আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতূহ সম্মানিত উস্তায।
স্বপ্নে শুধু দুই কালারের কাবা এবং মদীনা দেখার অর্থ কী হতে পারে উস্তায?
(প্রথমে একটা কালো কালারের কাবা পরবর্তীতে যেটা দেখানো হয়েছে সেটা কালচে বাট কালো না),প্রথমে কালো কালারের কাবা চোখের সামনে কেও একজন ধরে রেখেছে তারপর সেটি সরিয়ে কালচে কালারের কাবা চোখের সামনে নিয়ে আসে।যখন কালো কালারের কাবা সরিয়ে ফেলা হয় তখন খুব কষ্ট হচ্ছিল, ইশ যদি আরএকটু দেখতে পেতাম!চোখ যেন সরতেই চাচ্ছিলো না কালো কালারের কাবার থেকে। আক্ষেপ হয়েছে ।  তারপর মদীনা দেখায়।এরমধ্যেই ঘুম ভেঙে যায়
এ স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী হতে পারে?
এখানে শুধু এগুলোই দেখা হয়েছে।কিন্তু সেখানে গিয়েছে বা হজ্জ করছে এরকম কিছু দেখিনি।

★স্বপ্নটি তাহাজ্জুদ স্বলাত আদায়ের পরে ঘুমানোর সময়টুকুতে দেখেছি(ফজর সময়ের শুরুর দিকে)

1 Answer

0 votes
by (54,300 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার।

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে। তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الرُّؤْيَا الْحَسَنَةُ مِنَ الرَّجُلِ الصَّالِحِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ ".

আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নেককার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (বুখারী শরীফ ৬৫১২)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، حَدَّثَنِي ابْنُ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ رُؤْيَا يُحِبُّهَا فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ اللَّهِ، فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ عَلَيْهَا، وَلْيُحَدِّثْ بِهَا، وَإِذَا رَأَى غَيْرَ ذَلِكَ مِمَّا يَكْرَهُ، فَإِنَّمَا هِيَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَلْيَسْتَعِذْ مِنْ شَرِّهَا، وَلاَ يَذْكُرْهَا لأَحَدٍ، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ ".

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর উপর আল্লাহর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে তা বর্ণনা করে। আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর আশ্রয় চায়। আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা না করে। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না। (বুখারী শরীফ ৬৫১৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নটি অনেক ভালো আলহামদুলিল্লাহ। হতে পারে অচিরেই আল্লাহ তায়ালা আপনাকে হজ্জ বা উমরার সফরের জন্য কবুল করবেন। সুতরাং আপনি এত সুন্দর একটি স্বপ্ন দেখেছেন, আপনার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত এবং দোয়া করা উচিত আল্লাহ যেন আপনাকে সামনা সামনি ভাবে বায়তুল্লাহ দেখা, তওয়াফ করা ও নবীর রওজা যিয়ারত করার তৌফিক দান করেন ।

তা'বিরঃ

وَمن رأى أَنه مُسْتَقْبل الْكَعْبَة شاخص إِلَيْهَا فَهُوَ يقبل على صَلَاح دينه ودنياه أَو يخْدم سُلْطَانا وَإِن رَآهَا مَرِيض فَإِنَّهُ يعافى ويستجاب دعاؤه وَمن رأى أَنه طَاف بِالْكَعْبَةِ فَإِنَّهُ أَمَان

যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখবে যে, সে কা'বার দিকে সরাসরি তাকিয়ে আছে, তার দুনিয়া ও আখেরাত কল্যাণময় হবেবা সে রাজা বাদশাদের ঘনিষ্টজনদের একজন হবে। কোনো অসুস্থ ব্যক্তি কা'বাকে স্বপ্নে দেখলে সে সুস্থ হবে। তার দু'আ কবুল হবে। যদি কেউ কা'বাকে তাওয়াফ করতে দেখে, তাহলে সে সকল প্রকার অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদ থাকবে। (জামেউ তাফসিরিল আহলাম-১/৬০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...