আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
উস্তাদ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্, আমার period এর অনেক problem হচ্ছে, kindly একটু suggest করবেন please.
আজ প্রায় ছয় মাস হলো আমার period অনিয়মিত হচ্ছে। আমার নিয়মিত period এর উদাহরণ হলো কোনো মাসে এক সপ্তাহ বা তিনদিন আগে হয়ে যায় আর সাতদিন থাকে সর্বোচ্চ।
এবার বিগত ছয় মাসের অবস্থার একটা  উদাহরণ দেই:
Period এর date ছিলো 22 June, ঠিক সময়ে 22 June এ হয়ে আমি সপ্তম দিনে white discharge দেখে নামাজ আদায় শুরু করি 28 June এ। এরপর 2 July এ আমার পুনরায় period শুরু হয় এবং আবারও সাতদিন চলে ঠিক period এর মতো, অনেক বেশি পরিমাণ। কিন্তু যেহেতু দুই period এর মধ্যে difference 15 দিন হয়নি আমি নামাজ normal ভাবে continue করি, শুধু প্রতি নামাজের আগে ওযু করে নিই আর phone এর app থেকে Quran পরি (ভুল হলে Quran হাতে নিয়ে পড়লে পাপ যদি হয় সেই ভয় এ)। সাতদিন গেলে তাও ফরজ গোসলের নিয়তে গোসল করে নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াত অব‍্যাহত রাখি।
এবার, 14 July এ সারাদিন period হয় সামান্য তাই ইস্তিহাজা ভেবে নামাজ চার ওয়াক্ত continue করার পরে রাতে অনেক বেশি পরিমাণে হলে, ভাবি আমার হায়েজ কখনো এক সপ্তাহ আগে ও হয়ে যায়, তাই আমি ভয়ে হায়েজ ভেবে নামাজ বন্ধ রাখি। এটা তিনদিন পর্যন্ত বেশি হয় এবং বর্তমানে শুধু brown discharge হচ্ছে। আমিও যেহেতু আমার normal হায়েজ এর দিন সাত তা থেকে বুঝতে পারছিনা এখন white discharge এর জন্য আর পুরোপুরি brown discharge বন্ধ হবার জন্য নিয়ম মতো সাতদিন wait করবো কি না এই অবস্থায় এটা ইস্তিহাজা ভেবে গোসল করে নামাজ continue করবো?
আর যদি আমার 22 July এ আবার বেশি period হয়ে সাতদিন থাকে তাহলে কোনটাকে হায়েজ আর কোনটাকে ইস্তিহাজা বলবো? এর আগেও আমার নামাজ বন্ধ করে দেখি normal date এর সাতদিন আগে period হয়ে সাতদিন হায়েজ এর নিয়মে হয়ে তিনদিন পরে ঠিক period এর দিন আবার হয়েছে। এমন অবস্থায়, আমি কাজা নামাজ কীভাবে কোনটা তুলবো একটু জানিয়েন please.
আর এমন অবস্থায় কি আমার ফরজ, নফল আর সুন্নাত রোজা হবে? সন্দেহের মধ্যে থাকা অবস্থায় কোরআন mobile app থেকে দেখে পড়লে কি গুনাহ হবে?

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

1 Answer

+1 vote
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকল প্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- ৭৪৭৪

(وَمِنْهَا) النِّصَابُ أَقَلُّ الْحَيْضِ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَثَلَاثُ لَيَالٍ فِي ظَاهِرِ الرِّوَايَةِ. هَكَذَا فِي التَّبْيِينِ وَأَكْثَرُهُ عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَلَيَالِيهَا. كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ.
হায়েযের সর্বনিম্ন মেয়াদ ৩ দিন ৩ রাত। তিন দিনের কম রক্তস্রাব হলে সেটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে না। হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০ দিন১০ রাত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দুই হায়েযের মধ্যবর্তী সর্বনিম্ন ১৫ দিন গ্যাপ থাকতে হয়। যদি পূর্বের হায়েযের ১৫ দিন পর রক্তস্রাব হয়, এবং সেটা তিন দিন তিন রাতের কম হয়, তাহলে সেটাও ইস্তেহাযা। আর যদি তিন দিন তিন রাতের বেশী হয়, তাহলে এটা হায়েয। আপনি আপাতত তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। যদি তিন দিন তিন রাতের পূর্বেই রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে ঐ নামাযগুলো কা'যা করে নিবেন। আর যদি তিন দিন তিন রাত অতিক্রম করে, তাহলে হায়েয ধরে নিবেন। তখন নামাযগুলোকে আর কাযা করতে হবে না।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
২ জুলাইয়ের রক্তস্রাব ইস্তেহাযা।আর ১৪ জুলাই থেকে যে রক্তস্রাব হয়েছে,সেটা যেহেতু তিন দিন অতিক্রম করেছে, তাই এটা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। এভাবে প্রতি ১৫ দিন পর পর হায়েযের হিসাব হবে যদি তিন দিনের বেশী রক্ত স্থায়ী হয়। তবে ১৫ দিনের পূর্বে হায়েয হবে না বরং তখন সেটাকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...