আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। কিছু দিন আগে শিক্ষা বেবস্থা পালটানো হয়েছে।

আগে যেটি ছিল তাতে প্রশ্নফাশ এবং অন্যদের কাছ থেকে শুনে লেখা অনৈতিক ও নিষিদ্ধ ছিল। বর্তমানে প্রশ্ন আগের দিন রাতেই ফাঁশ হয়ে যাচ্ছে। সবাই দেখে যাচ্ছে এবন আলোচনা করে দেখেই লিখছে। শিক্ষা প্রধান রাও অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন। এখন এই অবস্থায় আমি একজন কুরান সুন্নাহ এর অনুসারী শিক্ষার্থী হিসেবে কি করব? তাদের মতই প্রশ্নফাশের প্রশ্ন এবং তার উত্তর দেখে পরীক্ষা দেব? অন্যদের কাছ থেকে দেখে লিখব? নাকি খুব খারাপ পরীক্ষা দেয়ার পরোয়া না করেই কোন রকম প্রশ্ন ফাশের প্রশ্ন উত্তর না দেখে অন্যদের কাছ থেকে নির্দেশনার বহিরভুত সাহায্য না নিয়ে পরীক্ষা দেব? এতে আমার রেজাল্ট খারাপ হতে পারে।(উল্লেক্ষঃ আমি আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভাল স্টুডেন্ট এবং আমি চাই না আমার পরীক্ষা খারাপ হোক। আমি যতটুক সম্ভব প্রস্তুতি নেই। কিন্তু বর্তমানে প্রশ্ন এমন অদ্ভুত  হয়েছে যে আসলে খুব ভাল পরেও প্রশ্ন উত্তর আগে থেকে না জানলে ভাল করা প্রায় অসম্ভব) এখন ইসলামের বিধি বিধানের আলকে আমি কি করতে পারি? বিস্তারিত জানালে ভাল হয়। আসসালামু আলাইকুম।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

পরীক্ষায় কাহারো সাহায্য নেওয়া,কাহারো খাতা দেখে লেখা,প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্ন ও তার উত্তর দেখে পরীক্ষা দেয়া এ সবই ধোকা দেওয়ার শামিল,যাহা জায়েজ নেই। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্রোত যেদিকেই চলুক,আপনি পরীক্ষায় কাহারো সাহায্য নিবেননা,কাহারো খাতা দেখে লিখবেননা,প্রশ্ন ফাঁসের প্রশ্ন ও তার উত্তর দেখে পরীক্ষা দিবেননা।

সম্পূর্ণভাবে নিয়ম মেনে শরয়ী গন্ডির আওতায় থেকে পরীক্ষা দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...