আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
54 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি গতকাল আসরের নামাজ পড়ার সময় কিছু একটা বের হওয়ার মতো মনে হলো,অনেক সময়ই এমন হয় কিন্তু পরে চেক করে দেখি কিছু বের হয়নি, আমি আসরের নামাজ শেষ করে সালোয়ারে চেক করে কোনো দাগ দেখিনি (একটু অসুস্থ ছিলাম, ভালো করে চেকও করা হয়নি হয়তো) কিন্তু এরপর আর কিছু বের হওয়ার মতো অনুভব হয়নি মাগরিব পর্যন্ত কিন্তু মাগরিবের আগে সালোয়ারে দাগ দেখতে পাই, আমি ধারণা করছি আসরের সময়ই হয়তো ওজু ভেঙে গেছিলো, অসুস্থ ছিলাম, খারাপ লাগছিলো তাই কাজা না পড়ে শুধু মাগরিবটা কোনোরকমে পড়েছি, তারপর ইশা এবং ফজরের নামাজের আগেও আসরের কাজা পড়িনি,এখন কি আমি আসরের কাজা পড়বো?ওয়াক্তিয়া নামাজের পরে কাজা পড়া যাবে?অনেক সময় কনফিউজড থাকি কাজা পড়তে হবে কিনা বা অসুস্থ থাকলে কাজা নামাজ কি পরে পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (53,010 points)
edited by

 

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

বালিগ হওয়ার পর যার জীবনে ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কা'যা হয়নি,সেই ব্যক্তিই সাহেবে তারতীব। সুতরাং কেউ যদি টানা কয়েক বছর নামায না পড়ে তাকে,এবং পরবর্তীতে নিয়মিত নামায পড়া শুরু করেএবং তখন ১/২ ওয়াক্ত নামায কা'যা হয়,তাহলে ঐ ব্যক্তি সাহেবে তারতীব হবে না।কেননা ঐ ব্যক্তির অধীনে বা জিম্মায় অসংখ্যাত  নামায কা'যা রয়েছে।তাই ঐ ব্যক্তিকে সাহেবে তারতীব বলা যাবে না।সাহেবে তারতীব হওয়ার জন্য ছয় ওয়াক্তের বেশী নামায কাযা হতে পারবে না বা জিম্মায় থাকতে পারবে না।

যদি কারো অনেক নামায কা'যা থাকে,এবং ঐ ব্যক্তি কা'যা আদায় করতে করতে ছয় ওয়াক্তের কম নামায তার জিম্মায় বাকী থাকে,তাহলে কি সে সাহেবে তারতীব হবেএ সম্পর্কে দু ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায়বিশুদ্ধ কথা হল,ঐ ব্যক্তিও সাহেবে তারতীব হিসেবে গণ্য হবে।

সাহেবে তারতীব ব্যক্তির জন্য তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। অর্থাৎ প্রথমে কাযা নামায গুলো ধারাবাহিক আদায় করতে হবে।তারপর ওয়াক্তের নামায আদায় করতে হবে।উল্টো করলে ওয়াজিব তরকের গোনাহ হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/5512  

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

আপনি যদি সাহেবে তারতীব না হনতাহলে আসরের সালাত বা ওয়াক্তিয়া সালাত যেকোনো একটি প্রথমে পড়তে পারবেন। আপনি চাইলে প্রথমে ওয়াক্তিয়া সালাত পড়তে পারবেন। আবার চাইলে প্রথমে কাযা পড়তে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...