আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
১ । শ্রদ্ধেয় উস্তাদয  আমি একজন ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র  ।গত এক মাস থেকে অলমোস্ট কোন পড়াশোনা করতে পরি নি , অসুস্থতা , ঈদ এ বাড়ি যাওয়া , বাসা চেঞ্জ করা ,পার্সোনাল কিছু বিষয় নিয়ে পেরেশান ছিলাম । তো যেহেতু অসুস্থ এবং  আনএভয়েডএবল সিচুয়েশন ছিল তো আমি এটা মেনে নিয়েছি ।

এখন পরিস্থিতি একটু সামলে নিয়ে গত কয়েকদিন থেকে টেবিল এ বসতেছি কিন্তু ইদানিং আমি যখন ই পড়ার টেবিল এ বসতেছি  ১০-২০ মিনিট এর পর ই হয় আমার ঘুম ধরতেছে , না হয় মনে হইতেছে অন্য কাজ আছে সেটা করতে হবে , এই যেমন রুম পরিষ্কার করা(এমন ও হয়েছে আমার রুম আমি ৪-বার পরিষ্কার করেছি ), সব কিছু গুছানো , কাপড় ধোয়া , (যেখানে এমন হয়েছে প্রতি ২ মাস পর পর আমি মেস থেকে বাসায় যেতাম আম্মু সব কাপড় ধুয়ে দিত একটা একটা করে পড়তাম খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ধূতাম না )।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন  আমি থার্ড ইয়ার লাস্ট সেমিস্টার এ আছি বলা যায় ফাইনাল ইয়ার , এদিকে বয়স ও ২৫ চলছে , একারণে দ্রুত বিয়ের প্রস্তুতি হিসেবে আমি একাডেমিক য়ের পাশাপাশি স্কিল ডেভলপমেন্ট য়ের জন্য জন্য সময় দিচ্ছি , এবং আমি নিজের কাছে ৬ মাস এর একটা ডেডলাইন সেট করেছি । এর মাঝে গত এক মাস এ অনেক পিছায় গেছি তো আমার হাত এ সময় ৪- ৫ মাস আছে । এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা বিয়ের আগে হালাল রিজিক খুবই জরুরী বলে মনে করি ।  যেখানে  আমার আরও বেশি এক্সট্রা এফর্ট দেয়া দরকার সেখানে আমি আউট অফ ফ্লো হয়ে গেছি  । অলমোস্ট ১ বছরের একটু কম সময় থেকে এই জার্নি না চলছে এখন তীরে এসে তরী ডুবার মত অবস্থা হয়ে গেছে যার কারণে আমি খুবই ডিপ্রেসশন এ যাচ্ছি  । অস্থিরতায় ভুগছি , ঘুম ও ঠিক ভাবে হয় না , ১-২ ঘন্টার বেশি একটানা ঘুমাতে পরি না এবং ১-২ ঘন্টার মাঝেই ৩-৪ বার ঘুম ভেঙে যায় ।
এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা , জিন পরি রিলেটেড কিছু , কালো জাদু বা নজর লাগা এমন কিছু ?

আমি কিভাবে ফ্লো তে আসতে পারি এক্ষেত্রে আমার জন্য কি পরামর্শ থাকবে , কি কি আমল করতে পারি ?


২ । এই মাসে আমি মেস চেঞ্জ করি , এখন যেখানে উঠেছি এখানে আগেও ছিলাম । গত এক বছর অন্য জায়গায় ছিলাম , সেখানে আমি ২ জন এর সাথে ছিলাম তাদের মাঝে একজন বাসা চেঞ্জ করেন ,তার পড়েও  থেকে যাবার ইচ্ছা ছিল  পরবর্তীতে অন্য একজন ও ফ্যামিলি এর সাথে থাকে বিধায় বাইরে খেতে হয়েছে , কন্টিনিউয়াসলি বাইরে খবর কারণে প্রচন্ড রকম এসিডিটি ও গ্যাস্ট্রিক য়ের জন্য  অসুস্থ হয়ে গেছিলাম  , এমন অবস্থা হয়েছিল কিছু খেতে পারছিলাম না ,ডাক্তার এক মাস য়ের টানা গ্যাস য়ের মেডিসিন ও রুচি য়ের মেডিসিন দিয়েছে  । যেহেতু পরিবার ছাড়া থাকি আব্বু আম্মু সব সময় টেনসন করেন , আর এখানে যাদের সাথে থাকি তাদের কে বাসায় থেকে জানে ,তাই বাসায় থেকে বলছে  এখানে থাকতে এখন আমার জন্য সেফ হচ্ছে আগে যেখানে ছিলাম তাদের সাথে থাকা । তারা কেউ দীনদার নয় , আমি যখন বাসা চেঞ্জ করব শুনেছে তারা তখন এখানে ৭ জন আছে সবাই বলছে এখানে উঠ  এর  মাঝে ৫ জন ই বলেছিল যে তুই আয় তাইলে আমরা নামাজ টা কন্টিনিউ করতে পারব কিন্তু আসার পর থেকে একদিন ও নামাজ পড়ে নাই ,কয়েকদিন বলার পর ও । এক্ষেত্রে আমার কি করণীয় ?


৩ । আমার সামনে হারাম ইনকাম এর সুযোগ আছে এন্ড এর মাধ্যমে আমার চাওয়া পাওয়া পূরণ হতে পারে কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি , ভয় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা হিসেবে নিয়ে তা ত্যাগ করার পর আমি আল্লাহর কাছে হালাল রিজিক চাইতে পারব কি না ? নাকি শুধুমাত্র আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাত চাইব ?

৪. বাবা মা আমার জন্য সব করেছেন বলা যায় আমি তাদের জন্য দুনিয়বী কিছু করতে পরি নি এখন অব্দি এজন্য আফসোস হয় , কিন্তু সব সময় তাদের অখিরাত এর জন্য , জান্নাত য়ের জন্য দুয়া করি  । দুনিয়ায় তাদের জন্য কিছু করতে চাওয়া টা কে কতটা গুরুত্ব দিব ? উদাহরন হিসেবে আমার কাছে হারাম ইনকাময়ের সুযোগ যখন আসতেছে তখন আমার কাছে একবার হলেও মনে হয় যে এটা করলে আমি আমার বাবা মা এর জন্য কিছু করতে পারব  আমি জানি এটা শয়তানের পক্ষ থেকে এ খেয়াল কিন্তু এ বেপারে আমি যথেষ্ট সাবধান এটা শেয়ার করার কারণ প্রশ্নটা সঠিকভাবে বুঝতে পারা যাতে যায় , সত্যি বলতে দুনিয়ায়  আমার চাওয়া  খুবই সামান্য কিন্তু পরিবেশ পরিস্থিতি বাস্তবতা আমার চাওয়া কে হাই করে দিয়েছে
4. আমার এক আততীয় আমার ফুফুর ননদ আবার আমার আব্বুর সাথে একই কলেজে জব করে , উনার মেয়ে আমার বড় আপু , উনার সাথে কয়েকবার দেখা ও কথা ও হয়েছে , ছোট থেকে উনার কথা শুনে বড় হয়েছি ভাল ছাত্রী ছিল এবং মেডিকেল এ চান্স পেয়েছে , আবার মানুষ হিসবেও ভাল যতদূর জানি ।
গত ৪-৫ বছরের বেশি হল উনার বিয়ের সম্মনদ্ধ আসে কিন্তু বিয়ে হয় না , গত ঈদ এ আমার ঐ ফুফু আমাদের বাসায় আসে এবং এ বিষয়ে কথা হয় ,এ বিষয় টা আমার অনেক খারাপ লাগে উনি ভাল মেয়ে এন্ড কোয়ালীফাইড বিয়ে হচ্ছে না , বয়স ২৭+ আমি জানি না আনুমানিক । আমি তখন আমার ফুফু কে বলছিলাম আহলিয়া এর কথা , উনারা ঐ আপুর আম্মুকে বলে এবং আমি তাকে ahlia য়ের সাইট লিংক টি শেয়ার করে দেই ।
সেই রাতে অথবা তার পরের রাতে আমি সপ্ন দেখি এবং এটা একটু ভয় পাবার মতই ।
আমার আম্মুর ভাতিজা , আমার ফুফাত ভাই হয় , যে আগে খুব গরীব ছিল , এমনও হয়েছে ৩ বেলা খাবার পেত না হুট করেই কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় , মানুষকে টাকার বিনিময়ে চাকুরী দিত এভাবে করে ।  খুবই অল্প সময়ে এত টাকা হবার দরুন তার অনেক শত্রু ও হয়ে যায় গত ৩-৪ বছর আগে উনি ১ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে বের করেন এবং ঐ দীন ই উনি নিসংনগস ভাবে খুন হয়ে যান ।
তো সেই রাত এ আমি সপ্ন দেখি উনি আমাকে ধরে বলতেচে তুই ওর বিয়ের জন্য ছেলে খুজতে বলছিস জানিস না আমি ওকে পছন্দ করি ( বড়রা ছোটদেরকে যেভাবে আদর করে মারে ঐ ভঙ্গি তে বলতেছিল আমাকে ) এক্সট কথা টা এমন হবে কি না মনে পড়ছে না তবে ঐ আপুর বিষয়ে যে আমাকে এক প্রকার শাসন করেছিল ফানি ওয়ে তে এটা সিউর ছিল , (আমিও হেসে বা কচুমছু করে বলেছিলাম আমি তো জানতাম না আপনি পছন্দ করেন তাইলে করতাম না হেল্প বা আর করব না , মনে নাই এই কথা টা বলেছিলাম কি না )
এটা দেখার পর আমি একটু ভয় পেয়ে যাই , আমি কি কোন সতর্কতা অবলম্বন করব ?
৫ । মনের অস্থিরতা কাটাতে কি করতে পরি ?

৬. কিছু আমল বলে দীন যেগুলো কবিরা , ছ্গীরা গুনাহ মাফ করবে , আলাদা আলাদা ভাবে বললে ভাল হয় ।
আমার জন্য দুয়া চাই উস্তাদয যেন দ্রুত হালাল রিজিক এবং বিবাহ সম্পন্ন হয় , পরিপূর্ণ ইসলামিক ভাবে জীবন্যায়পন করতে পরি , দীন পালন আরও সহজতর হয় । সেই সাথে যারা যারা লিখাটা দেখছেন সবার কাছে দুয়ার দরখাস্ত রইল ।
আল্লাহ সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।

1 Answer

0 votes
by (547,020 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)

সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।

এ ছাড়া বিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ারও পরামর্শ থাকবে। 

তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

(০২)
তাদের সাথে থাকতে পারবেন।
তাদের দ্বীনের পথে আনার জন্য দাওয়াত দেয়া চালিয়ে যাবেন।

নিজে ৫ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে আদায় করবেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সাথীদের সাথে সম্পর্কে রাখতে পারেন।

(০৩)
সবই চাইতে পারবেন। 
হালাল রিজিক চাইতে পারবেন, আল্লাহর ক্ষমা ও জান্নাতও চাইতে পারবেন।
আল্লাহর ভান্ডার অফুরন্ত, সুতরাং বেশি বেশি চাইতে পারেন,কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
এটা আপনার মনের কল্পনা প্রসূত স্বপ্ন বলে মনে হচ্ছে।
তদুপরি বাস্তবে আপনার আম্মুর ভাতিজা রাজী হলে তাকে সেই মেয়ের অভিভাবকদের নিকট প্রস্তাব পাঠাতে বলতে পারেন।

(০৫)
ইহ-পরকালীন সকল বিষয়ে ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়ার হুকুম প্রদান করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اسْتَعِينُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ إِنَّ اللهَ مَعَ الصَّابِرِيْنَ، 
‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্য ও ছালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন’ (বাক্বারাহ ২/১৫৩)। 

অনুরূপ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ)-কে আদেশ করেন, ‘জেনে রেখো অবশ্যই সাহায্য ধৈর্যের সাথে রয়েছে’।

ইসতিক্বামাত তথা দ্বীনের উপর অটল থাকার ব্যাপারে ধৈর্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে। ছাহাবায়ে কেরাম যে ঈমান ও আমলের ক্ষেত্রে দ্বীনের উপর অটল থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন, তার বড় কারণ ছিল ধৈর্য।

মহান আল্লাহ বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ، 

‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা ধৈর্যধারণ কর। পরস্পরে দৃঢ় থাক এবং সদা প্রস্ত্তত থাক। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলকাম হ’তে পার’ (আলে ইমরান ৩/২০০)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি ধৈর্যধারণ করবেন,যাহা চাওয়ার তাহা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে চাইবেন,ভালো ফলাফলের চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা করবেন,নিয়মিত নামাজ শরীয়তের বিধান মেনে চলবেন, 
হতাশ হবেননা।
ধৈর্যধারণ করবেন,ইনশাআল্লাহ সফলতা আপনার পদচুম্বন করবে।

নিম্নোক্ত দোয়া করতে পারেনঃ-
ক্বাতাদাহ (রহঃ) বলেন, হাসান বাছরী (রহঃ) দো‘আ করতেন,
 اللهم أنت ربنا، فارزقنا الاستقامة
 ‘হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রব। তুমি আমাদেরকে তোমার অটল থাকার তাওফীক দাও’।
(ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা হা-মীম সাজদা ৩০ আয়াত।)
,
★আলী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) আমাকে বলেন, তুমি বল,
اللَّهُمَّ اهْدِنِىْ وَسَدِّدْنِىْ  

‘হে আল্লাহ! তুমি আমাকে সুপথ প্রদর্শন কর এবং আমাকে সরল পথে পরিচালিত কর। আর তুমি সুপথের সংকল্প কর এবং সঠিক পথে স্থির থাক, যেভাবে তীর তার লক্ষ্যে স্থির থাকে।
(মুসলিম হা/২৭২৫; মিশকাত হা/২৪৮৫।)

আপনার মন অশান্তিতে আছে।এ জন্য আপনি নিয়মিত ধারাবাহিক আল্লাহর যিকির করতে থাকুন-দেখবেন মন শান্ত হবে।
الَّذِينَ آمَنُواْ وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللّهِ أَلاَ بِذِكْرِ اللّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(সূরা রা'দ-২৮)

(০৬)
কবিরা গুনাহ খালেস দিলে তওবা ছাড়া মাফ হয়না।

আর ছগিরা গুনাহ মাফ পাওয়ার অনেক আমল রয়েছে, তার মধ্য হতে কিছু আমলের নিম্নে উল্লেখ করছিঃ-

রাসুলুল্লাহ সাঃ এর উপর দরুদ পাঠ করা : আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল করবেন। তার ১০টি গুনাহ মাফ করে দেবেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন।’ (নাসায়ি, হাদিস : ১২৯৭)

ফজর ও মাগরিব নামাজের পর নির্দিষ্ট দোয়া : এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি ফজর ও মাগরিব নামাজের পর ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদির’ ১০ বার পড়বে, এর বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, ১০ নেকি লেখা হবে, ১০ গুনাহ মাফ হবে, ১০ মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে এবং এ কলেমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২৩৫১৮)

উত্তমরূপে অজু করা : আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন কোনো মুসলিম অজু করে তখন তার চেহারা ধোয়ার সময় পানির ফোঁটার সঙ্গে চোখের গুনাহগুলো ধুয়ে যায়।

যখন হাত ধোয়া হয়, হাতের গুনাহগুলো ধুয়ে যায়। যখন পা ধোয়া হয়, পানির ফোঁটার সঙ্গে পায়ের দ্বারা কৃত গুনাহগুলো ধুয়ে যায়। এভাবে বান্দা গুনাহ থেকে একেবারে পাক-সাফ হয়ে যায়।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৪৪)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা : যে ব্যক্তি যথাসময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তার গুনাহ মাফের ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফে চমৎকার একটি উদাহরণ তুলে ধরেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) একবার সাহাবাদের সম্বোধন করে বলেন, ‘তোমাদের কী মনে হয়? কারো বাড়ির পাশে যদি নদী থাকে আর সে তাতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা থাকবে?’ সাহাবারা জবাবে বলেন, না, তার শরীরে কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না।

নবী (সা.) তখন বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্তও এরূপ। এর মাধ্যমে আল্লাহ (বান্দার) পাপসমূহ মিটিয়ে দেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৭)
জুমার নামাজ আদায় করা : আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করল ও জুমায় এলো, এরপর মনোযোগসহ খুতবা শুনল ও চুপ থাকল। আল্লাহ তাআলা তার গত জুমা ও এই জুমার মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহ মাফ করে দেবেন; আরো অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহও মাফ করবেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৭)

নামাজের জন্য মসজিদে গমন : জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়লে প্রতি কদমের বিনিময়ে গুনাহ মাফ ও মর্যাদা বৃদ্ধির ঘোষণা এসেছে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জামাতের নামাজ ঘরের বা বাজারের নামাজ অপেক্ষা ২৫ গুণ বেশি সওয়াব রাখে। কারণ বান্দা যখন উত্তমরূপে অজু করে এবং একমাত্র নামাজের উদ্দেশ্যেই ঘর থেকে বের হয় তো প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তার একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং একটি করে গুনাহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭)

ফাতিহা শেষে আমিন বলা : বুখারির বর্ণনায় এসেছে, নবী (সা.) বলেছেন, ‘নামাজে ইমাম সাহেব যখন সুরা ফাতিহা শেষ করে তখন তোমরাও আমিন বলো। কেননা তখন ফেরেশতারাও আমিন বলে। ইমামও আমিন বলে। আর যার আমিন বলা ফেরেশতাদের আমিন বলার সঙ্গে মিলবে, তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৭১৮৭)

রুকু থেকে উঠে ‘রব্বানা লাকাল হামদ’ বলা : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “ইমাম যখন রুকু থেকে উঠে বলে ‘সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ’ তখন তোমরা বলো ‘আল্লাহুম্মা রব্বানা লাকাল হামদ’। কারণ যার তাহমিদ ফেরেশতাদের সঙ্গে মিলবে, তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” (বুখারি, হাদিস : ৭৯৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
১। ভাল মুদাব্বির কিভাবে খুজব ? এ বেপারে কোন আইডিয়া নেই , ঢাকায় কোথায় এবং কিভাবে খুজব ?

৪।  উস্তাদয আমার আম্মুর ভাতিজা গত ৫-৬ বছর আগে মার্ডার হন , উনাকে নিসসঙ্গ ভাবে হত্যা করা হয় , উনি মৃত । উনাকে নিয়ে কোন কিছু ভাবি নাই গত ১ বছরে বা তার বেশি কিন্তু এ সপ্ন তে তাকে দেখার সাথে কোন সম্পর্ক পাচ্ছি না , ভয় ও পেয়েছি ।দয়া করে প্রশ্নটি আরেকবার একটু রিভিউ করলে ভাল হয় , ভয় পাচ্ছি একটু । 

৬।  কবিরা গুনাহ এর জন্য তাওবাহ এর পাশাপাশি আর কি কি আমল করা যেতে পারে ?
by (6 points)
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ উস্তাদয,সকল প্রশ্নের উত্তর সময় নিয়ে দিয়েছেন  ,আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন ।  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...