উম্মে সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ جَاءَتْ أُمُّ سُلَيْمٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحْيِي مِنَ الْحَقِّ فَهَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ مِنْ غُسْلٍ إِذَا احْتَلَمَتْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” نَعَمْ إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ فَقَالَ ” تَرِبَتْ يَدَاكِ فَبِمَ يُشْبِهُهَا وَلَدُهَا
তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ্ একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন,– হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা’আলা হক কথা বলতে লজ্জাবোধ করেন না। তাই মহিলাদের যখন স্বপ্নদোষ হয় তখন কি তার উপর গোসল করা জরুরি?– রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, যখন সে বীর্য দেখবে।– (এ কথা শুনে) উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! মহিলাদেরও কি স্বপ্নদোষ – হয়”? তিনি বললেন: তোমার উভয় হাত ধূলিময় হোক! তাহলে তার সন্তান কেমন করে তার সদৃশ হয়?” [সহীহ মুসলিম,-৫৯৯]
https://ifatwa.info/41862/ নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
ঘুম থেকে উঠে কাপড়ে আর্দ্রতা দেখলে এর সর্বমোট ১৪ টি সূরত হতে পারে।
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে এবং স্বরণ না থাকাবস্থায় এর সম্ভাব্য সাতটি সূরত হতে পারে।
স্বপ্নদোষ স্বরণ থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ (বিধান সহ) যথাঃ-
(১) বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত। (গোসল ফরয হবে)
(২) মযি সম্পর্কে নিশ্চিত। (ফরয হবে)
(৩) ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত। (ফরয হবে না)
(৪) বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান। (ফরয হবে না)
(৫) বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান। (ফরয হবে না)
(৬) মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান। (ফরয হবে না)
(৭) বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান। (ফরয হবে না)
স্বপ্নদোষ স্বরণ না থাকাবস্থায় সম্ভাব্য সাতটি সূরত নিম্নরূপ (বিধান সহ)যথাঃ-
(১) বীর্য সম্পর্কে নিশ্চিত (ফরয হবে)
(২) মযি সম্পর্কে নিশ্চিত। (ফরয হবে না)
(৩) ওদী সম্পর্কে নিশ্চিত (ফরয হবে না)
(৪) বীর্য না মযি? এ নিয়ে সন্দিহান। (তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে)
(৫) বীর্য না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান। (তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে)
(৬) মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান। (ফরয হবে না)
(৭) বীর্য না মযি না ওদী? এ নিয়ে সন্দিহান। (তারাফাইন এর মাযহাব মতে ফরয হবে) (মিনহ্তুল খালিক-১/৫৮)
বিঃ দ্র; ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম আবু ইউসুফ রাহ কে তারাফাইন বলা হয়ে থাকে এবং ইমাম আবু-হানিফা ও আবু ইউসুফকে শায়খাইন বলা হয়ে থাকে।
কমেন্ট বক্সে মোবাইল দিয়ে বা কম্পিউটারের ভিন্ন ফন্ট দিয়ে প্রশ্নটি গুছিয়ে লিখলে জবাব প্রদানে সুবিধা হতো।