ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
وإن كانت شيئا لا يزول أثره إلا بمشقة بأن يحتاج في إزالته إلى شيء آخر سوى الماء كالصابون لا يكلف بإزالته. هكذا في التبيين وكذا لا يكلف بالماء المغلي بالنار. هكذا في السراج الوهاج.
আর যদি নাজাসতের আছর এমন হয় যে,কষ্ট করা ব্যতীত তা দূর হবে না তথা এটা দূর করতে পানি ব্যতীত ভিন্ন জিনিষের মুখাপেক্ষী হতে হয়। যেমন সাবান ইত্যাদি।তাহলে এমতাবস্থায় আছর দূর করার হুকুম দেওয়া হবে না।
(তাবয়ীনুল হাক্বাইক্ব)
এবং গরম পানি দ্বারা আছর দূর করারও হুকুম প্রদান করা হবে না।(আস-সিরাজুল ওয়াহ্হাজ)
إلي أن قال ...............وإن كانت غير مرئية يغسلها ثلاث مرات. كذا في المحيط ويشترط العصر في كل مرة فيما ينعصر ويبالغ في المرة الثالثة حتى لو عصر بعده لا يسيل منه الماء
(অতঃপর এক পর্যায়ে বলা হয়)
নজাসত যদি অদৃশ্যমান হয় তাহলে তিনবার দৌত করতে হবে।(মুহিত)প্রতিবার দৌত করার সময় কাপড় ইদ্যাদি নিংড়ানো শর্ত।বিশেষ করে তৃতীয়বার এমনভাবে নিংড়াতে হবে যে, এরপর যদি কেউ আবার নিংড়াতে চায় তাহলে এত্থেকে পানি ঝড়ানো যাবে না।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/৪১-৪২)
۔ في الدر المختار: ولا یضر بقاء أثر کلون وریح الخ (الدر مع الرد: 1/537، ط: زکریا، الطہارة / الأنجاس )
নাজাসতকে দূর করার পর যদি রং বা দুর্গন্ধ বাকী থাকে, তাহলে এতেকরে পবিত্রতা অর্জনে কোনো সমস্যা হবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাপড় গুলোতে যদি দৃশ্যমান নাপাকি থাকে, তাহলে ঐ নাপাকি দূর করার দ্বারাই কাপড়গুলো পবিত্র হয়ে গেছে। তবে যদি তাতে অদৃশমান নাপাকি থাকে, তাহলে তিনবার ধৌত করা ও ধৌত করার পর নিংড়ানোর দ্বারা কাপড়গুলো পবিত্র হয়ে গেছে। শুকানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। সুতরাং প্রশ্নের বর্ণিত কাপড় যেগুলোকে উঠাতে মনে ছিলনা সেগুলো পবিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে। এগুলোকে আবার ধৌত করতে হবে না।