আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

It's urgent.
সহশিক্ষা ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন তবে সব পরিস্থিতি বুঝাতে গিয়ে বড় হয়ে গেল দুঃখিত। দয়া করে পুরোটা পড়বেন ইন শা আল্লাহ।
আমার ভাই ২মাস আগে গু *ম হয়ে গিয়েছিল। পরে আলহামদুলিল্লাহ নিজেই সুস্থভাবে ফিরেও আসে। কিন্তু কে নিল, কেন নিল এসব কিন্তুই জানা যায় নাই তাই সবার মনেই কম বেশি ভয় আছে এখনও। সবাই অনেক সাবধানে চলাফেরা করেন। এমনকি এই ঘটনার পর দ্বীন পালনেও টুকটাক বাধা আসছিল যেমন ভাইদের দাঁড়ি কাটার আর আমার হল নিকাব খুলে ফেলার। তবে আলহামদুলিল্লাহ ছাড়তে হয় নাই কিছু।
আমি অনেক আগে থেকেই সহশিক্ষা ছাড়তে চাই। ইচ্ছা ছিল বিয়ে করে হাসবেন্ড এর সাহায্যে ছেড়ে দিব। কিন্তু বিয়ে করতে করতে ৪থ ইয়ার উঠে গেলাম এখনও বিয়েই হয় নাই। এখন আমি ভাবছিলাম যে বিয়ে হোক বা না হোক, সহশিক্ষা ছাড়ার রাস্তা বের হয় কিনা ভাবছিলাম।তখন একজনের কথা বলে চিন্তা করলাম যে এইযে ভাই হারিয়েছিল এটাকে ফোকাসড করে কিছু করা যায় কিনা। পরে প্লান করি বাসায় বলব যে আমারও ভয় করে কেউ আমার ক্ষতি করলে কি হবে। আমার ভাই এর দোষ নাই তাও সে নাই হয়েছিল আমাকে কেউ নিবে না কে জানে এই ভয় এ আমি ঘর থেকেই বের হব না। আত্মীয় কারও বাসায় যাই না ১মাস হল। এভাবেই ইউনিভার্সিটি যাবো না। এটা কি করা ঠিক হবে?
আর আমার এমন আচরণ এর জন্য আমাকে সাইকোলজিসট দেখানো হয়েছে ওষুধও দিয়েছে সামনে আবার দেখাতে হবে আর কন্সিলিং তো আছেই। এছাড়া বাসায় সবাই অনেক পেরেশানিতে আছে যে আমার মেয়ের কি হল, বোনের কি হল। ওদের শরির খারাপ হয়ে যাবে এমন লাগে। আমিও ঠিক মত খেতে পারি না। সবসময় চিন্তা থাকে যদি কিছুদিন পরে জুনিয়র এর সাথে পড়তে বলে আমার কি হবে। শরিরও ভাল নাই।
আমার আম্মু মাস্টার পাশ, আব্বু বিএসি ইঞ্জিনিয়ার,  সব মামারা ডাক্তার, সব কাজিন ইঞ্জিনিয়ার ও ডাক্তার এমন।  তাই তারা যেমনেই হোক জান-প্রান দিয়ে ২ বছর পরে হলেও পড়াবেই এমন হল পরিস্থিতি বাসার। এখন আমি ২মাস ক্লাস না করলে আর এই সেমিস্টার করতে দিবে না।  ইউনিভার্সিটিতে রেগুলার উপস্থিত থাকা অনেক জরুরি এতদিন মিস গেলে আর করতে দিবে না পরে জুনিয়র এর সাথে করতে হবে।আর আমার বাসায় জুনিয়র এর সাথেই পরে করতে বাধ্য করবে আমি শিওর ( বিয়ে হলে জামাই না দিলে করতে হবে না)। আমি যদি জিদ করে সুস্থ মস্তিষ্কে বলি যে আর পড়বো না তাহলে আমাকে বেদ্বীন এর সাথে বিয়ে দিয়ে দিবে এই ভয় পাই অনেক বেশি( এই কারনেই এতদিন কোন কিছুই করি নাই), আর আত্মীয় স্বজনরা সবাই আমাকে নিয়ে গোল মিটিং বসাবে, উঠতে বসতে সবসময় কথা বকা শুনা এসব তো ফ্রি জিনিস। ১বছর পর জুনিয়র এর সাথেই পড়তে হবে যদি এতদিনে বিয়ে না হয় বা বিয়ের পর জামাই সহশিক্ষা পড়াতে চায়।
এখন আমার কি করা উচিত এতদিন কষ্ট করে নিজেকে আল্লাহর সাহায্য এ হেফাজত করতে পেরেছি তাই বাকি ১ বছর সুন্দর মত পড়া নাকি প্লান মত ক্লাস না করে জুনিয়র এর সব শুরু হওয়ার আগে পযন্ত দেখা যে আল্লাহ তাকদিরে বিয়ে লিখেছেন কিনা?
 বলে রাখা ভাল যে ইউনিভার্সিটিতে পদা করা নিয়ে সমস্যা হয় না, ছেলেরা আমার থেকে দূরে থাকে একদমই কথা বলে না, দ্বীনি বোনদের কমিউনিটি অনেক ভাল, টিচাররাও পদার জন্য যতটুকু সম্ভব ছাড় দেন।
সবাই একটু আমার জন্য পোস্ট পড়ার সাথে সাথেই দুয়া করে দিয়েন যেন রব পথ সহজ করে দেন।  মা বাবার অন্তর নরম করে দেন।

1 Answer

0 votes
by (598,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে, 
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনি বলেছেন,
"ইউনিভার্সিটিতে পদা করা নিয়ে সমস্যা হয় না, ছেলেরা আমার থেকে দূরে থাকে একদমই কথা বলে না, দ্বীনি বোনদের কমিউনিটি অনেক ভাল, টিচাররাও পদার জন্য যতটুকু সম্ভব ছাড় দেন।"

এজন্য আপনার ফ্যমিলির সার্বিক দিক বিবেচনায় আমাদের পরামর্শ থাকবে, আপনি জেনারেল শিক্ষা চালিয়ে যাবেন।আল্লাহর কাছে নেককার একজন স্বামীর জন্য দু'আ করবেন।আল্লাহ কবুলের মালিক।আল্লাহ কাউকে কখনো নিরাশ করেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...