আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, আমি যে মেয়েকে বিয়ে করি মেয়েটা একটা সাইকো। সে তিন দিন পর পর আমার সাথে অশান্তি করতো। এ রকম করতে করতে যখন আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলতাম তখন বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হত। প্রায় দুই বছর আগে সে আমার সাথে খুবই অশান্তি সৃষ্টি করে পরে আমি তার বাবা মা কে ডাক দেই এবং তারা আসে কিন্তু তার মেয়েকে কিছুতেই শান্ত করতে পারে না। আমি আমার শশুর কে বলি যে আপনার মেয়েকে নিয়ে জান আমি তার সাথে সংসার করতে চাই না। পরে আমি ifawta প্রশ্ন করে জানতে পারি সে এক তালাকে বায়ান হয়েছে। তার পর আমি তাকে পুনরায় বিয়ে করি। কিন্তু তার পরও তার কোন পরিবর্তন হয়নি। সে তার মতোই চলতে থাকে। সর্বশেষ সে আবার বড় ধরনের অশান্তি সৃষ্টি করে আমার পুরো ফ্যামেলির সাথে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এই সময় মেজাজ হারিয়ে ফেলি আর আমি বলি।
"যা তুই তালাক প্রাপ্ত" "যা তুই তালাক প্রাপ্ত" এ সময় অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন। এবং পুরো এলাকায় জানাজানি হয়ে গেছে। আমার দুই টা বাচ্চা আছে এই কারনে আত্বীয় স্বজন প্রতিবেশী আরো অনেকেই তার সাথে সংসার করার জন্য অনুরোধ করতেছে। এখন আমার প্রশ্ন হল সে কয় তালাক প্রাপ্ত হয়েছে আর তাকে নিয়ে আসার কোনো অপশন আছে কি না?
by (9 points)
ওস্তাদ একটু ইমার্জেন্সি উত্তর দিলে ভালো হয় 

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এক দুই তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা যায়, তবে তিন তালাকের পর আর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনা যায় না বরং স্ত্রী হারাম হয়ে যায়,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
 فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০] এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2579


সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
'যা তুই তালাক প্রাপ্ত" "যা তুই তালাক প্রাপ্ত" এখানে দুইটি বাক্য দ্বারা যদি পৃথকভাবে তালাক দেওয়া উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তিন তালাক হয়ে গেছে। শরয়ী হালালাহ ব্যতিত আপনারা আর সংসার করতে পারবেন না। এ বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কোনো আলেমের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...