সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -
واحل الله البيع و حرم الربوا.
" আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)
সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."
حكم الحديث: صحيح
"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
فَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاشْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ
অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক। (সূরা নাহল, আয়াত ১১৪)
তিনি অন্যত্রে বলেন-
وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنتُم بِهِ مُؤْمِنُونَ
আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। (সূরা মায়েদা, আয়াত ৮৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
যার টাকা সম্পূর্ণ হারাম (যেমন- সুদ,ঘুষ ইত্যাদির টাকা) জেনেশুনে তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা যদিও জায়েয তবে ঋণ গ্রহণ না করাই উত্তম।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত এই ১২ হাজার টাকা আপনি হালাল টাকা হতে পরিশোধ করলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সেই ১২ হাজার টাকা ব্যবহার হালাল হবে।
আপনি সুদের টাকাটা ধার হিসেবে নিয়েছেন, সেটা শোধ করা না পর্যন্ত অন্য হালাল টাকা ধার করা জায়েজ।