আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আব্বা আম্মা পোস্ট অফিসে টাকা রেখেছিল সেখান থেকে কিছু সুদ আসে। এরপর তারা নিয়ত করে আর সুদ খাবে না। কিন্তু সুদের টাকাটা বাসায় খরচ করতে চায়। আমি সেই সুদের ১২০০০ টাকা ধার হিসাবে নেই ব্যক্তিগত প্রয়োজনে খরচ করার জন্য। আর বলে যে পরে যখন শোধ করে দিব তখন তারা এই ১২ হাজার টাকার বাসায় খরচ করবে না অন্য কোন গরীব মানুষকে দিয়ে দেবে। দুই মাসের ভেতরে সেই টাকাটা খরচ করে ফেলেছি। ছয় মাস হয়ে গেছে কোন টাকা শোধ করিনি। তিন মাসের ভিতরে নিয়ত শোধ করে দেব। পরবর্তীতে বাসা থেকে আবারো নতুন করে হালাল কিছু টাকা ধার নিয়েছি। আব্বা আম্মার কাছে থেকে যে সুদের টাকাটা ধার হিসেবে নিয়েছি সেটা শোধ করা না পর্যন্ত অন্য হালাল টাকা ধার করা গুলো কি জায়েজ? ছয় মাস আগে যে সুদের  টাকাটা ধার নিয়েছিলাম ওইখান থেকে ২ হাজার টাকা একটা জমির খাজনা শোধ করা  হয়েছে। সে জমিটা পরে বিক্রি করা হয়েছে। জমিটা হালাল টাকায় কেনা। ওই জমির বিক্রি  করা টাকা কি বৈধ কিনা।

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -

واحل الله البيع و حرم الربوا.

" আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)

সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

আল্লাহ তায়ালা বলেন- 

فَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا وَاشْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ إِن كُنتُمْ إِيَّاهُ تَعْبُدُونَ

অতএব, আল্লাহ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তু দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহর অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক। (সূরা নাহল, আয়াত ১১৪)

 তিনি অন্যত্রে বলেন-

وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنتُم بِهِ مُؤْمِنُونَ

আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। (সূরা মায়েদা, আয়াত ৮৮)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই,
যার টাকা সম্পূর্ণ হারাম (যেমন- সুদ,ঘুষ ইত্যাদির টাকা) জেনেশুনে তার কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করা যদিও জায়েয তবে ঋণ গ্রহণ না করাই উত্তম।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত এই ১২ হাজার টাকা আপনি হালাল টাকা হতে পরিশোধ করলে সেক্ষেত্রে আপনার জন্য সেই ১২ হাজার টাকা ব্যবহার হালাল হবে।

আপনি সুদের টাকাটা ধার হিসেবে নিয়েছেন, সেটা শোধ করা না পর্যন্ত অন্য হালাল টাকা ধার করা জায়েজ।

প্রশ্নে উল্লেখিত জমি বিক্রির টাকা হালাল হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...