আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
আমার ২০১৬ সাল থেকে টনসিল। ডাক্তার দেখাচ্ছি ২০১৭ থেকেই।। ডাক্তার অপারেশন করাতে নিষেধ করেছে। জন্য বেশ সাবধানে থাকতে হয়। উনিশ বিশ হলেই ঠান্ডা লেগে যায়। এবং গলায় প্রদাহ হয়।

শীতকালে বেশি হয় বিশেষ করে ফজরে,এশা তাহাজ্জুদে সমস্যা হয় বেশি। আর এই সময়গুলোই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সলাত পড়া কুরআন পড়ায় বেশ কষ্ট হয়। মাঝে মাঝে সুন্নাত বাদ দিই। কিন্তু সুন্নাতের জন্য খারাপ লাগে মনে শান্তি হয় না।

এখন আমার প্রশ্ন হলো

১।গলায় ব্যাথার জন্য যদি মুখে উচ্চারণ না করে সলাত আদায় করি বা উচ্চারণ করলেও মাখরাজ আদায় না হয় কখনো কখনো আমার কি সলাত হবে?(সুন্নাত,নফল)

কারণ মাখরাজ থেকে আদায় করা তো ফরজ।
এই ভয়ে কষ্ট হলে সুন্নাত বাদ দিয়ে দিই।

২।সকালের আযকার এবং রোজকার কুরআন তিলাওয়াত যদি মনে মনে মুখে উচ্চারণ করে না করি বা উচ্চারণ করলেও মাখরাজ থেকে আদায় না হয় তাহলে কি আদায় হবে?(এগুলো তো ফরজ সুন্নাত নয় কিন্তু নিজের সেফটির জন্য ও তো প্রয়োজন আমার ওয়াসওয়াসা এবং বদনজর ও মারাত্মক)

৩।আমাকে সেলফ রুকইয়াহ ও করতে হয় বদনজর এবং ওয়াসাওয়াসা র জন্য তখন গলা ব্যাথা দেখা দিলে মনে মনে পড়া বা মুখে পড়লেও যদি মাখরাজ ঠিক মতো আদায় না হয় আমার কি এগুলো কার্যকর হবে?

জাঝাকুমুল্লাহু খইরান ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আখিরহ।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। 

মহান আল্লাহ তাআলার কালাম তিলাওয়াতের বিশেষ নিয়ম ও আদব রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
وَرَتِّلِ الْقُرْآنَ تَرْتِيلًا
কুরআন তিলাওয়াত কর ধীরস্থির ভাবে, স্পষ্টরূপে। -সূরা মুযযাম্মিল (৭৩) : ৪

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-
زينوا القرآن بأصواتكم
সুন্দর সূরের মাধ্যমে কুরআনকে  (এর তিলাওয়াতকে) সৌন্দর্যমণ্ডিত কর। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৪৬৮

বিস্তারিত জানুনঃ  

https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ-
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। 

তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 

তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।

সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
নিকটতম মাখরাজ বিশিষ্ট হরফ উচ্চারণের ক্ষেত্রে অনেক বিজ্ঞ ইসলামী স্কলারগন ছাড় দিয়েছেন।
উনারা বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে অনেকেই বলেছেন যে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।  

আরো জানুনঃ-  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
গলায় ব্যাথার জন্য আপনি যদি মুখে উচ্চারণ না করে সলাত আদায় করেন,সেক্ষেত্রে আপনার সালাত আদায় হবেনা।

সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা (বড় আয়াত হলে এক আয়াত আর ছোট আয়াত হলে ৩ আয়াত পরিমান) উচ্চারণ করতেই হবে।

এক্ষেত্রে সালাত আদায়ে আপনার যদি কখনো কখনো মাখরাজ আদায় না হয়,সেক্ষেত্রে সালাত ভেঙ্গে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হলে সালাত ভেঙ্গে যাবে।  

(০২)
এক্ষেত্রে অর্থ বিকৃত হলে যদি কোনো কুফরি অর্থ হয়,বা শরিয়াহ বিরোধী অর্থ হয়,সেক্ষেত্রে জেনে শুনে করলে এটা জায়েজ নেই।

তবে না জেনে শুনে এভাবে তিলাওয়াত করলে অনেকেই বলেছেন যে অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের দরুন গুনাহ হবেনা।

(০৩)
মনে মনে পড়লে কার্যকর হবেনা।
মুখে পড়তে হবে।

মাখরাজ আদায় না করার দরুন শরিয়াহ বিরোধী অর্থ না হলে আপনার এগুলো কার্যকর হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...