ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মসজিদ নির্মাণ ও উহার আবাদ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,
إِنَّمَا يَعْمُرُ مَسَاجِدَ اللّهِ مَنْ آمَنَ بِاللّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ وَأَقَامَ الصَّلاَةَ وَآتَى الزَّكَاةَ وَلَمْ يَخْشَ إِلاَّ اللّهَ فَعَسَى أُوْلَـئِكَ أَن يَكُونُواْ مِنَ الْمُهْتَدِينَ
'নিশ্চয় আল্লাহর (ঘর) মসজিদ সমূহকে আবাদ করে সে-ই, যে বিশ্বাস করে আল্লাহ্ ও পরকালে এবং নামাজ কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে।'
(সূরা তওবা, আয়াত-১৮)।
মসজিদ নির্মাণ ও উহার ফজিলত বিষয়ক হাদিস শরীফ এর দিকে লক্ষ্য করলে উহার গুরুত্ব আরো অনুধাবন করা সম্ভব।
হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس من بنى لله مسجدا قدر مفحص قطاة بنى الله له بيتا فى الجنة -أخرجه أحمد، صحيح
যে ব্যক্তি আল্লাহ সন্তুষ্টির নিমিত্তে পাখির ডিম পাড়ার স্থান পরিমান মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। (আহমাদ)
হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেছেন,যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ্ তার জন্য বেহেশতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন।(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম বলেছেন, স্থান সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয় স্থান হলো আল্লাহর নিকট মসজিদ সমূহ এবং সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য স্থান হলো বাজারসমূহ। (মুসলিম শরীফ)
#হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লাম মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে এবং মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও উহাতে সুগন্ধি লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন।
(আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)(এ হাদিসে মহল্লায় মহল্লায় বলতে যেখানে লোকের সমাগম রয়েছে ওইখানে উদ্দেশ্য)
এ সকল হাদিস ছাড়াও আরো বহু হাদিস শরীফে মসজিদ নির্মাণ ও উহার ফজিলত বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এতিম খাওয়ানো অনেক সওয়াবের কাজ।কিন্তু যেহেতু পাহড়ী অঞ্চলে কোনো মসজিদই নেই,এবং লোকসংখ্যাও বেশী,তাই আপনি মসজিদ বানিয়ে দিবেন।এতিমখানা পরে দিবেন।বা ভিন্ন কেউ বানিয়ে দেবে।