জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে:
« حق كبير الإخوة على صغيرهم كحق الوالد على ولده » . (رواه البيهقي).
“ছোট ভাই-বোনের উপর বড় ভাই-বোনের অধিকার ঠিক তেমন পর্যায়ের, যেমন অধিকার সন্তানের উপর তার পিতামাতার।
(বাইহাকী)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন:
« بَرَّ أُمَّكَ و أَبَاكَ , ثُمَّ أختَك و أخَاك , ثم أدنَاك فَأدنَاك » . (رواه الحاكم).
“তুমি তোমার মাতা ও পিতার সাথে উত্তম ব্যবহার কর; অতঃপর উত্তম ব্যবহার কর তোমার বোন ও ভাইয়ের সাথে; অতঃপর উত্তম ব্যবহার কর একে একে তোমার নিকটাত্মীয়ের সাথে।
(মুস্তাদরাকে হাকেম)
হাদিসে বড় ভাইকে বাবার সমান এবং বড় বোনকে মায়ের সমান বলা হয়েছে। সুতরাং একজন সন্তানের ওপর মাতা-পিতার যেসব হক বা অধিকার রয়েছে, বড় ভাই ও বড় বোনের ব্যাপারেও ছোট ভাই এবং ছোট বোনদের একই হক বা অধিকার রয়েছে।
★বড় ভাই ও বড় বোনকে সম্মান করা। অর্থাৎ বড় ভাই ও বোন হিসেবে সে যে পরিমাণ বা যতটুকু সম্মানের অধিকার রাখে, ঠিক ততটুকু সম্মান প্রদর্শন করা। এ ক্ষেত্রে কোনো কমতি না করা এবং খুব বেশি বাড়াবাড়িও না করা।
★বিনা ওযরে তাদের আদেশ অমান্য না করা।
তাদের কথা মেনে চলা। অর্থাৎ শরিয়তের খেলাফ যদি কোনো আদেশ তারা না করে, সে ক্ষেত্রে বিনা ওযরে তাদের আদেশ অমান্য না করা। কিন্তু যদি এমন হয় যে, বড় ভাই ও বোন শরিয়ত বিরোধী কোনো কাজের আদেশ করছে, সে ক্ষেত্রে তাদের আদেশ না মানলে হক বা অধিকার নষ্ট করা হবে না।
★তাদেরকে কোনো প্রকার কষ্ট না দেয়া। অর্থাৎ শারীরিক বা মানসিক কোনো প্রকার কষ্ট বড় ভাই ও বোনকে না দেয়া।
★বিশেষ প্রয়োজনে সামর্থবান ছোট ভাই/বোন বড় ভাই বোনকে প্রয়োজনমাফিক তাদের আর্থিক সাহায্য করা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকায় ও এভাবে তার বাসায় গিয়ে থাকাকে নিজের জন্য নিরাপদ মনে না করায় তার বাসায় গিয়ে এভাবে না থাকাই ভালো বলে মনে করছি।
(০২)
হ্যাঁ, আপনি পড়তে পারেন,এতে সমস্যা নেই।
(০৩)
নিম্নের বইটি সংগ্রহ করতে পারেনঃ-
"ইমাম আবু হানিফা রহঃ জীবন ও কর্ম"
ইমাম সিরিজ -০১
(সম্পাদক -আবুল হাসানাত কাসিম)
(০৪)
ভবিষ্যত জীবনে দ্বীনদার সন্তান হবে,ইনশাআল্লাহ।