আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in পবিত্রতা (Purity) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম
গোসল করার পর টাওয়াল দিয়ে মুছার সময় কপালে ঘষা লাগে। মনে হয়েছিল তখন ফোড়া ফেটে গিয়েছে। কিন্তুু আয়না ঝাপসা থাকায় চেক করতে পারি নি। বাথরুম থেকে বের হয়ে আয়না দেখলে মনে হয় ফোড়া ফেটে গিয়েছিল তখন। যদিও হুজুর আমার আগেও যখন কপালের ফোড়া ফাটতো। যতটুকু মনে পড়ে পুজ বা রক্ত কখনও গড়িয়ে পড়তে দেখিনি। ওখানে একটু বের হয়ে জমে থাকতো। আমার মতে এবার আমার ফোড়া ফেটে এক দিরহাম এর ও কম রক্ত বা পুজ বের হয়েছে বলেই ধারণা হচ্ছে। টাওয়াল দিয়ে মুছেছি তাই সেই তরল টাওয়াল বা শরীরের অন্য জায়গায় লেগে যেতে পারে।
এখন আমার করণীয় কি? আমি কি নিজের শরীর,  পরিধেয় কাপড় এবং টাওয়াল পবিত্র ধরবো? নাকি এখন আবার সব ধৌত করতে হবে?
বিঃদ্রঃ আগে কপালের ফোড়া ফাটলে সেই স্থানে পুজ বা রক্ত প্রায় সময় জমে থাকত।  এটা গড়িয়ে পড়তো না। তবে টিস্যু দিয়ে টান দিলে আসতো।
হুজুর এখন সবকিছু ধুতে গেলে আমার অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।
জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/6428/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো  রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। (হেদায়া-১/১০)

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ، انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)

আয়েশা রাযি. থেকে বর্ণিত,  রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ أَصَابَهُ قَيْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْيٌ، فَلْيَنْصَرِفْ، فَلْيَتَوَضَّأْ
যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অযু করে নিবে। (সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১)

ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا
যার সারমর্ম হলো  কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে গড়িয়ে পড়ার মতো রক্ত বা পুজ বের হলে অযু ভেঙ্গে যাবে।
এক্ষেত্রে টাওয়ালে এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি রক্ত/পুজ লাগলে টাওয়াল নাপাক হয়ে যাবে।
তবে এক দিরহাম থেকে কম লাগলে টাওয়াল নাপাক হবেনা।

আর যদি গড়িয়ে পড়ার মতো রক্ত বা পুজ বের না হয় সেক্ষেত্রে অযু ভেঙ্গে যাবেনা।

★উল্লেখ্য, প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গড়িয়ে পড়ার মতো রক্ত বা পুজ বের হয়েছে কিনা,সেটি আপনি প্রবল ধারণার ভিত্তিতে নির্ধারন করবেন।

শরীরে রক্ত/পুজের চিহ্ন,গন্ধ পাওয়া না গেলে সেটিকে নাপাক বলার সুযোগ নেই।
শরীরে স্পষ্ট আকারে রক্ত/পুজের চিহ্ন,গন্ধ পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে এক দিরহাম চেয়ে কম রক্ত লাগলে সেই শরীরে নামাজ হবে।
আর এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি রক্ত লাগলে সেই শরীরে নামাজ জায়েজ হবেনা।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...