আমি অনেক ছোট একজন উদ্যেক্তা।অনলাইনে বিজনেস আমার।আমার মাসে ২০০০/১৫০০ কখনো এর বেশি ও হয় ইনকাম।সেল এর উপরে ইনকাম টা হয়।
আমি একটা বাচ্চাকে প্রাইভেট ও পড়াই মাসে ১০০০ টাকা পাই।ওই টাকা আমার আম্মু জমাচ্ছে এক জায়গায় লটারি খেলে।তবে,এটা সুদ না।আমরা কয়েকজন মিলে নাম দেই।২০ হাজার টাকা হলে প্রতি মাসে সবাই ১ হাজার করে দিবে ২০ মাসে শেষ।তবে,যার নাম আগে উঠবে সে আগে পাবে।তবে আগে নাম উঠলেও সে ওই ২০ হাজার টাকা শোধ করে দিবে।এটা সুদ না।এটা মূলত টাকা জমানো হয় সবার একসাথে।এটাও আমি করতে চাইনাই।কারন,নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা।তবে,আম্মু জোর করে রাগ দেখায় এটা করেছে।
আমি আইওএম ২৩১০ ব্যাচের।আমি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছি অনেক কষ্টে।আমার ইচ্ছে ছিল অনেক মাদ্রাসায় পড়ার।মনে একটা ব্যথা ছিল মাদ্রাসায় না পড়তে পারার।তাই আমি অনেক কষ্টে করে ফ্যামিলির কাছে অনেক অনুরোধ করে মাদ্রাসায় এসেছি।আমি আমার কান্না মুছতে মুছতে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছিলাম।
আমি আমার মাদ্রাসার বেতনের টাকা+বই সবই নিজের টাকায় কিনি।প্রথম থেকেই নিজের টাকায় করেছি সব।মাদ্রাসায় এসেছি ই এই কথায় যে নিজের ইনকাম দিয়ে আমাকে পড়তে হবে এখানে।
আমার বাবার আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট আছে।সরকারি জব করেন।কিন্তু আমাদের ফ্যামিলিতে একটু ঝামেলা তাই আমার আব্বু আমাদেরকে খরচ পাতি কম দেয়।অনেক অভাব দেখায়+কষ্টে রাখে।তাই আব্বু খরচ দেয়ার পরে বাড়তি কোনো কিছু প্রয়োজনীয় কেনার হলে আমার টাকা দিয়ে কিনি।আমার ইনকামের টাকা দিয়ে আমি কখনোই শখের কিছু করিনি।সংসারেই চলে যায় ওস্তাদ।
মাদ্রাসার বই গুলাও আমি কিনেছি। যেনো ভালোভাবে পড়তে পারি। আমার একটা শখ ছিলো আমার বুক সেলফটা ইসলামিক বই দিয়ে সাজানো থাকুক।আমি বই গুলা পড়বো।এই থেকেও আমি মাদ্রাসার বই গুলা কিনেছি ওস্তাদ।আমার খুবই শান্তি লাগে বই গুলা দেখলে।
এখন কথা হচ্ছে যে, এই মাদ্রাসায় ভর্তি হবার পর থেকে যে বই কেনার খরচ,মাদ্রাসার বেতন,পরীক্ষার ফি সব আমি ই দিচ্ছি।এই দেয়ার কারনে আমার আম্মু আমাকে অনেক কথা শোনায়।অনেক বকা দেয়।মাঝে মাঝেই এটা নিয়ে অনেক অনেক কথা শুনতে হয় আমাকে।মাদ্রাসার উপরেও দোষ দেয় যে বেশি টাকা নেয়।তবে,আমি জানি আমার আইওএম বেশি টাকা নেয় নাকি কম।
উনি বার বার বলে কিছুদিন আগে ৮০০ টাকা দিছিস এখন আবার ১৫০০ !!
আজও বলল ইনকাম করে আমার কি শখ পূরণ করতেছিস?আমাকে কি অনেক গুলা শাড়ি কিনে দিছিস?নাকি আমার বাবার বাড়িতে ২ টালা দিয়েছিস?(অথচ আমি অনেক কষ্টে আমার মামা-খালা কে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি আমার ইনকামের।প্রায় ১ বছর লেগেছে৷ এই টাকা দিতে আমার।কোনো শখ পূরণ না করে আমি এই টাকা গুলো জমিয়ে তাদের দিয়েছি।তাও কারো মন পেলাম না।আমি যখন বললাম ১০ হাজার কি দেইনি?তখন বলতেছে যে আমি এক দিন না একদিন এই টাকা তোরে দিয়ে দিব।)
নিজের মাদ্রাসায় পড়ার শখ টা পূরণ করতেছিস ইনকাম করে। সব টাকা চলে যায়।উনি বার বার বলতে চায় আমি যেনো মাদ্রাসায় না পড়ি।
মাদ্রাসা ছাড়তে আমার কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে,, অনেক কষ্টে ১৫০০ টাকা যোগাড় করছিলাম ১ বছরেএ ফি টা দেয়ার জন্য।এবার তো ৩য় সেমিস্টারে থাকতাম।তাও কত্ত কথা শুনতে হইছে আমাকে!
আজকে বলছেই না পড়লে পড়তে না মাদ্রাসায় এখন আমি চাচ্ছি পোর ফান্ড টা নিতে তাহলে যদি পড়তে পারি।
আমি এটা নিতে চাইনা কারন আমার কষ্ট হলেও আমি মাসে ৫০০ দিতে পারবো।কিন্তু আমার আম্মু আমাকে একেবারেই দিচ্ছেনা এটা দিতে।
কি করা যায় ওস্তাদ? আমি পোর ফান্ডে পড়াটা কি আমার জন্য জায়েজ হবে ওস্তাদ? যেহেতু আমার টাকা দেয়ার সামর্থ আছে। কষ্ট হলেও দিতে পারি।কিন্তু আমাকে দিতে দিচ্ছেনা/এখানে পড়তে দিচ্ছেনা।
কিছু কথা বলে রাখি, আমি তাদের নিজের সন্তান নই।আমি এখন যাদের মা-বাবা বলি তারা আমার চাচা-চাচি।আমার জন্মদাতা বাবা-মায়ের তালাক হয়ে যাবার পরে আমার জন্মদাতা বাবার বড় ভাই আমাকে নিয়ে নিজের সন্তানের পরিচিয়ে বড় করেন।কারণ,তাদের কোনো সন্তান নেই। আমার জন্মদাতা বাবা আমার কোনো পরিচিয় দেয়না।আমি আগে সত্যটা জানতাম না কিছুদিন হলো জানি।কিন্তু আমার পালক মা জানেনা যে আমি সত্যি টা জানি।আমার জন্মদাতা বাবা নিজেই বলেছে উনি আমাকে পরিচয় বা হক কখনই দিবেনা+উনি আমাকে এমন ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চায় যে বেদ্বিন সাথেই আমি ওই পরিবেশে থাকতেও পারবোনা আমি শহরে মানুষ।তাদের কথা আমাকে যে কারো হাতে তুলে দিলেই বাঁচে।তাদের একজন ভন্ড মুফতি আছে।যার সাথে আবার জিন ও আছে।কুফরি করে। ওনারা আবার তার ভক্ত+উনি আমার বিয়ে দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।বুঝতেই পারছেন ভন্ড কেউ আমার জন্য কেমন পাত্র ই আনবে!! আমার জীবনটাকে আরও দুঃখময় করে তোলার জন্য+আমার রব থেকে আমাকে দূরে সরানোর জন্য।
আমি তো একজন দ্বিনি কারো জন্য অপেক্ষা করে এত যুদ্ধ করতেছি।দ্বিনদার কোনো ছেলে আসলেও টাকা কম এই সেই বলে বিয়ে দেয়না।এই গুলো কারনেই বেশি করে আমাকে কেউ দেখতে পারেনা+খরচ দেয়না+খুবই কষ্টতে আছি আমি।শারীরিক,মানসিক।তারা মানুষকে জাদু করতেও পিছুপা হয়না।সংক্ষেপে আর কতটুকুই বলা যায় ওস্তাদ।
আমার জন্য দোয়া চাই ওস্তাদ।যেনো দ্রুত দ্বিনদার কাউকে পাই।একজন প্রস্তাব দিয়েছেন। আমি যেমনটা চাই সে তেমন তবে,আমার ফ্যামিলি আবার যদি নাটক শুরু করে তবে! তাই দোয়া চাই ওস্তাদ এখানে যেনো আল্লাহ কবুল করেন।তাহলে আমি একটা দ্বিনি হাত পাবো+তাদের থেকে চলে গেলে তাদের মাথা থেকে বোঝা হালকা হবে।আমি তাদের গলার কাটা হয়ে আছি।
আমার মাদ্রাসার কি করবো ওস্তাদ বলবেন।আমি মাদ্রাসা ছাড়তে চাইনা।