আসলামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্ল-হ
আমরা জানি যে উচ্চসূরে আযান দিতে হয়। কেননা-
মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যে পর্যন্ত পৌছবে, কিয়ামতের দিন ঐ স্থানের সকল জ্বীন্ন, মানুষ এবং প্রতিটি বস্তু তার সাক্ষ্য প্রদান করবে। সুনান আন-নাসায়ী (ই.ফা.) ৬৪৫।
মুয়াজ্জিনের আওয়াজের দূরত্ব পরিমাণ তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং প্রত্যেক শুষ্ক ও আদ্র জিনিস (অর্থাৎ জীবন্ত ও মৃত প্রত্যেক জিনিস) তার (ঈমানের) পক্ষে সাক্ষ্য প্রদান করবে। সুনান আন-নাসায়ী (ই.ফা.) ৬৪৬। সুনান আবূ দাউদ ৫১৫। সুনান ইবনু মাজাহ ৭২৪। মিশকাত ৬৬৭
মুয়াজ্জিন সেসব নামাজির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করেন, যারা তার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করেন। সুনান আন-নাসায়ী (ই.ফা.) ৬৪৭
উপরোক্ত হাদিসে বলা হয়েছে মুয়াজ্জিনের আওয়াজ যতদূর পর্যন্ত যাবে ততদূর পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং ততদূরের প্রত্যেক প্রাণী ও প্রাণহীন বস্তু কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে। আরো বলা হয়েছে মুয়াজ্জিন সেসব নামাজির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করেন, যারা তার সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করেন।
মুয়াজ্জিন যদি খালি গলায় আজান দেন তাহলে খুব বেশিদূর যাবে না। তাই সে বেশিদূর পর্যন্ত ক্ষমা পাবে না এবং খুব অল্প প্রাণী ও প্রাণহীন বস্তু কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।
কিন্তু যদি মুয়াজ্জিন মাইকে আজান দেন তাহলে তা খালি গলার চেয়ে কয়েকগুন বেশিদূরে পৌঁছায়। ফলে সে বেশিদূর পর্যন্ত ক্ষমা পাবে এবং অনেক দূরের প্রাণী ও প্রাণহীন বস্তু কিয়ামতের দিন তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।
প্রশ্ন ১ : মসজিদে আজান দেয়ার এই মাইক(এবং এর সাথে আরো সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি যেমন এমপ্লিফায়ার, মাইক্রোফোন ইত্যাদি ) যদি কয়েকজন মিলে কিনে দেয় তাহলে কি তারা মুয়াজ্জিন এর আজান দেয়ার সমপরিমাণ সওয়াব পাবে ? যেহেতু নবীজি (সা.) বলেছেন, যে লোক কোন সৎকাজের পথ দেখায়, তার জন্য উক্ত কাজ সম্পাদনকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব রয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৭০-৭১)
প্রশ্ন ২: সবাই কি আলাদা ভাবে মুয়াজ্জিন এর সমপরিমাণ সওয়াব পাবে নাকি টাকার অনুপাতে মুয়াজ্জিন এর সমপরিমাণ সওয়াব সকলের মাঝে ভাগ করে দেয়া হবে ? যেখানে সবাই সমপরিমাণ টাকা দেয় নি।
প্রশ্ন ৩: দান করার প্রতিযোগিতা যাবে কি ?
যেমন। কোনো একটি দ্বীনের কাজে আমি মনে মনে নিয়ত করলাম যে আমি ৫ হাজার টাকা দিবো। কিন্তু কেউ একজন যখন বললো আমি ১০ হাজার টাকা দিবো, তখন তার সাথে দানের প্রতিযোগিতা করার জন্য আমি কি তার চেয়ে বেশি টাকা দান করতে পারি যদি তা লোক দেখানোর জন্য না হয় ? এভাবে দানের প্রতিযোগিতা করে বেশি সওয়াব আশা করা কি ইসলামে জায়েজ ?
প্রশ্ন ৪: দ্বীনের কাজে উপস্থিত সকল লোকের সামনে কেউ একজন দান করতে চাইলো না এই জন্য যে লোকে তাকে দানবীর বলতে পারে , আবার হিংসাও করতে পারে; না জানি সে কত টাকার মালিক। আবার সবার সামনে না দিলে মানুষ ভাববে লোকটি কৃপণ , এমন কি অগোচরে সমালোচনাও করতে পারে।
এক্ষেত্রে দাতার কোনটি করা উচিত?