ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে নামাজ ছাড়াও আরও একাধিক কারণে আজান দেওয়ার নজির আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
ذكره ابن كثير في "البداية والنهاية" من طريق يونس بن بكر وغيره عن هشام بن عروة عن أبيه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم أمر بلالا عام الفتح فأذن على الكعبة ليغيظ به المشركين.
রাসুলুল্লাহ সাঃ মক্কা বিজয়ের দিন বিলাল মুশরিকদের ক্রোধান্বিত করার জন্য কাবায় নামাযের আযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ذكر ابن كثير في "البداية والنهاية" عن ابن أبي مليكة قال: أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بلالا فأذن يوم الفتح فوق الكعبة، فقال رجل من قريش للحارث بن هشام: ألا ترى إلى هذا العبد أين صعد؟! فقال: دعه، فإن يكن الله يكرهه فسيغيره.
রাসুলুল্লাহ সাঃ বিলাল রাঃ কে আযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন,সুতরাং বিলাল রাঃ মক্কা বিজয়ের দিন কাবার ওপরে আযান দেন, এবং কুরাইশদের এক ব্যক্তি আল-হারিস বিন হিশামকে বলল, আপনি কি দেখতে পাচ্ছেন না এই বান্দা কোথায় গেছে?! তিনি বললেনঃ ছেড়ে দাও, যদি আল্লাহ তা অপছন্দ করেন তবে তিনি তা পরিবর্তন করবেন।
মক্কা বিজয়ের পরে রাসুল (সা.) হজরত বেলাল (রা.)-কে কাবা শরিফের ছাদে উঠে আজান দেওয়ার নির্দেশ দিলে তিনি আজান দেন। (সিরাতে মুস্তফা, ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৪৯ ও আর রাহিকুল মাখতুম, পৃষ্ঠা: ৪২১)।
তাছাড়া, মুসলমানদের প্রথম কেবলাখ্যাত ফিলিস্তিনের মসজিদুল আকসা বিজয়ের পরও আজান দেওয়া হয়। হজরত ওমর (রা.) বলেন, হে আমাদের নেতা বেলাল! আজ ইসলামের প্রথম কেবলায় ইসলামের ঝান্ডা উড়ছে, এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে যদি আপনি আজান দেন খুব ভালো হয়।
ইবনে হাজার হাইতামি বলেন, আরও যেসব কারণে আজান দেওয়া যাবে, তার মধ্যে আছে- নবজাতকের জন্ম, শয়তান বিতাড়ন, ভূমিকম্প, ভয় পাওয়া, রাগান্বিত হওয়া, কোনও ভয়ঙ্কর জন্তু দেখা, সৈন্যদলের ভিড় লাগা এবং অগ্নিকাণ্ডের সময়।