আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
66 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
১. আমি রিসেন্টলি চেষ্টা করছি কথা কম বলতে।সংযত জবান সংহয জীবন বইটা পরে মনে হল, এই বয়সে অনেক কথা বলে ফেলেছি। জবানটা বেপরোয়া ভাবে চালিয়েছি । সংসারে পরিবারে অনেক কথা মনে হচ্ছে না বললে ভাল ছিল। তাই আমি একদম কথা কম বলি। পরিবারে অনেকেই এটা চাই কথা বলি তাদের সাথে৷ যে কথা  প্রয়োজনীয় নয়  সে কথা বলতে জোর করে৷ এখন কথা বললে গিবত,  ভুল ইত্যাদি হয়। আমার এমন হয় সামনে মানুষটা আঘাত দিয়ে বা গিবত কথা বলছে, হয় আমি মনে মনে জিকির করছি নয়ত মনে মনে তার কথার আঘাত থেকে বাঁচতে বা গিবত থেকে বাঁচতে মনে মনে অনেক সময় তার কথা উওর দেই। আমার ঠোঁট নাড়ায় না।একদম মনে মনে। তাকে বকাও দেই মাঝে মাঝে ক্রোধ সামলানোর জন্য।
আমার প্রশ্ন, প্রতিটা কথা হিসাব যেহেতু দিতে হবে। আমার মনে মনে বলা উওরের বা মনে মনে আলোচনা করার বা মনে মনে তাকে বকা দেওয়ার হিসাব ও কি দিতে হবে। ফেরেস্তা কি এইগুলোও লিখে রাখবে? খাবার খাওয়ার সময় গিবত করছে। সে এমন জন তাকে বলাও যাবেনা এটা গিবত৷বললে আমার উপর তুফান যাবে। তখন কি করব আমি? আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ি মনে মনে।আর কিভাবে বাঁচব? হঠাৎ কথা কম বলার কারণ পরিবারকে কিভাবে বুঝাব? তারা দ্বীন বুঝে কম
২,.অনেক সময় নিজের কিছু ভুলের জন্য পরিবারের অনেকেই দাবি করে তার জীবনে ঝড় ঝামেলার জন্য দায়ী সাদিয়া । সে যে যে অপবাদ রাগে দুঃখে সাদিয়াকে দিচ্ছে সবগুলো সেই ব্যক্তির উপর কোনভাবেই যায়না।  সে ৮টা সমস্যা দোষ সাদিয়াকে দিলে,  ২-৩টা দোষ সত্য৷ বাকীগুলো নয়। তার  জীবন নষ্ট  ও কষ্টের কারণ একমাত্র সাদিয়াকে বলা হয়। এমনটা সে রাগে  সব সময় বলে থাকে।কিন্তু সাদিয়ার চিন্তা  তাকে নিয়ে সবসময় পজেটিভ । তার ভালর জন্য তার যত চিন্তা। এটা পরিবারের সেই ব্যক্তিও মাঝে মাঝে বলে তুমি আমার জন্য আসলেই অনেক কিছু।কিন্তু রাগ হলে কষ্ট হলে ঝামেলা হলে সাদিয়ার সব দোষ থাকে। সব  সময় এমনটা শুনতে শুনতে সাদিয়া ঠিক করল তার জীবনে কোন কিছুতে সে থাকবেনা৷ সে না থাকাতে যদি তার জীবন সুন্দর হয় তাহলে ত দোষের কিছু নেই। থেকে কষ্ট  দেওয়ার থেকে না থেকে দুঃখ দেওয়া ভাল। কোন আল্লাহর বান্দা অপর বান্দা কষ্টে কারণ হতে চাইনা। এখন তাদের কথা প্রায় বন্ধ।একদম প্রয়োজন ব্যতিত কথা হয়না। মনে এই চিন্তা রেখে সাদিয়া কথা বলেনা আগের মত।খুব প্রয়োজন ও দরকারে কথা হয়
এখন এভাবে কথা না বলার জন্য কি গুনাহগার হতে হবে?যদি গুনাহগার হয় তাহলে এই অবস্থায় সাদিয়া কি করবে?

1 Answer

0 votes
by (571,050 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ "
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি তার দু’চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দু’রানের মাঝখানের বস্তু (লজ্জাস্থান) এর জামানত আমাকে দিবে, আমি তার জান্নাতের যিম্মাদার।(সহীহ বোখারী-৬৪৭৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সংযমী হওয়া প্রশংসিত। এজন্য অবশ্যই আপনাকে উত্তম বিনিময় প্রদাণ করা হবে। সংযমী হওয়ার জন্য আপনার কোনো গোনাহ হবে না। আল্লাহ আপনার কল্যাণ করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
আমি যে মনে মনে উওর দেই বা বকাও দেই তাতে কি হিসাব লিখা হবে? গুনাহ হবে তাতে 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...