ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/4350
নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে, নামাযের
কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়, যাকে লাহলে খাফী বলা হয়, তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন
নেই।তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1126
তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে
যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক
হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী
মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক) কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের
উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার
দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে
যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ
“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ,
ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]
শাইখ সালেহ আল ফাউযান
(হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,
“قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب”
“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি
করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে
ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”
যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র
তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়,
তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা
এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও
তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না। (শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/19542/
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আপনার জায়গা থেকে আপ্রাণ চ্ষ্টো করবেন বিশুদ্ধ উচ্চারণ
করার। এতদাসত্বেও যদি সীন এর স্থলে ছোয়াদ বা এর বিপরিত হয় তাহলে আশা করা যায় আপনি
দরুদের পূর্ণ ফজিলত পাবেন ইনশাআল্লাহ। সর্বপরি আপনার সালাত সহিহ হবে। কারণ, সালাতে
দরুদ পড়া সুন্নাহ, ফরজ বা ওয়াজিব নয়।