আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

পড়াশোনায় অস্থিরতা এবং উত্তম নাসিহা চেয়ে - Islamic Fatwa (ifatwa.info)

গত প্রশ্নের ১ নং সমস্যার জন্য রুকইয়াহ র পরামর্শ দেয়া হয়েছে । এ নিয়ে বিস্তারিত খুজতে গিয়ে আমি দেখলাম লক্ষণ অনুযায়ী 

*বদনজরে পুরোপুরি আক্রান্ত (লক্ষণ য়ের ৮  টা পয়েন্ট ছিল ৭ টার  সাথেই আমার সমস্যার মিল)

*ওয়াসওয়াসা এও পুরোপুরি আক্রান্ত  (লক্ষণ য়ের ৭ টা পয়েন্ট ছিল সব গুলোর সাথেই আমার সমস্যার মিল )

*জিনের আসর এ আক্রান্ত হবার লক্ষণ এর সাথে ও কিছু মিল রয়েছে আমার সমস্যা গুলোর সাথে । উদাহরনসরূপ   ঘুম ও ঠিক ভাবে হয় না , ১-২ ঘন্টার বেশি একটানা ঘুমাতে পরি না এবং ১-২ ঘন্টার মাঝেই ৩-৪ বার ঘুম ভেঙে যায় । ঘুম থেকে উঠার পর শরীর ব্যথা । বাকি সকল ফরজ ওয়াজিব সুন্নাহ পালন করলেও কুরআন তিলায়ত এ অনীহা (কিন্তু সবসময় ই তিলয়ত শুনি ) । * আমি গতকাল কুরআন শিখার জন্য এখানে মাদ্রাসা তে উসটজ এর সাথে কথা বলি এবং আসর এর পর আসব নামাজ শেষ এ এমন কথা হয় , আমি যখন এ নিয়ত এ বের হয় তখন থেকে প্রচন্ড পেট ব্যাথা শুরু হয় , জামায়াতে নামাজ না পড়লে হয়ত নামাজ ছেড়ে দিতে হত । কিন্তু আমি তারপড়েও নামাজ শেষ এ পড়তে যাই আলহামদুলিল্লাহ ,যাওয়ার পর আর সমস্যা হয় নি , আবার আজ সকালে গতকালের ন্যায় প্রচন্ড পেট ব্যাথা হয় এমন পেট ব্যাথা গত ১৫-১৬ বছরে হয় নি যতদূর মনে পরে ছোট তে মাঝে মাঝেই হত । 

 

আমি আমার আম্মুকে পুরো ঘটনা বিস্তারিত বলার পর বলে তোমার নানী এবং খালামনি ও এমন সন্দেহ করছিল তোমাকে দেখে (অনেক বেশি শুকায়া গেছি নাকি তারা বলছে )।  

কিন্তু আমি ঢাকায় থাকি এমন সমস্যা এই প্রথম , বিশুদ্ধ আকীদার রাকী আমি কিভাবে খুজব ? আর আম্মু বলছে নিজে নিজে রুকইয়া কর কারও কাছে খবরদার  যাবা না উনি ভয় পাচ্ছে তারা কেমন হবে না হবে । 

১ । এখন আমি চাচ্ছি নিজে নিজে রুকাইয়া করতে বদনজর এবং ওয়াসওয়াসা এর জন্য নিজে করার সাহস পেলেও জিনের আসর য়ের জন্য নিজে করার সাহস পাচ্ছি না , যদি নিজে করতে যাই কোন সমস্যা হবে কি ? কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে পরি ?

২। আর যদি ভাল কোন মুদাববির এর সন্ধান পাই তাহলে আম্মুকে না জানিয়ে যাওয়া ঠিক হবে কি না ?

 

আজকে একটা সপ্ন দেখি যে একজন রাকী আমাকে বলতেছে যে একজনের অমুক জাদু নষ্ট করলাম , আরেকজন য়ের অমুক জাদু নষ্ট করলাম । কেন জানি উনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন উনি অনেক কিছু পারেন আর আমাকে কনভিন্স করার চেষ্টা করতেছেন কিন্তু আমি উনার আকীদা নিয়ে চিন্তিত এজন্য চুপচাপ আছি ( হঠাৎ আমার রুমমেট বন্ধু আমাকে ডেকে দেয় উঠে দেখি ৫ টার মত বাজে  ফজর এর সময় শেষ হতে ১০-১৫ মিনিট আছে ) 

নরমালি আমি এ সময়ে ঘুমে থাকি ই না কখনও , এই সপ্ন টার কোন মনে থাকতে পারে ? উল্লেখ্য যেহেতু গতকাল সব সময় এসব বিষয় নিয়েই ভেবেছি এজন্য কি হতে পারে নাকি কোন মনে আছে  ঘুম থেকে উঠার পর খেয়াল করলাম আমি উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম ? 

আমি খুবই শংকিত বিষয় গুলো নিয়ে । 

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে কিছু আমল করার পরামর্শ দিচ্ছি, আপনি ওগুলো করবেন, ইনশা'আল্লাহ কোনো সমস্যা হবে না। পাশাপাশি একজন মুদাব্বির আলিম- যিনি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী চিকিৎসা করেন- উনার শরণাপন্ন হবেন। 
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) বদনজর এবং ওয়াসওয়াসা মত জিনের আসর দূর করার জন্যও নিজে নিজে রুকইয়াহ করবেন। এক্ষেত্রে সর্বদা পাকপবিত্র থাকবেন।বেশী বেশী সূরা নাস ও সূরা ফালাক তিলাওয়াত করবেন।
(২) যদি ভাল কোনো মুদাববির এর সন্ধান পান, তাহলে আম্মুকে না জানিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। বরং আম্মুকে জানিয়ে উনার সাথে পরামর্শ করে,পরিবারে  কাউকে সাথে নিয়ে যাবেন।
(৩) আপনার এই স্বপ্ন কল্পনাপ্রসূতই মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...