আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)

একবার মাসিক ভালো হয়ে সহবাসের পর একিদিনে রাতের বেলা ১২ টার কিছু আগে আমার স্বামী প্রচণ্ড রাগের মাথায় আমার শ্বশুরের সামনে বলে-"ওর সাথে আর সংসার করবো না, ওর বাবারে ডাকো জানাও ওরে নিয়া যাইতে বল", আমার শ্বশুর বকা দিয়ে বুঝানোর পর আমিও বলার পর উনি আমাকে বলে- "আমার কথা শুনবা? আমি যা বলমু তাই, আমার কথামত চলতে পারলে থাকবা" , এরপর রাত ১২ টার পরে সে আমার সাথে রাগ করে থাকে, ঠিকমত কথা বলে না, আমি জিজ্ঞেস করি যে তার বাবার সামনে বলা কথাগুলো মন থেকে বলে নাই তো, উওরে কয়েকবার বলে যে যা বলসে মন থেকেই বলসে নাকি, আবার বলে- "আমারে ডিভোর্স দিয়ে দাও তুমি, তোমার বাসায় গিয়া কয়দিন থাক তাদের সাথে বুঝো, ডিসিশন নাও তারপর", এরপরও আমি অনেক কিছু বললেও উনি রাগ ভাঙে না, কিছুক্ষণ পর শুয়ে মোবাইল চালাতে থাকে আর মোবাইলের স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে নিজে নিজেই বলতে থাকে- "তালাক তালাক তালাক তালাকের নাম নেয়া হইসে না, তো একটা সময় তালাক হইয়াই যাইবো দেখবা, আমি যেটা কই ঐটা ফইল্লাই যায়", তারপর সকালে আমি অনেক চেষ্টা করি মানানোর, কিন্তু উনি রাগ করেই থাকে এবং আগের মতই ভাব করে যেন উনি রাগ ভাঙবে না এমনি থাকবে, আমাকে সময় নিয়ে আমার ডিসিশন নিতে বলে। আমি আবার মানানোর চেষ্টা করি এবং এবার সে রাগ ভাঙে আর বলে আমি কেন উনার কথা শুনি নাই তর্কে গেলাম তাই এমন করেছে, আমি জিজ্ঞেস করি তাহলে "মন থেকে বলসি" এমন বলার কারণ কি, বলে আমাকে কষ্ট দিতে নাকি এসব বলেছে। আমি এরপর জিজ্ঞেস করি যে তাহলে সংসার করবে নাকি আমার সাথে, উওরে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ে।

ঐদিন-ই আমি চিন্তিত হয়ে সার্চ করতে গিয়ে আহমাদুল্লাহ হুজুরের ওয়াজে দেখি কেনায়ামূলক শব্দ দ্বারা নাকি তালাক হয়ে যায়। আমি আমার স্বামীকে বললে উনিও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে যান উনার কথাগুলোর জন্য এবং অনুতপ্ত হন। মৌখিকভাবে বলার মাধ্যমে তালাক হয়ে যায় এমন কিছুই উনি জানতেন না, এমনকি ইসলামে তালাকের বিধান সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ ছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে উনাকে জানাই আমি এসব।

আমি এই বিষয় নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ভুগি, কিছুদিন আগেও জিজ্ঞেস করি উনাকে উনার নিয়ত সম্বন্ধে, উনি বলেন- "রাগে মুখে যা আসছে বলসি, চিন্তা ভাবনা করে বলি নাই কিছুই, আর নিয়ত হইল একটা জিনিস নিয়া আগে থেকা চিন্তা করা মনে মনে পুইষ্ষা ঠিক কইরা রাখা কিন্তু আমি তো তোমারে নিয়া এমন ভাবিই নাই কখনও" আমি আবার জিজ্ঞেস করি যে বিবাহিত জীবনে কখনও মনে এমন তালাকের কথা ভাবছে নাকি কিন্তু উনি মানা করেছে আমাকে যে এমন নিয়ত করে নাই / ভাবে নাই কখনও নাকি।

আর আমি উনাকে এটাও জিজ্ঞেস করি যে ঝগড়ার রাতে নিজি নিজেই যখন তালাক হইয়াই যাইবো একটা সময় এমন বলছিল যে তখন এটা বলার সময় ৩ বার তালাক শব্দ বলে এরপর পর ই এটা বলছিল কেন, কিন্তু উনি বলে যে হয়ত এটা বলসি যে দেখবা ভবিষ্যতে হইয়া যাইবো তালাক কিন্তু ৩ বার আগে কেন বলতে যামু আমি, এমন কিছু বলি নাই আমার যতটুক মনে পড়ে।

আমাদের মাঝে কি কোনো ধরনের তালাক হয়েছে?

এক হইলে তালাক হয় ই নাই বা হলেও এক তালাক হয়তোবা হয়েছে কিন্তু পরে যেহেতু ঠিক হয়ে গিয়েছিল তাই হলেও তো রুজু হয়ে গেছে- এমন ভাবা / স্বামীর সাথে আলোচনা করার দ্বারা কি তালাক না হয়ে থাকলেও হয়ে যায়?

(বোল্ড করা জায়গাটা সন্দেহ থেকে বলা শিউড়ভাবে বিশ্বাস করেছি মনে এমন না।)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামুআলাইকুম, হুজুর আমি ওয়াস ওয়াসা জনিত কোর্সটি সম্পন্ন করেছি আলহামদুলিল্লাহ। এখন মন থেকে সন্দেহ দুশ্চিন্তা অনেকটা দূর হয়েছে ইনশাআল্লাহ। তারপরও আপনার মতামত ও সুপরামর্শ আশা করছি আমার প্রশ্নের। জাঝাকাল্লাহ।
by (1 point)
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার প্রশ্নের উত্তর দিবেন বলেছিলেন কোর্সটি সম্পন্ন করা হলে, কিন্তু এখনও উত্তর দিলেন না তাই আবার কমেন্ট করেছি। আশা করি সাঁড়া পাব আপনাদের থেকে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...