আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমি মৃদুল শেখ। আমাকে দয়া করে শেষ বারের মত উত্তর দিয়ে আমাকে বাচান।আমার দুটি সন্তান রয়েছে।তারা অনিশ্চিত ভাবে বেরে উঠছে।আপিনি দয়া করে আমাকে উত্তর দিবেন।

দয়া করে আমার উত্তর দিয়ে আমাকে বাচান।আমার বউ আমার সাথ্র থাকতে চাইছে না। সমাজে কিভাবে মুখ দেখাব তা জানিন।আপনি আজকে উত্তর না দিলে আমার আত্নহত্যা ছাড়া রাস্তা খুলা থাকবে না নপ্লিন উত্তএ দিবেন। আমার বউ এর সাথে একটি খারাপ ঘটনা ঘটে আমার বাবা।হুজুর আমি যেহেতু তার হাসব্যান্ড তাই আমাকে দয়া করে জানাবেন আমার বউয়ের সাথে যা ঘিটেছে তাতে সে কি আমার জন্য হালাল আছে নাকি হারাম হয়ে গেছে প্লিজ জানাবেন আমি তার কথা তুলে ধরছি।দয়া করে জানাবেন আমার সাথে সে থাকছে না। অবেক সমস্যা হচ্ছে তাই হাসব্যান্ড হিসাবে এই উত্তরটা আমার জানা দরকার আমাকে জানাবেন আর আমার বউকে আমার সুস্থ করে তুলতে হবে উত্তরটি জানলে আমাকে দয়া করে জানাবেন হুরমত হল নাকি হয় নি।আর আমারও জানা দরকার বউয়ের সাথে ঘর করব নাকি করব না।

একটজন মেয়ের বিয়ে হয় তার আপন চাচাতো ভাইয়ের সাথে।সেই সুবাদের তার আপন চাচা তার শশুড় হয়।তার শশুড়কুনদিন তার দিকে খারাপ নজর দিয়ে তাকিয়েছে বলে সে কোনদিন দেখে নাই।তবে একদিন বাড়িতে মেয়েটি ঘরে বসে রুটি বানাচ্ছিল আর সেই মুহুর্তে তার শাশুড়ী বাজারে বাজার করতে যায় ত বাড়িতে কেউ ছিল না।পুএ বধু শালিন ভাবে বসেই রুটি বানাচ্ছিল।আর তার শশুড় পাশে  বসে ভান্ডারি গান শুনছিল।আর দুইজন বাবা মেয়ের মতো গল্প করতাছিল হটাৎ মেয়েটি জিগাস করল বাবা তুমি এসব ভান্ডারি গান কেন শোন?এরপর তার শশুর কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তাকে বলে স্ত্রীও অনেক সময় মা হয়ে যায়।তুমি চাইলে তুমার দুধ আমাকে খাওয়াতে পার।এ কথা শুনে মেয়েটি লজ্জা পায় এবং চুপ হয়ে যায় এবং সে বুজতে পারে না।কি করা উচিত।সে নিচ দিকে তাকিয়ে তার মত রুটি বানাচ্ছিল। এরপর তার শশুর তাকে জিগাস করে তুমি আবার রাগ করলা নাকি একথা বলাতে কাউকে এসব বইল না।এরপর তার শুশুর আরও কি কি কথা বলে তার কিছুই মনে নাই।তবে খুব সম্ভবত মনে পড়ে তার শশুড় বলতাছিল যে এইজে আজিকে তুমার সামি যখন কাজে গেল তখন যদি তুমি একথা বলে তার গালে কপাকে ও ঠুটে চুম্মন করে দেখায় যদি যাওয়ার সময় এমন করতে তবে ভালোবাসা বারত বা তুমাদের সম্পর্ক ভালো হতে।খুব সম্ভবত  ভাবে মনে আছে যে এই ভাবে যদি সামি কাজের যাওয়ার আগে৷  স্ত্রী কিভাবে সামিকে  চুম্মন করবে সেটা তিনি দেখাতেই তার ছেলের বউকে কপালে ঠুটে ও গালে চুম্মন করে দেখায়।আসলে ওয়াসওয়াসা রুগি এবং তা ২বছর আগে ঘটনায় স্পষ্ট মনে নাই কেন এমন করেছিল।এবং এরপর তার শশুর বলে যে আরও অনেক কিছু আছে।এবং খুব সম্ভবত বলে টিভিতে মেয়েদের দেখ না চুম্মায়।এরপর মেয়েটি রুটি বানাতে শেষ হলে তার সামি কে এই কথা বললে তার সামি রেগে গিয়ে তার শশুরকে ধরলে তার শশুর বলে আমি তরিকা সে নাকি কিসের তরিকা মানে সেটা শিখাতে এমন করে দেখাইছে তার বদ কুন নিয়ত ছিল না।এবং তার ছেলের বউকের কাছে মাফ চায় আমি ভুল করছি তরে চুমা দিয়া।তবে মেয়েটি তার শশুরকে কখন খারাপ চোখে তার দিকে তাকিয়েছে বলে সে কখন দেখে নাই বরং মেয়েটি তার সম্পর্কে ভাতিজি হলেও কুনদিন তার দিকে কু দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েছে বলে কখন দেখে নাই।তবে এই ঘটনা ঘটানুর পরবর্তিতে মেয়েটি হটাৎ দেখে তার শশুর হাটার  সময় কেমন করে তার বুকের দিকে তাকিয়েছে হয়তো এই কাজ করার পর  আবার নজর সরে গেছে।এমন কয়েকবারই তার শশুর তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়েছে। এরকম সে কয়েকবারই  তাকিয়েছে।তবে তাকান টা কেমন যেন মনে হয়েছে খারাপ নজরে তাকিয়েছে মানে মনে একটা বিরক্ততিকর ভাব সৃষ্টি হয় যেভাবে কুন ছেলে মেয়ের দিকে খারাপ ভাবে তাকালে যেমন লাগে তার তাকানো টা এমন লাগছিল তবে সেয়াতা বেশি সময় তাকানো ছিল না বড় জুর ১০সেকেন্ড হবে হয়ত।আমার শশুরের আগে  গাজা সেবন করার অভ্যাস ছিল আমি শুনেছিলাম। তবে এই ঘটনার দিন গাজা খেয়েছিল কিনা জানিনা।আর হুজুর রুটি বানানোর সময় আমি থ্রি পিছ পড়া ছিলাম।তখন আমার জামাটা রুটি বানানর  সময় যদি সরে গিয়েও থাকে আমার বেখায়েল আমার পা পায়জামা দিয়ে ঢাকা ছিল এখন তা দেখে সে উত্তেজিত হয়েছিল কি হয়নি আমি কিছু জানিনা আমার সব ঘটনা পরে দয়া জানাবেন হুরমত হল নাকি।মানে ধরেন আমি রুটি বানাচ্ছি কিন্তু যেহেতু থ্রি অইছ জামাটা একটু সরে গেলে হয়্ত পা জামা দিয়া পা ঢাকা ছিল তা দেখা গেলেও। যেমন আমি যদি ফুল হাতার জামা পরি উড়টা হাতা থেকে সরে গেলে ফুল হাতা জামা পরিধান করা হাত যেমন দেখা যায় তেমন দেখা হয়্র গেছিল।
।এরপর স্ত্রী বাপের বারি গিয়ে একথা জানালে  এসব নিয়ে এনেক বড় ঝামেলা হয়। স্ত্রী সামি না করা সত্ত্বেও একথা তার পরিবারকে জানাইছে তাই সামি স্ত্রী র মাজে একপ্রকার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হিয় ছেলের বাবাকে অনেক অপমান করে তখন তিনি বলে বাবা কি মেয়েকে চুমা দিতে পারে না।এরপর সামি স্ত্রী এসব নিয়ে ঝগড়া করে দীর্ঘ ১বছির কুন যোগাযোগ থাকে না এবং সামি প্রবাসে চলে যায়।এখন তাদের মিল হইছে এবং এই মাসালা চোখে পরাতে দুইজনেই চিন্তিত বিবাহ ঠিক আছে কিনা সেটা নিয়ে।উক্ত ঘটনা ঘটার সময় আমার বউয়ের উড়না সামান্য শড়ে গিয়েছিল কিনা সে বিষয় নিশ্চিত নয় মানে রুটি বানানুর সময় উড়না সরে গিয়্রছিল কিনা আমার বউ নিশ্চিত জানেনা।তবে এই ঘিটনা ঘটার আগে একদিন আমার বউ তার যৌনাঈ কাপিরের উপর দিয়ে হাত দিয়ে ঘসছিল তখন নাকি ঘরে আমার বাবা এসে পড়ে তখন আমার বউ উক্ত কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর কিছুদিন পর রুটি বানাতে গিয়ে উক্ত ঘিটনা ঘটে।
১।উপরে যে ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে উত্ত ঘটনার পর তার শশুর  প্রথমে বলেছিল সে তরিকা মানে নিয়ম শিখানুর জন্য এমন করে।এখন গত কাল স্ত্রী হুরমত নিয়ে জানার পর তার ছেলে জিগাস করে তুমি কেন আমার বউকে চুমা দিয়া দিয়েছিলে সে বলে আমি মেয়ে হিসাবে চুমা দিয়েছি।এই জিনিস্টা নিয়ে অনেক ঝামেলা ও তাকে অপমান করাতে হয়তো উনি তখন বলেছিল তরিকা শিখাতে এমন করেছে আর এখন বলতাছে মেয়ে হিসাবে দিয়েছে হয়তো উনি নিজেও লজ্জিত বা বুজতে পারে নি বা উনি এখন কিভাবে কি বলবে মানুষ এর কাছে তাই বলতাছে মেয়ে হিসাবে দিয়েছে। স্ত্রীও কিছুটা সন্দিহান আসলেই উনি উত্তেজনার সাথে চুমা দিয়েছে কিনা?কারন কপালে ঠুটে ও গালে চুম্মন দেওয়ার সময়ে উত্তেজনা আসলে যেমন দীর্ঘ শ্বাস বা নিঃশাস নেয়া এমিন কিছু মেয়েটি দেখে নাই। এবং উত্ত মেয়ের শাশুড়ী পুরো যৌবিন কাল কাজের জন্য বিদেশে থেকেছে সামি সন্তান রেখে কিন্তু তবুও তার শশুরের চারিত্রিক খারাপ দিক কেউ দেখ নি কখন।বা পুরো এলাকা আত্নীয় সজন কেউ কখন বলে নি যে তার চরিত্র খারাপ বা তিনি এমন কাজ করেছেন।এখানে কি হুরমত সাব্যস্ত হবে? নাকি শশুরের কথাই ধরা হবে যে খারাপ নিয়তে দেয় নাই। যেহেতু চুমা দেওয়ার সময় সাধারণ পুরুষ মানুষ এর উত্তেজিত হলে যেমন নিঃশাস ভারি হওয়া এমন কুন লক্ষন ছিল না তাই এখানে কি হুরমত সাব্যস্ত  হবে?নাকি শশুরের কথাই ধরে নিবে যে তার উত্তেজনা ছিল না।
২।হুজুর সামি এই ঘটনা ঘটার দিন এই কথা জানালে সে তার বাবাকে প্রচন্ড বকাজকা করে।এরপর আমি তাকে জিগাস করি তুমি কি মনে কর সে উত্তেজনা হয়ে আমাকে স্পর্শ করেছে তখন সে বলে আমি জানিনা।তুনি য্রভাবে বল সেভাবেত সন্দেহ হয় আবার বাবা কথা বললে সেটাও বিশ্বাস হয়।আমার কুন মতামত নেই আমি জানিনা এখানে কি হুরমত হবে?
৩।হুজুর  যদি উত্তেজনা নিয়ে স্পর্শ করে থাকে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হওয়ার যে পরিমান উত্তেজনা প্রয়োজন৷ যেমিন৷ লিঈ দাড়ান ও নাড়াচাড়া করছিল কিনা কিছুই জানা নাই।তবে এক্ষেত্রে করনিয় কি?যদি শশুড় সিকারই না করে যে উত্তেজিত হিয়্র স্পর্শ করে নাই।বা স্পর্শ করার পর উত্তেজনা ছিল কিনা বা বির্যপাত হয়ে গিয়েছল কিনা জানা নাই।তবে সাধারণ মানুষ এর উত্তেজনা আসলে যেমন নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসা বা অন্যরকম অনুভুতি আসা তা উপস্থিত ছিল না।তবে হুজুর আপনি প্রথম বার ফতোয়া দেওয়ার পর মনে হচ্ছে তার নিঃশাস বাড়ি হয়েছিল কিনা সেটা নিয়ে এখন সন্দেহ হচ্ছে তবে মনে নেই । এতটুকু বলতে পারি যে সে উত্তেজনা নিয়ে দিয়েছিল কিনা সেটা আসলে বুজতে পারি নাই তার আচরম থেকে। তবে এক্ষেত্রে একা ঘরে মেয়ে ও শশুড় উপস্থিত ছিল একা শশুড় চাইলে হয়তো মেয়েটিকে সহবাস করতে পারত জুর করে তবে সে চুম্মন করেই ছেড়ে দেয় এতে কি ধরা হবে যে ডশুরের উত্তেজনা আসলেও তা সহবাসের করার মতো উত্তেজনা ছিল না।কারন যেহেতু সে সুযোগ পেয়ে পেয়ে করে নাই এবং উত্তেজিত হলে যেমন অন্যরকম একটা ভাব আসে তা ছিল এতে কি হুরমত হবে?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।
(ই'লাউস সুনান ১১/১৩২)

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      
(ই'লাউস সুনান ১১/১৩১)

হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল,
১–

সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة
وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি কাপড় পরিধান অবস্থায় হয় তাহলে যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। 
তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।   

( যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে,যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে। ) 

অন্যথায় হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।     

২–

স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،
وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى
وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)  
সারমর্মঃ
উত্তেজিত হওয়ার সীমা হলো লিঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কলব তথা অন্তর কেঁপে উঠা, আগে থেকেই কেঁপে উঠে থাকলে স্পর্শ করার পর কাঁপা বেড়ে যাওয়া। 

৩-
স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। 
আগে বা পরে উত্তেজিত হলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।      

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما
وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। 

বিস্তারিত জানুনঃ 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১.২.৩)
এক্ষেত্রে মেয়েটির শশুর যেহেতু নিজেই বলেছে যে তার উত্তেজনা ছিলোনা।
আর মেয়েটিও সেসময় দীর্ঘ শ্বাস বা নিঃশাস নেয়া এমন কিছুই তার শশুড় হতে অবলোকন করেনি,তাই এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা। 

এক্ষেত্রে শশুরের কথাই ধরে নিতে হবে যে তার উত্তেজনা ছিল না।

যেহেতু হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়নি,তাই উক্ত দম্পতির ঘর সংসার করতে শরীয়াহ দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

উল্লেখ্য, এক্ষেত্রে শশুর মিথ্যা কথা বললে তার দায়ভার কিয়ামতের ময়দানে তার উপর বর্তাবে। স্ত্রীর উপর বর্তাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...