জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আপনার যদি অযু না ভাঙ্গে,সেক্ষেত্রে এক অযু দিয়ে একাধিক ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে পারবেন।তবে যদি অযু ভেঙ্গে যায়,সেক্ষেত্রে পুনরায় অযু না করে নামাজ আদায় জায়েজ হবেনা।
(০২)
শরীয়তের বিধান হলো দুনিয়াবি দোয়া করলে নামাজ ভেঙে যায়।
দুনিয়াবি দোয়াঃ যেটা মানুষের কাছে থেকেও পাওয়া যায়,যেমন হে আল্লাহ আমাকে কাপড় দাও,বিবাহ দাও,এক লক্ষ টাকা দাও ইত্যাদি।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/১০৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন
إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»
নিশ্চয় এ নামায; এতে মানুষের মুখে প্রচলিত কথা বলা উচিত নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭]
قال العلامۃ التہانوي تحتہ: دل الحدیث علی أنہ لا یجوز في الصلاۃ شيء من کلام الناس، فتفرع علیہ أن الدعاء أیضاً إذا کان یشبہ کلامہم لا یجوز، وہو قول أبي حنیفۃ وأصحابہ وطاؤس وإبراہیم النخعي۔ (کذا في فتح الباري ۲؍۲۶۶، إعلاء السنن ۳؍۱۷۲ رقم: ۸۹۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
থানবি রহঃ বলেন উক্ত হাদীস দালালত করে যে নামাজের ভিতর দুনিয়াবি কথাবার্তা বলা জায়েজ নেই।সুতরাং দুনিয়াবি দোয়া যেটা মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে,সেটি বলাও জায়েজ নেই।
ویفسد ھا التکلم الخ، عمدہ وسہوہ قبل قعودہ قدر التشہد سیان، وسواء کان ناسیا أو نائماً أو جاھلا أو مخطئاً أو مکرھاً ھو المختار۔ (درمختار مع الشامي ۲؍۳۷۰ زکریا، مراقي الفلاح مع الطحطاوي ۱۷۵، بدائع الصنائع ۱؍۵۱۸، شرح الوقایۃ ۱؍۱۶۳، حاشیۃ الطحطاوي ۳۲۱)
সারমর্মঃ ইচ্ছাপূর্বক হোক,বা অনিচ্ছায় হোক,কথা বললে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
والدعاء بما یشبہ کلامنا نحو: اللّٰھم ألبسني ثوب کذا أو أطعمني کذا أو أقض دیني أو أرزقني فلانۃ علی الصحیح؛ لأنہ یمکن تحصیلہ من العباد۔ (مراقي الفلاح)
দুনিয়াবি দোয়াঃ যেটা মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে,যেমন হে আল্লাহ আমাকে উমুক কাপড় দাও,ঐ খাবার দাও,ওই মহিলার সাথে বিবাহ দাও,আমার করজ শোধ করে দাও ইত্যাদি।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি যদি মনে মনে দোয়া করে থাকেন,সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে যায়নি। তবে যদি মুখে উচ্চারণ করে দোয়া করে থাকেন,সেক্ষেত্রে সেই নামাজ গুলি ভেঙ্গে গিয়েছে। পুনরায় সেই নামাজ গুলি আদায় হবে।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে সেটা খাওয়া আপনাদের জন্য জায়েজ হবে।
তদুপরি আপনার বাবা সকল ভাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি স্পষ্ট আকারে সুরাহা করে নিবেন,এটাই উত্তম, যাতে করে আর কোনো মন কষাকষি না হয়।
(০৪)
খেতে পারবেন।
(০৫)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের থেকে অনুমতি নিতে হবেনা।
অনুমতি না নিয়েও খেতে পারবেন।
তদুপরি আপনার বাবা সকল ভাইকে নিয়ে বসে বিষয়টি স্পষ্ট আকারে সুরাহা করে নিবেন,এটাই উত্তম, যাতে করে আর কোনো মন কষাকষি না হয়।