আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
79 views
in সালাত(Prayer) by (2 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম।
হযরত একটি দুঃস্বপ্নের ব্যাখ্যা জানতে চাচ্ছিলাম এবং সে অনুযায়ী আমার করণীয় কি সেটা জানতে চাচ্ছিলাম।

গত কয়েক বছর ধরে মাঝেমধ্যে ( ইদানীং মাসে ১-২ বার বা ২-৩ মাস পরপর দেখছি। আগে সাধারণত ৬ মাস বা এক বছর পরপর দেখতাম। এখন পর্যন্ত সম্ভবত ৬-৭ বার দেখেছি) আমি স্বপ্নে নিজেকে নামাজ পড়তে দেখি। কিন্তু,
১) একদিন দেখলাম যে নামাজের শেষে আমি ডানদিকে সালাম না ফিরিয়ে বাম দিকে আগে সালাম দিচ্ছি।
২) একবার দেখলাম যে নামাজের মধ্যে ভুল তিলাওয়াত করতে দেখি।
৩) কখনও দেখি যে মসজিদ গিয়েছি বা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি কিন্তু হঠাৎ কারও সাথে কথা বলছি বা কোনো কাজ করছি, এদিকে জামাতে নামাজ শেষ হয়ে গেছে।
এধরনের স্বপ্ন দ্বারা কিসের ইঙ্গিত বোঝা যায় এবং ক্ষতিকর কিছু হলে সেটা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি জানাবেন।
closed

1 Answer

0 votes
by (59,040 points)
selected by
 
Best answer

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামের দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। যথা:-

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে 

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

সাধারণত স্বপ্নে নামায পড়া হল, রহমত ও বরকতের আলামত। দুআ করি আল্লাহ অচিরেই আপনাকে রহমত ও বরকত দান করুন।

আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে যে, আপনার স্বপ্নগুলো ২য় প্রকার অর্থাৎ শয়তানের পক্ষ থেকে হতে পারে। এজাতীয় স্বপ্নের মাধ্যমে শয়তান মানুষের ইবাদতে মনোযোগ ও একাগ্রতা নষ্ট করে দেওয়ার অপচেষ্টা করে। এমতাবস্থায় আপনার জন্য করণীয় হলো, উক্ত স্বপ্নগুলির অনিষ্টতা থেকে আল্লাহ তায়ালার নিকট ইস্তেগফার করবেন এবং অত্যন্ত মনোযোগের সাথে নিয়মিত জামাতে নামায পড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। আশা করি আল্লাহ তায়ালা আপনাকে শয়তানের ধোকা ও অনিষ্টতা থেকে হেফাজত করবেন ইনশাআল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (2 points)
ইনশাআল্লাহ আমল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। 

উত্তর দেওয়ার জন্য জাজাকাল্লাহ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...