আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
534 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
reopened by
পুর প্রশ্ন টা একবার হলে ও পরবেন আর আমাকে সমাধান দিয়েন ওয়াস ওয়াসার কথা টা বলবেন না অনুরোধ রইল।এড়িয়ে জাবেন না জনাব।

হুজুর আমি অবিবাহিত আমি কিছুদিন আগে তালাক সম্পর্কিত জানার পর থেকে আমার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওয়াস ওয়াসা হচ্ছে।

প্রশ্নটা হচ্ছে ৩/৪ দিন আগে সকালে আমি শুয়েছিলাম এরকম চিন্তা আসে যে আমি তোমাকে  বিয়ে করলে তালাক বা আমি যাকে বিয়ে করব সে তালাক এরকম চিন্তা আমার মনের মধ্যে আসে।তো আমার মনে এরকম যায় আসুক না কেন আমি সেটা জিব্বা  ঠোঁটের মাধ্যমে সেটা অনিচ্ছায় আমি সেটা বলেছি( আমি তোমাকে বিয়ে করলে তালাক ‌ এইটা বলসি আমার প্রবল ধারনা) কিন্তু কোন প্রকারের শব্দ বা আওয়াজ  হয় নাই  সাধারণত  বিড়বিড় করে  বা মিন করে যেভাবে বললে কোন প্রকারের শব্দ বা আওয়াজ হইনা অইভাবে তো নিজেকে বুঝানোর জন্য আমার  উদ্দেশ্য/নিয়ত  কি ছিল আমি মনের এই কথা টা  ঠোঁট  জিব্বা নাড়ানোর  মাধ্যমে  যে কথাটা বলেছি সেটা বুঝার জন্য এবং আমার নিয়ত উদ্দেশ্য  পরিষ্কার করার জন্য আমি তখন  বলি যে আমি তোমাকে বিয়ে করলে তালাক আমি তোমাকে বিয়ে করলে তালাক সাথে সাথে জখন বুজতে পারি সুধু এইভাবে বলা ঠিক  হইনাই সাথে সাথে  কয়েক সেকেন্ড পর এক মিনিটও হয় নাই কয়েক সেকেন্ড পর আমি বলি না না আমি এরকম বলিনি  তারপরে আবারো বলি আমি তোমাকে যদি বিয়ে করি তালাক তোমার সাথে বিয়ে হলে তালাক এইগুলা বলা শেষে বলি আমি এইগুলা  বলিনি বা এগুলা দিও নাই তারপর আবার বলি আমি তোমাকে যদি বিয়ে করি তালাক তোমার সাথে বিয়ে হলে তালাক এই কথোপকথন গুলো  আমি কয়েকবারই বললাম কিন্তু এই  কথাগুলো আমি নিজেকে বুঝাচ্ছি আমার উদ্দেশ্যটা কি ছিল আমার উদ্দেশ্য বা  নিয়ত কি ছিল সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি এগুলো বলছি কারণ আমি এতটুক জানি যে হুজুর সন্দেহ মাধ্যমে  কোন তালাক হয় না তাই আমি নিজে নিশ্চিত করতেছি  যে আমি এরকম উদ্দেশ্য করে আমি তাকে বলিনি তাকে বলতে হুজুর আমার কিছুদিন পরে বিবাহ তো তাকে উদ্দেশ্য করে আমি কিছু বলিনি সেটা বোঝানোর জন্য কথাগুলো যখন বলতে ছিলাম বলি তোমাকে বিয়ে করলে তালাক না তোমার সাথে বিয়ে হলে তালাক কথাগুলো বারবার আমি এরকম রিপিট করতাছি কিন্তু সেটা সম্পূর্ণ নিজেকে বোঝানোর জন্য বা আমার উদ্দেশ্যটা কি ছিল সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য কথাটা বললাম কিন্তু কোন মতেই যার সাথে আমার কিছুদিন পরে বিবাহ হবে আমার নিয়ত  আমার উদ্দেশ্যে আমার কথার মধ্যে তাকে ইঙ্গিত করে তাকে ইশারা করে বা তাকেই উদ্দেশ্য করে এরকম কোন কথাই আমার মধ্যে ছিল না আমি সম্পূর্ণ কথাগুলো  কথোপকথন গুলো আমি নিজেকে উদ্দেশ্য করে নিজেকে বুঝানোর জন্য যে আমার উদ্দেশ্যটা আসলে কি ছিল আমি যেহেতু মনের মধ্যে যা ছিল সেটা  আমি ঠোঁট বা জিব্বার বিড়বিড় করে বলি কোন শব্দ/sound  ছাড়া। এভাবেই ঠোঁট বা জিব্বার মাধ্যমে আমি যে কোন প্রকার শব্দ বা আওয়াজ  ছাড়া যেটা আমি বলেছি সেটা আমি মূলত আমার মনের মধ্যে কি উদ্দেশ্য ছিল বা কি নিয়তে বলেছি সেটা  আমি  নিশ্চিত করার জন্য বা বুজার জন্য আমি মূলত এগুলা উচ্চারণ করে বলেছি কিন্তু আমি আবারও বলছি আমি এ কথাগুলো কোনটাই কিছুদিন পরে যার সাথে বিবাহ হবে আমি তাকে উদ্দেশ্য করে বা তাকে ইশারা করে বা তাকে ইঙ্গিত করে কোনটাই বলিনি সম্পূর্ণ কথাটাই নিজেকে বোঝানোর জন্য যে আমার উদ্দেশ্য বা নিয়ত কি ছিল সেটার জন্য আমি কথাগুলো বলেছি আমি প্রচুর পরিমাণে হুজুর এগুলো নিয়ে টেনশন আছি কারন  আমি  যার সাথে বিবাহ  হবে তাকে ইঙ্গিত করে এগুলো বলিনি আমি সম্পূর্ণ নিজের উদ্দেশ্য আর নিজের নিয়ত  টাকে নিশ্চিত করার জন্যই নিজেকে বুঝানোর জন্য এই কথাগুলো বলেছি ।

হুজুর আমি যেহেতু আপনাকে বললাম আমি একজন ওয়াস ওয়াসার  রোগী অনিচ্ছায়  সারাদিন আমার মধ্যে এরকম চিন্তা ভাবনা আসতেই থাকে আসতেই থাকে আমি মাঝেমধ্যে হুজুর মুখটা আমার  সব সময় খুলতে পারিনা আমার মধ্যে এত পরিমানে ভয়ে কাজ করে আর তাই সেই কারণে আমি আমার এই কথাগুলো বলেছি  নিজের নিয়ত কি এবং উদ্দেশ্য কি ছিল সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য  আল্লাহ ভালো করে জানে  আমার উদ্দেশ্যে কি ছিল।
আরেকটা কথা সেইটা হচ্চে আমি তো সবি বললাম আপনাকে তো আমি এইগুলা মানে ১মে বির বির করে যেটা  বলসি ওই কথার মধ্যে  আমার কথা গুলার  কোন  শব্দ হইসে নাকি ওইটা  বুজার জন্য আমি কয়েকবার রুম এর  ফেন বন্দ করে  আবার অন করে একরুম থেকে অন্য রুমে জাইয়া  কথা গুলা জিব্বা ঠোট  এর মাধ্যমে  বলসি মুখ দিয়া উচ্চারণ করে না কিন্তু (মুখের বিতরে জিব্বা ঠোঁট এর মধ্যে একটা আওয়াজ আমরা বির বির করে বললে অনেক সময় হয়ে থাকে কিন্তু আমি যে কথাটা বলেছি ওটার কোন বাক্যের  শব্দ মুখ দিয়ে বের হয়নি ) এইটা বুজার জন্য যে আমার কোন বাক্যের  শব্দ হইসে নাকি ১মে ঠোঁটও জিব্বা  নাড়ানোর  মাধ্যমে যে কথাটা আমি বলেছি  তা বুজার জন্য এতে কোন সমস্যা হবে।

১.আমার এই কথাগুলো দ্বারা কি কোন প্রকারের সমস্যা বা তালাক হবে আমি কি  নিশ্চিন্তে বিবাহটা করতে পারব সমাধান দিবেন।  আমি আপনাকে সবকিছু  বলে দিলাম   আমার সমস্যার  সমাধান আমাকে দিয়ে দিবেন হুজুর

২.হুজুর আমার ocd আছে চিকিৎসা চলছে। তো আমার জন্য শরীয়তে কি কোন ছাড় আছে। এবং কখনো যদি তালাক সংক্রান্ত কোন কথা মুখ দিয়ে বলে ফেলি আল্লাহ কি মাফ করভেন আমার মাথায় অনিচ্ছা সত্তেও সারাদিন এইগুলা আস্তে থাকে আমাকে একটা সমাধান দিবেন হুজুর আমি ইতিমধ্যে ওসিডির চিকিৎসা নিচ্ছি কিন্তু আপনাকে বল্লাম। অনেক ভয় হয় যদি বিয়ে করলে অজান্তে হারামে থাকি এগুলা নিয়ে হুজুর ভয় হচ্ছে।

৩.আপনাদের কাছে এইগুলা লেখার সময় আমার মনে হবু বউ এর কথা মনে আসছে হাল্কা করে এতে কোন সমস্যা হবে না তো??
by (13 points)
edited by
বি.দ্র: আমি উপরে প্রশ্নে যা লেখলাম তার মদ্দে একটা লাইন bold করে নিচে দেওয়া হল:

(কারণ আমি এতটুক জানি যে হুজুর সন্দেহ মাধ্যমে  কোন তালাক হয় না) এইটা  আমি জানি ঠিকি কিন্তু সমস্যা টা জখন হইছে তখন এইটা মাথায় আসে নাই কিন্তু প্রশ্ন আপনাদের কাছে আর আপনাদের আগে অন্যদের কাছে করার সময় ও এইটা মনে/মাথায় আসাই উল্লেখ করে দিলাম বা কথা গুলার সাথে লেখে দিলাম কি কারনে লেখসি ঠিক মনে নাই। যেই কারনেই হক তাতে কোন সমস্যা নাই তাও বলে রাখলাম। হয়ত উত্তর যেন ভাল ভাবে পাই এই কারনে কিন্তু তা নিশ্চিত না বা অন্য কোন কারণে লেখসি হয়ত তা মনে নাই ঠিক  । 


উপরে প্রশ্ন টা আরেকবার দেখে নিবেন তাহলেই বুজবেন
by (13 points)
edited by
A few more words:: এই প্রশ্নের আলোকে আরও কিছু কথা এখন বলে রাখলাম দেখে নিবেন: 
আমার এখন যার সাথে বিয়ে হয়েছে তাকে উদ্দেশ্য করে আমার নিয়তে কখনো এমন কিছুই ছিল না তা,,,, মাসালা জানার পর থেকেই এইসব সমস্যা শুরু হয় আর দিনের পর দিন সন্দেহ চিন্তা এক্টার পর একটা লেগেই থাক্ত আর প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা বাদ তো করতামি তো মনে সারাদিন এইসব চিন্তা আশা কে তো আর নিয়ত ধরা যাবে নাহ আর জেইদিন ঘটনা টা ঘটছে অইদিন সকালে ও ঘুম থেকে উটার পরেই শোয়া অবস্থায় মনে এইগুলার চিন্তা শুরু হয় হওয়ার হয়ত কারন এইডা হবে তা হল আমি মুস্লিম বাংলা অ্যাপ এ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি (আমি একবার ভুল বিবাহ করি আগে/অতিতে তো অইটার সম্পর্কে  প্রশ্ন করি যার অবশ্য উত্তর পাইচি তো  উত্তর পাওয়ার পরে ও নানান ভাবে সন্দেহ আস্ত আর জিজ্ঞাসা করতাম ) আর সাথে মুয়াল্লাক তা,,,,,, নিয়েও একটা প্রশ্ন করি জানার জন্যই তো অইখানে এক মুফতি হুজুর থেকে উত্তর পাওয়ার পর থেকেই মানে অনার থেকে তা,,,,,, এর মাসালা জানার পর থেকেই মুয়াল্লাক তা,,,,, সম্পর্কিত  নিয়ে  কিছু সন্দেহ  আর প্রশ্ন আমাকে অনেক চিন্তা দিচ্চিল যেইটার সমাধান তখনও পাইনাই , হয়ত উত্তর পাইচি ঠিক মনে নাই ( মানে জুলাই ৮ তারিখে জেইদিন আমি মুখ দিয়ে ও মুয়াল্লাক এর কিছু কথা বলে ফেলি বা উচ্চারন করে ফেলি যা এই উপরের প্রশ্নে উল্লেখ আছে ) আর তার পরে ৮ তারিখে সকালে ঘুম থেকে জাগার পরেই মনে মুয়াল্লাক এর এইসব বাক্যর চিন্তা আশা শুরু হয়( জা মুসলিম বাংলা অ্যাপ এ জানসি মুফতি সাহেব থেকে ) আর তার পরেই বাকি ঘটনা ঘটে আর আমার প্রবল ধারনা অনুযায়ী ১মে এলাকার একজন মাওলানা হুজুর কে অনাকে ৪ বার জিজ্ঞাসা করসি আর তার পরে অনার থেকে উত্তর পাওয়ার পরে ও মনে সন্দেহ হচ্চেই যদি সমস্যা হয় কোন তার পরে দারুল ইফতার একজন হুজুরকে whatsapp এ মেসেজ দিয়ে তখন মনে যা ছিল তাই বলসি আর তার পরে সন্দেহ পিছু না ছাড়াই আপনাদের কে ও প্র্রশ্ন টা জিজ্ঞাসা করি ।হুজুর আমি মনের শান্তির জন্য কখনো বলব না আমি বাক্য গুলা আমি আমার বউ কে উদ্দেশ্য করে বলসি ( বিয়ের আগে তো হবু বউ ছিল) কারন আমি ওয়াস ওয়াসাই আক্রান্ত হওয়ার পরেই সারাদিন এইসব চিন্তা গুরপাক খেত মাথায় / মনে। 

এই কথা গুলা ও দেখে নিবেন একটু অনুরোধ। 
by (13 points)
edited by
বি.দ্র: আরও কিছু কথা বলে রাখি এই উপরের প্রশ্ন টার আলোকে :

হুজুর আরও বলে রাখি আমি এত টুকু নিশ্চিত আমার মনের মদ্দে গুরপাক খাওয়া চিন্তা বা কথা গুলার বাক্য জখন আমি অনিচ্চায় ঠোট জিব্বা নাড়িয়ে কোন শব্দ না করে  বলসি এইটার উপর ভিত্তি করেই পরে অই বাক্য গুলা উচ্চারন করসি এমন না যে আমি আগেই ভেবে রাখসি উচ্চারণ করব আশা করি বুজাতে পারছি। হুজুর আমার মনে জখনি তা,,,,,, সংক্রান্ত  এইসব নিয়ে ওয়াস ওয়াসা চিন্তা ভাবনা গুরপাক খাই তখনি/ প্রায় সময় আমার বউ যে এখন তখন ত হবু বউ ছিল অর কথা মনে ছলে আস্ত তো এই মনে চলে আশাকে ত আর নিয়ত বা উদ্দেশ্য ধরা যাবে নাহ তাইনা. যেহেতু বল্লামি হুজুর মনে তা,,,,, নিয়ে এইসব চিন্তা ওয়াস ওয়াসা আশ্লেই আমার বউ এর কথা মনে বা মাথায় চলে আস্ত সব সময় / প্রায় সময়  তাই এখন আমাকে এইটা নিয়ে ও সন্দেহ দিচ্চে আমি যদি আদও বলতাম আমার হবু বউকে উদ্দেশ্য বা নিয়ত করে তাহলে বলেই দিতাম আমার মদ্দে প্রবল ধারনা পরজন্ত আস্তাছে নাহ যে আদো আমি আমার বউকে উদ্দেশ্য করে বলসি নাকি এখন কয়েকদিন দরেই সন্দেহ হচ্চে যদি বলে থাকি এমন হচ্চে মনে। জখনি সান্ত ভাবে চিন্তা করি এক্টাই প্রবল ধারনা আসে যে আমি আমার বউকে উদ্দেশ্য করে বলিনাই কারন এইখানে তো তোমাকে বাক্য টা আছে যাকে দিয়ে তো আর বলিনাই.

এই কথা গুলা পরিচিত  হুজুর কে বলসি কিন্তু অনি ১ মাস এর আগে উত্তর দিবেন না তাই আমি যা পারলাম কিছু টা কথা এইখানে উল্লেখ করলাম যেন কোন কথা বাদ না পরে আপনাদের কে বলাই।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/60182/   নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ( ﺟَﺎﺀَ ﻧَﺎﺱٌ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺴَﺄَﻟُﻮﻩُ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺠِﺪُ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻳَﺘَﻌَﺎﻇَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﺘَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺪْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻤُﻮﻩُ ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻧَﻌَﻢْ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺍﻙَ ﺻَﺮِﻳﺢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ )

কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন,আমাদের অন্তরে অনেক সময় মন্দ চিন্তাভাবনা চলে আসে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, এটা কি সম্ভব? তারা বলল, জ্বী হ্যা। রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মাঝেমধ্যে এমন সন্দেহ মনে উঁকি দেয়াই হল, কামিল ঈমানের পরিচায়ক। (সহীহ মুসলিম-১৩২)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়, যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়। সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা। (আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

‘সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ)

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. জ্বী না প্রশ্নেল্লিখিত কোন ছুরতেই তালাক হবে না। আপনি নিঃসন্দেহে প্রশ্নেল্লিখিত সমস্যাগুলি হওয়ার মূল কারণ হলো ওয়াসওয়াসা । ওয়াসওয়াসা আসে শয়তানের পক্ষ থেকে। সে চায় মানুষকে পেরেশান ও অস্থির করে রাখতে যাতে সে আল্লাহ তায়ার ইবাদতে মাশগুল থাকতে না পারে। বিধায় এমন পরিস্থিতিতে আপনি হতাশ হবেন না। বরং ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচতে উপরে উল্লেখিত আমলগুলি করুন এবং মানসিক রোগের কোন ভালো চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা করুন।

২. আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

৩. জি না এতে কোন সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (13 points)
edited by
বি.দ্র: উপরে আমার প্রশ্নের নিছে নতুন কিছু কথা কমেন্ট এ উল্লেখ করসি একবার দেখে নিবেন। 
by (13 points)
edited by
Mmmmmmmmmmmmmm
by (13 points)
edited by
বি.দ্র: উপরে আমার প্রশ্নের নিছে নতুন কিছু কথা কমেন্ট এ উল্লেখ করসি একবার দেখে নিবেন। 
by (13 points)
edited by
Mmmmmmmmmmmmm
by (13 points)
edited by
Mmmmmmmmmmmmmmmmm

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...