আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
121 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমরা রেগুলার যেই মাংস গুলো খাই বাইরে থেকে মুরগী, গরু বা খাসি এগুলো জবাই করা হয় কিনা আদৌ আমরা জানি না বা আল্লাহ র নামে করে কিনা। কসাই হিন্দু না মুসলিম তাও জানি না। বাসার মানুষ জন দ্বীনি না হওয়ায় তারা এগুলাতে কনসার্ন ও না। আরও দোকানজাত কিছু ফ্রোজেন খাবার পাওয়া যায় সেগুলোতে হালাল ট্যাগ দেওয়া থাকে।
আমার প্রশ্ন হলো

১।বাইরে থেকে আনা মাংস গুলো কি খাওয়া আমাদের জন্য হালাল হয় যেটা আমরা নিশ্চিত নই হালাল কিনা? (কারণ সেগুলো বাসার পুরুষরা নিয়ে আসে তারা এগুলো জানায় হয়তো তেমন প্রয়োজন মনে করে না কারণ আমাদের দেশে মেজোরটি মুসলিম আবার সবাই তো হারাম হালাল নিয়ে সতর্ক ও নয়)
২।হালাল ট্যাগ ওয়ালা ফ্রোজেন বিভিন্ন মাংসের আইটেম গুলো খাওয়া কি হালাল হবে?(যেমন: চিকেন নাগেটস,উইংস,সসেজস ইত্যাদি ইত্যাদি)


৩।রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন চিকেন, বিফ, বার্গার, পিৎজা, বিরিয়ানি এগুলা খাওয়া কি জায়েজ হবে? কারণ আমরা জানি না আসলেই মাংস গুলা সঠিক ভাবে প্রসেসড কিনা তাদের কে জিগ্যেস করলেও খারাপ হলেও তারা সেটা কখনো বলবে না।এগুলো খাওয়া আমাদের সমাজের মধ্যে  প্রচলন অনেক বেশি কিন্তু ইদানীং এসব খাবার নিয়ে সন্দেহ হয়।


জাঝাকুমুল্লাহু খইরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
মুসলমান মালিকাধীন হোটেলের গোশত ভক্ষণ করা যাবে।কেননা মুসলমান যবেহের সময় বিসমিল্লাহ্ বলবে,এটাই স্বাভাবিক। এবং এমন ধারণা পোষণ করাই সকলের উচিৎ।
তাছাড়া মুসলমান যদি যবেহের সময় অনিচ্ছাকৃত ভাবে বিসমিল্লাহকে ভূলেও যায়,তদুপরি মুসলমানের অন্তরে আল্লাহর নাম থাকার দরুণ ঐ যবেহকৃত জন্তুকে ভক্ষণ করা জায়েয রয়েছে।

হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা রাযি. বলেন, একদল লোক নবী রাসুলুল্লাহ ﷺ -কে জিজ্ঞেসা করল, ‘এক নও মুসলিম সম্প্রদায় আমাদের নিকট গোশত নিয়ে আসে। আমরা জানি না যে, তার জবেহকালে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়েছে কি না।’ তিনি বললেন, ﺳَﻤُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴﻪِ ﺃَﻧﺘُﻢ ﻭَﻛُﻠُﻮﻩُ ‘তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তা ভক্ষণ কর।’ (বুখারি ২০৫৭, ৫৫০৭ )
উক্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইবন হাজার আসকালানী রহ. বলেন,
ﻭﻳﺴﺘﻔﺎﺩ ﻣﻨﻪ ﺃﻥ ﻛﻞ ﻣﺎ ﻳﻮﺟﺪ ﻓﻲ ﺃﺳﻮﺍﻕ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻣﺤﻤﻮﻝ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﺤﺔ ، ﻭﻛﺬﺍ ﻣﺎ ﺫﺑﺤﻪ ﺃﻋﺮﺍﺏ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ … ﻷﻥ ﺍﻟﻤﺴﻠﻢ ﻻ ﻳﻈﻦ ﺑﻪ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺷﻲﺀ ﺇﻻ ﺍﻟﺨﻴﺮ ، ﺣﺘﻰ ﻳﺘﺒﻴﻦ ﺧﻼﻑ ﺫﻟﻚ
‘এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, মুসলমানদের বাজারে যে গোশত পাওয়া যায় তা হালাল হিসেবে গণ্য হবে। কেননা, মুসলমানের সব বিষয়ে ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো ধারণা রাখতে হয় যতক্ষণ পর্যন্ত এর বিপরীত স্পষ্ট প্রমাণ না পাওয়া যায়।’
(ফাতহুল বারী ৯/৭৮৬)

সুতরাং মুসলিম দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ গুলোতে  গোশত খাওয়া জায়েয রয়েছে।এক্ষেত্রে সন্দেহ প্রবণতা পরিহার করা উচিত।মুসলমানকে এবং মুসলিম সমাজের মানুষকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। অবশ্য কোনো অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে নিশ্চয়ই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।
অন্যদিকে অমুসলিম রেস্তোরাঁ থেকে গোস্ত ভক্ষণ করতে হলে মালিককে জিজ্ঞাসা করতে হবে।সে যদি বলে ইসলামি ত্বরিকায় হালালভাবে যবেহ করা হয় নাই,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত গোশতকে ভক্ষণ করা যাবে না। কিন্তু যদি সে বলে যে এটাকে হালাল ত্বরিকায় যবেহ করা হয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় করণীয় কি?

সে সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে
যদি কোনো মুশরিক দাবী করে যে তার কাছে  হালাল যবেহ করা গোস্ত রয়েছে। তাহলে সেটা খাওয়া জায়েয রয়েছে।(কিতাবুল ফাতাওয়া ৪/১৯৯)আরো বর্ণিত রয়েছে,(আবকে মাসাঈল-৭/২৯২জা'মেউল ফাতাওয়া-৩/১৩৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/686

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার বাজার থেকে আনা মাংস খাওয়া জায়েয হবে। 

(২)হালাল ট্যাগ ওয়ালা ফ্রোজেন মাংসের বিভিন্ন  আইটেম গুলো খাওয়া হালাল হবে।

(৩)রেস্টুরেন্টের চিকেন, বিফ, বার্গার, পিৎজা, বিরিয়ানি জাতীয় খাবার জায়েয হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো দোকান সম্পর্কে সন্দেহ হলে পরিহার করাই উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...