ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/16122/
নং ফাতওয়ায় আমরা বলেছি যে,
গোসলের ফরয ১১টি।
(১) মুখ ধৌত করা।
(২) নাক ধৌত করা।
(৩) সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা
সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে। কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো
কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪) খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের
চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়, তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫) নাভি ধৌত করা।
(৬) শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো,
যা বুঁজে যায়নি।
(৭) পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো,
এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।
তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি
পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো
ফরয নয়।
(৮) দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯) গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০) ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১) যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. ফরজ গোসল করার সময় অবশ্যই ঐ গোসলের তিন ফরজ আদায় করতে হবে।
দৈনন্দিন আমরা যেই গোসল করি সেই ক্ষেত্রে তা আদায় করা আবশ্যক না। দৈনন্দিন
গোসলের সময় কুলি ও নাকে পানি না দিলে গোসলের কোনো সমস্যা হবে না। তবে এই গোসলের
ক্ষেত্রেও আগে অযু করে নেওয়া সুন্নাত।
২. জ্বী, অযু হবে ইনশাআল্লাহ।
এমনকি ঠিকমত গোসল করলে তখন অযুও হয়ে যাবে। গোসলের পর নতুন করে আর অযু করতে হবে না।
৩. সব জায়গায় পানি পৌছালেই অযু
হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে হাত দিয়ে পানি
পৌছানো ভালো। কারণ, অনেক সময় কোথাও পানি না পৌছাতে পারে।