আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
86 views
in পবিত্রতা (Purity) by (52 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর 
 

১)  আমি আপনাদের থেকে অনেক ব্যাপারে জেনে উপকৃত হয়েছি ।  হুজুর আমি এখানে https://ifatwa.info/65338/ নিজের সমস্যার কথা বলেছিলাম। বর্তমানে আমার কাছে এমন অনেক বই খাতা আছে যেগুলো কয়েকবছর ধরে আছে। এগুলো পুরাতন বই।  এখন সেগুলো পাক নাকি নাপাক তা জানি না। যদিও বই খাতায় ডাইরেক্ট নাপাক লাগে নি৷ আগের অজ্ঞতার কারণে আর আগের জীবনপরিচালনার নিয়মের কারণে এখনো আমাকে বিভিন্ন সমস্যায় এভাবে পড়তে হচ্ছে। কিছু বই আমার ছোট ভাই বলেছে তার দরকার পড়তে পারে। তবে তাকে না দিলে সেগুলো সে কিনে ফেলবে। এখন বইগুলোর আমি কি করবো। এ বই খাতাগুলোকে আমি ফেলে দিব? ফেলে দিলে কোথায় ফেলব ডাস্টবিনে নাকি এ বই গুলো পুরাতন বই ওয়ালার কাছে বিক্রি করে দেব নাকি পেপার ওয়ালার কাছে।  এগুলো যে উপায়ে বিক্রি করি নাপাক তো ছড়াতে পারে। বই ওয়ালা এগুলো অন্য কারো কাছে বিক্রি করবে, পেপারওয়ালা সম্ভবত এগুলো ঠোঙা হিসেবে বিক্রি করে দিবে।  কখনো হাত ভেজা থাকলে সে হাতে নাপাকি লেগে থাকলে যখন বই খাতা ব্যবহার করেছি তখন সে ক্ষেত্রে নাপাক লেগে যেতে পারে, এভাবে বই খাতায় নাপাক লাগার সম্ভাবনা আছে৷ তবে ডাইরেক্ট নাপাক লাগেনি। যদিও বই, খাতার সব পৃষ্ঠা পরিনি বা ব্যবহার করি নি। তবে হাত দিয়ে একসময় উল্টে পাল্টে দেখা হয়েছে। 

 

২) হুজুর একটা ডাইরিও আছে। যেটা আমি পবিত্রতার ব্যাপারে জ্ঞান প্রাপ্ত হওয়ার কয়েকমাস আগে কিনেছিলাম। তেমন একটা ব্যবহার করা হয়নি, কিছু পৃষ্ঠা লেখা হয়েছে আর বাকি পৃষ্ঠা উল্টেপাল্টে দেখা হয়েছে।  

 

৩) হুজুর অনেক বস্তুুর নিজস্ব ঘ্রাণ থাকে বা গন্ধ থাকে।  এখন এসব বস্তুতে যদি নাপাক না দেখি আর  নাপাকির ঘ্রাণ যদি না পাই তাহলে কি ধরে নিব এগুলো পাক বস্তুু? সমস্যা হচ্ছে এসব বস্তুুর নিজস্ব গন্ধ আছে। যেমন: নতুন বই, ল্যাপটপ, জুতা, সাবান দিয়ে কিছুসময় আগে ধোঁয়া হয়েছে এমন হাত। আমি কোথাও ডাইরেক্ট নাপাক লাগাইনি। কখনো হাত ভেজা থাকলে সে হাতে নাপাকি লেগে থাকলে যখন ল্যাপটপ, জুতা ব্যবহার করেছি তখন সে ক্ষেত্রে নাপাক লেগে যেতে পারে। আমার হাত গরমে কিছু ঘামে। 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (574,470 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي خَلَفٍ، قَالَا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ، وَعَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ، عَنْ عَمِّهِ، قَالَ: شُكِيَ إِلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم الرَّجُلُ يَجِدُ الشَّىْءَ فِي الصَّلَاةِ حَتَّى يُخَيَّلَ إِلَيْهِ فَقَالَ " لَا يَنْفَتِلُ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا " . - صحيح : 

‘আব্বাদ ইবনু তামীম হতে তাঁর চাচার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে অভিযোগ করল যে, কখনো সলাতের মধ্যে কিছু একটা সন্দেহ হয় যে, তার অযু হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি বললেন, (বায়ু নির্গত হওয়ার) শব্দ না শুনা কিংবা গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত সলাত ছাড়বে না।

বুখারী (অধ্যায়ঃ উযু, অনুঃ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সন্দেহ বশতঃ উযু করতে হবে না, হাঃ ১৩৭), মুসলিম ৩৬২ (অধ্যায়ঃ হায়িয, অনুঃ পবিত্রতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর উযু নষ্ট হওয়ার সন্দেহ হলেও ঐ অবস্থায় সালাত আদায় করা জায়িয,মিশকাতুল মাসাবিহ ৩০৬)

এই হাদীসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসিনে কেরামগন বলেছেনঃ

ব্যাখ্যা: قَوْلُهٗ (حَتّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَو يَجِدَ رِيْحًا) (যতক্ষণ না সে বায়ু বের হওয়ার শব্দ বা নির্গত বায়ুর গন্ধ পাবে ততক্ষণ নামাজ ছেড়ে আসবে না)। এর অর্থ হলো যতক্ষণ না সে শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়া বা অন্য যে কোন পন্থায় তার বায়ু নির্গত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হয় ততক্ষণ নামাজ পরিত্যাগ করবে না বা ছেড়ে আসবে না। তবে এতে সুনিশ্চিত হওয়ার জন্য শুধুমাত্র শব্দ শ্রবণ বা গন্ধ পাওয়াটিই শর্ত নয়।

এ হাদীস আরও প্রমাণ করে যে, শারী‘আতের কোন বিষয়ে সন্দেহের মাধ্যমে সুনিশ্চিত বিষয় বাতিল হয়ে যাবে না। অতএব যার সন্দেহ হবে বায়ু নির্গত হয়েছে কিনা তবে সে তার অজু ভঙ্গ না হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত থাকবে। নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত এ সন্দেহ তার কোন ক্ষতি করবে না। আর এটি অন্যান্য বিষয়েও সমভাবে প্রযোজ্য।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(১-২)
যেহেতু এসব বই ও খাতা,ডাইরিতে নাপাকি লাগা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত নন,অহেতুক সন্দেহ মাত্র।

সুতরাং এসব বই খাতা,ডাইরি ফেলে দিতে হবেনা।
আপনি এগুলো পাক হিসেবেই ধরবেন।

(০৩)
এসব বস্তুতে যদি আপনি নাপাক ভেজা হাতে স্পর্শ না করেন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এসব বস্তুকে আপনি পাক হিসেবে ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...