বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জ্বী,নাসারা-ইহুদি তাদের গোত্রগত নাম।সকল নবীই মুসলমান তথা দ্বীনে হানিফার অনুসারী ছিলেন।
লুত আঃ নবী ছিলেন।
নবী ও রাসূল দু’টি শব্দের অর্থই বার্তাবাহক। তারা সকলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর বাণী প্রচারের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এক্ষণে উভয়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায় সূরা হজ্জের ৫২ আয়াতে। তবে সে পার্থক্যের স্বরূপ নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ফার্রা বলেন, ‘রাসূল’ তিনি, যার নিকটে প্রকাশ্যভাবে জিব্রীলকে পাঠিয়ে আল্লাহ রিসালাত প্রদান করেছেন। পক্ষান্তরে ‘নবী’ তিনি, যার নিকটে আল্লাহ কোন খবর পাঠিয়েছেন ইলহাম অথবা স্বপ্নের মাধ্যমে (যেমন ইবরাহীম (আঃ)-এর নিকট পাঠিয়েছিলেন)। অতএব প্রত্যেক রাসূলই নবী, কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন। মাহদাভী ( ﺍﻟﻤﻬﺪﻭﻯ ) বলেন, এটাই সঠিক। কাযী ইয়ায বলেন, বিদ্বানগণের বিরাট অংশ এ মতকেই সঠিক বলেন যে, প্রত্যেক রাসূলই নবী। কিন্তু প্রত্যেক নবী রাসূল নন। তিনি আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ থেকে দলীল নিয়েছেন যে, ১ লাখ ২৪ হাযার পয়গাম্বরের মধ্যে ৩১৫ জনের বিরাট সংখ্যা ছিলেন ‘রাসূল’ (তাফসীর কুরতুবী; আহমাদ হা/২২৩৪২; মিশকাত হা/৫৭৩৮; ছহীহাহ হা/২৬৬৮) । সম্ভবতঃ এ কারণেই মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে কুরআনে ‘শেষনবী’ বলা হয়েছে (আহযাব ৩৩/৪০) , শেষ রাসূল নয়। হাদীছেও তিনি বলেছেন, আমি শেষনবী, আমার পরে কোন নবী নেই’ (আবুদাঊদ হা/৪২৫২; মিশকাত হা/৫৪০৬) । কেননা নবী ব্যতীত কেউ রাসূল হ’তে পারেন না।( সংগৃহিত)
নবী এবং রাসূল এর সংজ্ঞা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।
বিশুদ্ধ কথা হল,
রাসূল তিনি যিনি নতুন শরীয়ত এবং নতুন কিতাব নিয়ে এসেছেন।আর নবী তিনি যিনি পূর্ববর্তী কোনো রাসূলের শরীয়তের দাওয়াত নিয়ে এসেছেন।
একটা হিন্দু ছেলে যদি ২০ বছর বয়স পর্যন্ত হিন্দু থাকে তারপর পাগল হয়ে যায় তখন তাকে হিন্দু হিসেবেই গণ্য করা হবে।