু করলেন। এখন এ
অজু দিয়ে ৪টা পর্যন্ত ফরজ নামায এবং যত ইচ্ছে নফল নামায, কুরআন তিলাওয়াত
ইত্যাদি সকল ইবাদত করতে পারবেন। বায়ু বের হতে
থাকায় নতুন করে অজু করার কোন প্রয়োজন নেই।
কিন্তু যদি এর মাঝে আপনার অন্য কোন
কারণে অজু ভঙ্গ হয়, যেমন পায়খানা করলেন, তাহলে আবার নতুন করে অজু করতে হবে। এ অজুও আসর নামায পর্যন্ত
বাকি থাকবে।
আবার আসর সময় হয়ে গেলে সেই অজু ভেঙ্গে
যাবে। নতুন করে অজু করলে তা থাকবে মাগরিব পর্যন্ত। আবার মাগরিব সময় হয়ে গেলে নতুন করে
অজু করতে হবে। এভাবে প্রতি নামাযের জন্য একবার করে অজু করতে হবে। এক অজু দিয়ে সেই নামাযের
সময় থাকতে সর্ব প্রকার ইবাদত করা যাবে। নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই।
আরো বিস্তারিত জানুন-
https://ifatwa.info/3366/
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনার প্রশ্নের বিবরণ
অনুযায়ী বুঝে আসছে যে, এটা আপনার পুরো সময় ধরে হয় না। বরং কিছু সময় হয়। তাই আপনি মাযূর
হবে না। তবে আরো বিস্তারিত বললে আরো বিস্তারিত উত্তর দেওয়া যেতো।