আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
446 views
in সালাত(Prayer) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম।

নামাজের ফিদায়া তো ফিতরার মতো টাকা দিয়ে আদায় করতে হবে অথবা কোন ব্যক্তিকে দুইবেলা খাওয়াতে হবে। এখন আমার প্রশ্ন হলো এই ফিদায়ার টাকা যদি ব্যক্তি ভিত্তিক না দিয়ে পরিবার ভিত্তিক দেই অর্থাৎ একই পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী তাদের দুই বেলা খাবারের টাকাটা কয়েকদিনের মিলিয়ে দেই সেক্ষেত্রে ফিদায়া আদায় হবে কিনা? নাকি খাবার ই খাওয়াতে হবে?
জাজাকুমুল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (597,690 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-
সাওম ও সালাতের ফিদয়ার পরিমাণঃ

( ﻭَﻟَﻮْ ﻣَﺎﺕَ ﻭَﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺻَﻠَﻮَﺍﺕٌ ﻓَﺎﺋِﺘَﺔٌ ﻭَﺃَﻭْﺻَﻰ ﺑِﺎﻟْﻜَﻔَّﺎﺭَﺓِ ﻳُﻌْﻄَﻰ ﻟِﻜُﻞِّ ﺻَﻠَﺎﺓٍ ﻧِﺼْﻒَ ﺻَﺎﻉٍ ﻣِﻦْ ﺑُﺮٍّ ) ﻛَﺎﻟْﻔِﻄْﺮَﺓِ ( ﻭَﻛَﺬَﺍ ﺣُﻜْﻢُ ﺍﻟْﻮِﺗْﺮِ ) ﻭَﺍﻟﺼَّﻮْﻡِ، ﻭَﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﻌْﻄِﻲ ( ﻣِﻦْ ﺛُﻠُﺚِ ﻣَﺎﻟِﻪِ ) ( ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - 2/72
যদি কেউ মারা যায়,এবং তার উপর অনেক সালাত ক্বাযা থাকে, অথবা যদি মৃত ব্যক্তি সালাতের ফিদয়ার ওসিয়ত করে যায়,তাহলে প্রত্যেক সালাতের বিপরীতে এক ফিতরা সমপরিমাণ ফিদয়া আদায় করতে হবে।পাচঁ ওয়াক্ত সালাতের সাথে বিতিরের সালাতের ও ঐ পরিমাণ( তথা এক ফিতরা সমপরিমাণ) আদায় করতে হবে।এবং ছুটে যাওয়া প্রত্যেকটি সাওমের বিধান ও একিই।
ফিদয়া- মৃত ব্যক্তির এক তৃতীয়াংশ সম্পত্তি থেকে-ই আদায় করা হবে।
আদ্দুর্রুল মুখতার-২/৭২ , ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-১০/১৭৬


অপারগ ব্যক্তির নামাযের বিধানঃ
اذا مات المريض ولم يقدر على الصلاة بالإيماء لا يلزمه الإيصاء بها-
(مراقى الفلاح بإمداد الفتاح علي نور الإيضاح و نجاة الأرواح ;١/١٦٩)
ভাবার্থ-যদি অসুস্থ ব্যক্তি মারা যায়, এমতাবস্থায় যে,সে ইশারায় ও নামায পড়তে অক্ষম।তাহলে তার উপর উক্ত নামায ফরয হবে না।(উক্ত নামাযের ক্বাযা ফিদয়া কিছুি দিতে হবে না)
মারাক্বিল ফালাহ-১/১৬৯

একটি সংশয় নিরসনঃ
ورد النص في الصوم بإسقاطه بالفدية، والحنفية يرون أن الصلاة كالصوم استحسانا لكونها أهم منه. وغيرهم يرى ألا كفارة للصلاة إلا قضاؤها،................................ الخ........... والحنفية مع قولهم بذلك يرجون القبول والشفاعة.
(مراقى الفلاح بإمداد الفتاح علي نور الإيضاح و نجاة الأرواح ;١/١٦٩)
রোযা সম্পর্কে কুরআনের ঘোষনা-অপরাগ অবস্থায় ফিদয়া দিলে রোযার ফরয হুকুম আদায় হয়ে যাবে।
হানাফি উলামায়ে কেরামগণ মনে(ক্বিয়াস) করেন,নামাযের ফিদয়ার আলোচনা কুরআন-হাদীসে যদিও আসেনি।তথাপি ফিদয়ার ক্ষেত্রে নামায রোযার মতই হবে।যেহেতু নামায ইসলামের অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান এমনকি রোযার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।অন্যান্য উলামায়ে কেরাম মনে করেন,নামাযের কোনো ফিদয়া নাই। নামাযকে একমাত্র ক্বাযা মাধ্যমেই সমাপ্ত করতে হবে।কিন্তু হানাফি ফুকাহায়ে কেরাম আশা করেন, হয়তো ফিদয়ার আল্লাহ কবুল করবেন।এবং উক্ত ব্যক্তির জন্য রসূলের শাফায়ত নসিব হবে।(হানাফি মাযহাব মতে নামাযের ফিদয়া আশার উপর)(মারাক্বিল ফালাহ-১/১৬৯

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
জ্বী, আপনি একই পরিবারে তাদের সদস্য সংখ্যা অনুপাতে ফিদয়া দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 159 views
...