আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,437 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
১। যাদুটোনা ও জীনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে, রূপায় বাধানো আকিক পাথরের লকেট ব্যাবহার করা জায়েজ হবে কি?

২। অনেকপূর্ব থেকে স্বামী-স্ত্রী, বাবা-সন্তানের  বিচ্ছেদের জন্য করা যাদু টোনা কাটানোর হালাল পদ্ধতি জানতে চাই।
৩। অঙ্গ কম্পন এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কি ইসলাম সম্মত?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
পাথরের আলাদা বিশেষত ইসলামে নেই।
যাদুটোনা ও জীনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে পাথরের দ্বারা নির্মিত আংটি ব্যবহার করা ও এ জাতীয় আকিদা পোষণ করা কখনো জায়েয হবে না।
তবে হ্যাঁ, যদি কোন পাথর এমন প্রমাণিত হয় যে, এটির কোন বিকিরণ ক্ষমতা থাকে, যা মানুষের শরীরে রাখলে বিশেষ কোন শারিরীক উপকার আসে, যা বৈজ্ঞানিকভাবে তথা বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রমাণিত হয়, তাহলে উসীলা হিসেবে ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু প্রমাণিত কোন পাথর ছাড়া এমনিতে রাশিচক্র ইত্যাদির উপর বিশ্বাস করে বৈজ্ঞানিকভাবে অপরিক্ষিত পাথরকে প্রতিক্রিয়াশীল মনে করা ও ব্যবহার করা বৈধ হবে না।

أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي بَعْدِي خَمْسًا: تَكْذِيبٌ بِالْقَدَرِ، وَتَصْدِيقٌ بِالنُّجُومِ

হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আমার পরে আমার উম্মতের ব্যাপারে আমি ৫টি বিষয়ের আশংকা করছি, এর মাঝে রয়েছে তাকদীরে অবিশ্বাস এবং গ্রহ-নক্ষত্রের বিশ্বাস। [মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৪১৩৫]


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আকিদা বিশুদ্ধ রেখে আকিক পাথর সম্ভলিত রুপার আংটি ব্যবহার করা যাবে।তবে আকিদা অশুদ্ধ রেখে ব্যবহার করা যাবে না।

(২)
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- 1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।দেখুন- 1816
(এলাজে কুরআনী-০৩)

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো জাদু ও জ্বীনের আসর উভয় বিষয়েই কার্যকর হবে ইনশা'আল্লাহ।

(৩)
অঙ্গ কম্পন এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া কখনো ইসলাম সম্মত হবে না।পুরোটাই ইসলাম ও শরীয়ত বিরুধী মূলক কাজ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...