ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি বেহুশ অবস্থায় কারো পাঁচ ওয়াক্ত নামায বা তার চেয়ে কম নামায কা'যা হয়ে যায়,তাহলে উনি অার শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন না।তবে যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পূর্বেই হুশ চলে আসে,তাহলে উনি শরীয়তের মুকাল্লাফ থাকবেন। যথাসম্ভব নামায আদায়ের চেষ্টা করবেন,নতুবা কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে যাবেন।নিজ জীবদ্দশায় নামাযের কাফ্ফারা আদায় করা সমুচিত নয়।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৫/৫১১)(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম দেওবন্দ-৪/২৫৪)
জীবদ্দশায় নামাযের কাফ্ফারা আদায় করা যাবে না।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৬৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আমার বোনের স্বামী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে যে দুই মাস সালাত আদায় করতে পারেননি, যদি সে সময় উনি বেহুশ থাকেন, এবং পরবর্তীতে হুশ চলে আসে, ইশারার মাধ্যমে তখন নামায পড়া উনার জন্য সম্ভব ছিলো বলে ধারণা করা যায়, তাহলে উনার ছুটে যাওয়া নামাযগুলোর ফিদয়া আদায় করা ওয়ারিছদের জন্য উচিৎ।প্রতি ওয়াক্তের জন্য একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিলেই হবে।বিতির সমহ দৈনিক ৬ ওয়াক্তের ফিদয়া আদায় করতে হবে।