ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বাচ্ছা মৃত্যুর সম্মুখীন হলে বা বাচ্ছার মৃত্যু বা অঙ্গহানির আশংকা থাকলে, তখন মা নামাযকে কা'যা করতে পারবে। প্রশ্নের বিবরণমতে উক্ত সন্তানদ্বয়ের জন্য মায়ের নামায পরিত্যাগের কোনো সুযোগ নাই। বরং সঠিক সময়ে নামায পড়ার জন্য মাকে সর্বাত্বক চেষ্টা-প্রচেষ্টা অভ্যাহত রাখতে হবে। প্রয়োজনে সন্তানদের কান্নায় রেখে অতি সংক্ষেপে ফরযগুলো এবং সম্ভব হলে সুন্নতগুলোকেও পড়ে নিতে হবে। নামাযে দাড়ানোর পর যদি সন্তান বেশী কান্না করে, কান্না থামানোর কেউ না থাকে, এবং নামাযেরও যথেষ্ট ওয়াক্ত বাকী থাকে, তাহলে ঐ মা নামাযকে ভঙ্গ করে সন্তানের কান্না থামাতে পারবে। যেই নামাযকে মা ভঙ্গ করবে, পরবর্তীতে ওয়াক্তের ভিতর সম্ভব না হলে ওয়াক্তের পর এই নামাযকে মা পূনরায় আদায় করে নিবে।
الفقه الاسلامی وادلته:
"والشأن في المسلم دينا وعقلا أن يبادر إلى أداء الصلاة في وقتها، ويأثم بتأخيرها عن وقتها بغير عذر، كما بينا في فضل الصلاة، لقوله تعالى: {فإذا اطمأننتم، فأقيموا الصلاة، إن الصلاة كانت على المؤمنين كتابا موقوتا}، وتأخير الصلاة من غير عذر معصية كبيرة لا تزول بالقضاء وحده، بل بالتوبة أو الحج بعد القضاء.
ومن أخر الصلاة عن وقتها لعذر مشروع فلا إثم عليه، ومن العذر: خوف العدو، وخوف القابلة موت الولد، أو خوف أمه إذا خرجه رأسه، لأنه عليه السلام أخر الصلاة يوم الخندق."
(القسم الاول العبادات، الباب الثاني الصلاة، الفصل التاسع، المبحث الثاني قضاء الفوائت، معني القضاء وحكمه شرعاّ، ج: 2، ص: 1147، ط: دار الفكر)
(২)
আপনার স্বামী যেহেতু উনার বাড়ী থেকে সফর সমপরিমাণ দূরত্বে থাকেন, এখন এই দূর থেকে যতক্ষণ উনি নিজ বাড়ীতে না যাবেন বা অন্য কোথাও ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত না করবেন, ততদিন পর্যন্ত আপনার স্বামী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। সুতরাং সফর সমপরিমাণ দূরত্ব থেকে আপনার স্বামী আপনার বাবার বাড়ী যদি তিন দিন অবস্থানের নিয়তে যান, তাহলে আপনার স্বামী মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবেন। উনি কসর নামায পড়বেন।তে যদি আপনার বাবার বাড়ী এবং একই গ্রামে বা শহরে হয়, তাহলে আপনার স্বামী মুকিম হিসেবে গণ্য হবেন।
(৩) যেই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করা হবে, সেই রাস্তার দূরত্ব অনুযায়ী সফরের দূরত্বকে পরিমাপ করা হবে।
(৪) সময় থাকলে প্রথমে বিতির পড়বেন।তারপর ফজরের নামায পড়বেন।
(৫)সফরের হালতে সময় সুযোগ থাকলে সুন্নত পড়তে হবে। কেননা ফরয নামাযের কসরের বিধান এসেছে।সুন্নতে কসরের বিধান আসেনি।
(৬) কসর সমপরিমাণ দূরত্বে না হলেও বাসে আদায়কৃত ইশারার নামাযকে পূনরায় আদায় করতে হবে।