আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
103 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
/ ইস্তেখারার সময়ে আরো কয়েক দিন পর একদিন স্বপ্নে দেখি যাকে নিয়ে ইস্তেখারা করেছিলাম:-

আমি ঐ ছেলের বাড়িতে গিয়েছি সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলতেছি।তারপর দেখি ঐ ছেলেকে বরের সাজে ও ঐখানে বিয়ের অনেক আয়োজন করা হয়েছে এবং সে ছেলে ও ভীষণ খুশি।তারপর লাল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে দেখি যে ঐ ছেলের বউ।তার মুখ দেখার জন্য আমি ঘোমটা উঠাই আর একটা মেয়ে কে দেখি যে দেখতে কিছু টা আমার মতো তবে পুরোপুরি আমার মতো না। তারপর দেখি আমি আমার বাসায় ঐ ছেলের বিয়ের ভিডিও ফোনে দেখতেছি আর বলতেছি এই ছেলের সাথে আমার বিয়ে হবে মানুষজন সবাই জানতো এখন অন্য মেয়ের সাথে হইছে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে কি বলবো এই সব ভেবে আমার মন খারাপ। তারপর দেখি ঐ ছেলে নাকি পছন্দ করে তার বউকে বিয়ে করেছে মানুষ এসব বলাবলি করছে সাথে আরো অনেক কিছু। এখন এই স্বপ্নের সাথে ইস্তেখারার কি কোন সম্পর্ক আছে? ব্যাখ্যা কি?

২/২য় প্রশ্ন : জিনে আক্রান্ত ব্যাক্তি এমন কোন ছেলে/মেয়ের প্রতি দুর্বল যে ছেলে/ মেয়েকে শুধু জিনে আক্রান্ত ব্যাক্তি ই চিনে।যার প্রতি দুর্বল ঐ ছেলে/মেয়ে তাকে (জিনে আক্রান্ত ব্যাক্তি কে)কোন ভাবেই চিনেনা। গুনাহের ভয়ে জিনে আক্রান্ত ব্যাক্তি তাকে ভুলে গিয়ে তার প্রতি ঘৃণা তৈরি করে কিন্তু যখন জিনের সমস্যা বাড়ে তখন সে ঐ ছেলে/মেয়ের প্রতি ভীষণ দুর্বলতা অনুভব করে।আর যখন জিনের সমস্যা শুরু হয় তখনই হঠাৎ ঐ ছেলে/মেয়ের প্রতি সে দুর্বল হয়ে পড়ে।এখন ঐ ছেলে/মেয়ের প্রতি কি কোন ভাবে কি জিনেরা আসক্তির জাদু করতে পারে?(সম্ভাবনা আছে?) যার কারণে বারবার তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে ঘৃণা তৈরি করার পরও।আর ঐ ছেলে/মেয়ে জিনে আক্রান্ত ব্যাক্তি কে কোন ভাবেই চিনেনা নয়তো ভাবতে পারতাম যে তারা জিনে আক্রান্ত ব্যাক্তি কে আসক্তির জাদু করেছে।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
উক্ত ইস্তেখারার ফলাফল নেগেটিভ বলে মনে হচ্ছে।

(০২)
এক্ষেত্রে করনীয় হলো একজন মুদাব্বির আলিম- যিনি কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী চিকিৎসা করেন- এর শরণাপন্ন হবেন।

(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...