আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। আমি একজন মেয়ে আমার বয়স ২২ বছর বিয়ের জন্য বাবা মা পাত্র খুঁজতেছেন কিন্তু উনারা দ্বীনদারীকে প্রধান্য দিচ্ছেন না। আমি বলেছি আমি একজন দ্বীনদার পাত্রকে বিয়ে করব বাবারা একটা পাত্র দেখেছেন পাত্রকে বলা হয়েছে যে মেয়ে পর্দা করে ওরা বলেছে যে হ্যাঁ এতে তাদের কোনো সমস্যা নেই। ছেলেপক্ষ আমাদের বাসায় এসেছিল কিন্তু ছেলের সাথে পর্দা বিষয়ে আমার কোন কথা হয় নাই ।ছেলের সুন্নতি দাড়ি নেই এমনকি টাকনুর নিচে প্যান্ট পড়ে আছে ।ছেলে আমাকে পর্দার বিষয়ে নামাজের বিষয় অর্থাৎ  ইসলামিক কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করে নাই এবং আমারও কোন জিজ্ঞাসা করার সুযোগ হয়ে উঠে নাই। বিয়ের ক্ষেত্রে আমি চাই যে একজন দ্বীনদারকে বিয়ে করতে সে যদি জেনারেল লাইনেরও থাকে পড়াশোনা করে থাকে তবুও ইসলাম সম্পর্কে তার যেন ব্যাসিক জ্ঞান থাকে। আমার বাবা-মা আমাকে জোর করতেছে ওখানে বিয়ে করার জন্য কিন্তু আমার ছেলে পছন্দ হয় নাই আমার মা বলছে যে ওদেরকে বলা হয়েছে যে মেয়ে পর্দা করে ওরা নাকি বলেছে যে হ্যাঁ  এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই। একজন ইসলামিক মাইন্ডের মেয়ে চাচ্ছি কিন্তু ওরা যে কতটা ইসলাম পালন করে ছেলেকে দেখে তেমনটা বোঝা যায় নাই কারণ সে যদি ইসলাম পালন করতো তাহলে সে অবশ্যই জানবে যে টাখনুর নিচে প্যান্ট পরা ইসলামে জায়েজ নেই এমনকি তার সুন্নতি দাড়ি ও নেই সে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে কিনা আমার এই বিষয়েও তার সাথে কোন কথা হয় নাই । আমার যতটুকু ধারণা তারা পর্দা বলতে শুধু বাইরে গেলে বোরখা পড়াকে বোঝায়  এমনকি তারা অনেক বিদাতি কাজকর্ম করে থাকে যেটা ইসলামে জায়েজ নয়।ছেলের সাথে আমার কোন ভাবে কথা বলার সুযোগ নেই আমার মা-বাবা চাচ্ছে আমার ওখানেই বিয়ে হোক আমার মা-বাবাকে ছেলে খুব পছন্দ হয়েছে কিন্তু আমার পছন্দ হয়নি। আমি না করাবে তারা আমার উপর অনেক রেগে আছেন আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাচ্ছে যে আমার বয়স হয়ে যাচ্ছে আর ছেলে পাবে না,মা-বাবার কথা না শুনলে আমার নামাজ কবুল হবে না আমি জাহান্নামে যাব এমন আরো অনেক ধরনের কথা বলছে। আমার বাবা মা রা তেমন দিন পালন করেন না।আমার মা ও পর্দা করেন না। বাবা বলেছেন  যে নামাজ নিজের উপর,  আর দাড়ি ওনারা রাখতে বলবে কাউকে তো এভাবে জোর করে বলে দাড়ি রাখানো যায় না সে যদি ইসলাম মেনে চলত ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান রাখতো তাহলে সে অবশ্যই দাড়ি রাখতো আর টাখনুর উপরে প্যান্ট পড়তো আমি তাকে যতটা দেখে বুঝতে পেরেছি যতটাই আন্দাজ করতে পেরেছি যে সে ইসলাম সম্পর্কে ব্যাসিক জ্ঞান রাখে নানে তাহলে সে কিভাবে আমার পর্দাটাকে মেনে নিবে ।  বাবা প্রায় অসুস্থ থাকেন আমাকে বলতেছেন তার যদি কোন কিছু হয়ে যায় তাহলে আমাদের কে দেখবে আমার বিয়ে গিয়ে করায় দিবে , মোটকথা  তিনি আমাকে এ বিয়ের জন্য জোর দিচ্ছেন,আমার এখন কি করা উচিত ?বাবা মাকে ওই পাত্রের জন্য হ্যাঁ বলে দেয়া উচিত কী?এবং আমি কি আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকবো যে আল্লাহ আমার ভাগ্যে যা কল্যাণকর আছে সেটাই আপনি নির্ধারণ করেন । দয়া করে আমাকে নসীহা করুন।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
وَفِي جَامِعِ الْجَوَامِعِ: اشْتَرَى الزَّوْجُ طَعَامًا أَوْ كِسْوَةً مِنْ مَالٍ خَبِيثٍ جَازَ لِلْمَرْأَةِ أَكْلُهُ وَلُبْسُهَا وَالْإِثْمُ عَلَى الزَّوْج ِتَتَارْخَانِيَّةٌ
যদি স্বামী সন্দেহজনক মাল দ্বারা খাদ্য বা কাপড় ক্রয় করে,তাহলে স্ত্রীর জন্য উক্ত খাদ্য এবং কাপড়-কে গ্রহণ করা জায়েয রয়েছে। গোনাহ অবশ্য স্বামীরই হবে।(তাতারখানিয়া)(রদ্দুল মুহতার-৬/১৯১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/782

প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী দ্বীনদার হওয়াই কাম্য। তবে যদি দ্বীন স্বামী পাওয়া না যায়, কিন্তু আপনার দ্বীন পালনে সে বাধা দিবে না বলে মনে হয়, তাহলে এমন পাত্রের প্রস্তাবকে গ্রহণ করতে পারবেন। পাত্রের ইনকাম হালাল হওয়াই কাম্য। তবে যদি কারো স্বামীর ইনকাম হারাম হয়, তাহলেও স্ত্রীর জন্য উক্ত স্বামীর মাল থেকে ভক্ষণ করা হারাম হবে না।

প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত পাত্রের প্রস্তাবকে গ্রহণ করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...