আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
112 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (29 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম।
 

১. ভুলে ঈমান হারিয়ে সাথে সাথেই তওবা করে ঈমান          আনলে কি বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক থাকবে?

 

২. যদি ভুলে ঈমান হারাই, কিন্তু দেরিতে বুঝতে পারি যে      আমার ঈমান নেই। তখন ঈমান আনলে কি বৈবাহিক      সম্পর্ক বজায় থাকবে?

 

৩. ভুলে কুফরি ও শিরক করলে কি ঈমান চলে যাবে?
 

জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
স্বামী স্ত্রীর মধ্য থেকে কোনো একজন কাফির হলে, বা কারো জবান দিয়ে কুফরি কিছু বের হলে,তখন ঈমান চলে যাবে,উক্ত স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে তবে তালাক হবে না। বিবাহ বিচ্ছেদের ইদ্দত তিনমাস পালন করতে হবে। তিন মাস ইদ্দত পালনের মধ্যকার যদি ঐ ব্যক্তি তাওবাহ করে কালিমা পড়ে নেয়, তাহলে ঈমান নবায়ন করে নিলেই তারা পরস্পর স্বামী স্ত্রী হিসেবে সংসার করতে পারবে।
لما الفتاوى الهندیة:
"ارتد أحد الزوجين عن الإسلام وقعت الفرقة بغير طلاق في الحال قبل الدخول وبعده."
(کتاب النکاح، الباب العاشر فی نکاح الکفار، جلد:1، صفحہ:339، طبع: دار الفکر)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ভুলে ঈমান হারিয়ে সাথে সাথেই তওবা করে ঈমান নিয়ে আসলে বৈবাহিক সম্পর্ককে নবায়ন করতে হবেনা।
(২) ভুলে ঈমান হারানোর পর যদি কেউ দেরিতে বুঝতে পারে যে, তার ঈমান নেই। তখন ঈমান আনলে বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় থাকবে না।
(৩) ভুলে কুফরি ও শিরক করলে ঈমান চলে যাবে না।

তবে অজ্ঞাতসারে কুফরি কালিমা বলে ফেললে, উলামাদের মতভেদ রয়েছে। হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত মুতাবেক তখন ঈমান চলে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...