১. আমি রিসেন্টলি চেষ্টা করছি কথা কম বলতে।সংযত জবান সংহয জীবন বইটা পরে মনে হল, এই বয়সে অনেক কথা বলে ফেলেছি। জবানটা বেপরোয়া ভাবে চালিয়েছি । সংসারে পরিবারে অনেক কথা মনে হচ্ছে না বললে ভাল ছিল। তাই আমি একদম কথা কম বলি। পরিবারে অনেকেই এটা চাই কথা বলি তাদের সাথে৷ যে কথা প্রয়োজনীয় নয় সে কথা বলতে জোর করে৷ এখন কথা বললে গিবত, ভুল ইত্যাদি হয়। আমার এমন হয় সামনে মানুষটা আঘাত দিয়ে বা গিবত কথা বলছে, হয় আমি মনে মনে জিকির করছি নয়ত মনে মনে তার কথার আঘাত থেকে বাঁচতে বা গিবত থেকে বাঁচতে মনে মনে অনেক সময় তার কথা উওর দেই। আমার ঠোঁট নাড়ায় না।একদম মনে মনে। তাকে বকাও দেই মাঝে মাঝে ক্রোধ সামলানোর জন্য।
আমার প্রশ্ন, প্রতিটা কথা হিসাব যেহেতু দিতে হবে। আমার মনে মনে বলা উওরের বা মনে মনে আলোচনা করার বা মনে মনে তাকে বকা দেওয়ার হিসাব ও কি দিতে হবে। ফেরেস্তা কি এইগুলোও লিখে রাখবে? খাবার খাওয়ার সময় গিবত করছে। সে এমন জন তাকে বলাও যাবেনা এটা গিবত৷বললে আমার উপর তুফান যাবে। তখন কি করব আমি? আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ি মনে মনে।আর কিভাবে বাঁচব? হঠাৎ কথা কম বলার কারণ পরিবারকে কিভাবে বুঝাব? তারা দ্বীন বুঝে কম
২,.অনেক সময় নিজের কিছু ভুলের জন্য পরিবারের অনেকেই দাবি করে তার জীবনে ঝড় ঝামেলার জন্য দায়ী সাদিয়া । সে যে যে অপবাদ রাগে দুঃখে সাদিয়াকে দিচ্ছে সবগুলো সেই ব্যক্তির উপর কোনভাবেই যায়না। সে ৮টা সমস্যা দোষ সাদিয়াকে দিলে, ২-৩টা দোষ সত্য৷ বাকীগুলো নয়। তার জীবন নষ্ট ও কষ্টের কারণ একমাত্র সাদিয়াকে বলা হয়। এমনটা সে রাগে সব সময় বলে থাকে।কিন্তু সাদিয়ার চিন্তা তাকে নিয়ে সবসময় পজেটিভ । তার ভালর জন্য তার যত চিন্তা। এটা পরিবারের সেই ব্যক্তিও মাঝে মাঝে বলে তুমি আমার জন্য আসলেই অনেক কিছু।কিন্তু রাগ হলে কষ্ট হলে ঝামেলা হলে সাদিয়ার সব দোষ থাকে। সব সময় এমনটা শুনতে শুনতে সাদিয়া ঠিক করল তার জীবনে কোন কিছুতে সে থাকবেনা৷ সে না থাকাতে যদি তার জীবন সুন্দর হয় তাহলে ত দোষের কিছু নেই। থেকে কষ্ট দেওয়ার থেকে না থেকে দুঃখ দেওয়া ভাল। কোন আল্লাহর বান্দা অপর বান্দা কষ্টে কারণ হতে চাইনা। এখন তাদের কথা প্রায় বন্ধ।একদম প্রয়োজন ব্যতিত কথা হয়না। মনে এই চিন্তা রেখে সাদিয়া কথা বলেনা আগের মত।খুব প্রয়োজন ও দরকারে কথা হয়
এখন এভাবে কথা না বলার জন্য কি গুনাহগার হতে হবে?যদি গুনাহগার হয় তাহলে এই অবস্থায় সাদিয়া কি করবে?