আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in ওয়াসওয়াসা by (6 points)
এক জায়গায় দেখেছিলাম চারটা প্রশ্ন হয়ে গেলে জরুরী হলে অন্য একাউন্ট থেকে প্রশ্ন করা যাবে, আমার আসলে চারটা প্রশ্ন হয়ে গেছে, তাই জরুরি প্রয়োজনে আমি নতুন আরেকটা অ্যাকাউন্ট খুলেছি, সে একাউন্টে গত মাসে চারটা হয়েছে, এখন তো এক তারিখের পর আবার নতুন মাস, কিন্তু তারপরও হচ্ছেনা, এটা আমার একটা বড় আপুর একাউন্ট, আমি এই মাসে আর প্রশ্ন করব না ইন শা আল্লাহ।


আমার জ্বীন জাদু জনিত লক্ষণ আছে, ওয়াসওয়াসা ও আছে, আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের ওয়াসওয়াসা রিলেটেড ফ্রি কোর্স করেছি, এখন কিছু কনফিউশন আল্লাহ যেন দুর করে দেন তাই প্রশ্ন করছি।উত্তর দিন প্লিজ।


১. সাদাস্রাব নাপাক হওয়ার ব্যাপারে অধিকাংশ আলেমের মতামত কি? সাদা স্রাব কি পাক ধরা যাবে?(ওয়াসওয়াসা+জাদুর লক্ষণ থাকার কারণে)


২. যখন আমার আলহামদুলিল্লাহ ওয়াস ওয়াসা ছিল না আমি লো কমডে/প্যান এ বসেই পানি খরচ করতাম, এখন পারি না, পানির ছিটা লাগে, গোসলের জায়গায় বসে পানি খরচ করতে হয়, এবং কোমর পর্যন্ত ধুতে হয়, এক্ষেত্রে কিভাবে সহজে পানি খরচ করতে পারি?


৩. আমার পানি খরচ করার সময় মনে হয় খরচ করা পানি আবার লজ্জাস্থানে লাগবে,প্রস্রাব করার পর, প্রস্রাবের উপর যদি এক বদনা পানি ঢেলে দেই, তারপর যদি পানি খরচ করি, তাহলে খরচ করা পানি যদি লজ্জাস্থানে লাগে তাহলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?
৪. আমার চর্ম রোগ আছে,আর কাপড় ধুতে গিয়ে আমি বিভিন্ন ওয়াসওয়াসায় পড়ি, আমার কান্না আসে,এতে অনেক সময় লাগে আর আমার অনেক কষ্ট হয়, ইবাদত করতেও সমস্যা হয়, পড়াশুনা ও আছে,তাই আমি আর কাপড় ধুতে চাচ্ছি না,  আমার কাপড়ে তেমন কোন বড় ধরনের নাপাকি লাগে না, সাদা স্রাব ধোয়ার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা লাগে, আবার প্রসাব পায়খানার পর পানি খরচ করার সময় পানির ছিটা লেগে যায়,বা সাদাস্রাব লাগে, অথবা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে কুলি করার সময় কুলির পানি অথবা ছিটা লেগে যায়, আবার অনেক সময় নাপাকি নিয়ে সন্দেহ ও হয়, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের বাসায় কাপড় ধোয়ার লোক আছে, ওনাকে তিনবার ধুতে বললে তিনবার ধুবে ইন শা আল্লাহ, কিন্তু প্রত্যেকবার ভালো করে চিপড়াবে না,আমি অনেক চিপরাই,মাঝে মাঝে আমার হাতের চামড়া উঠে যায়,আমি কি অন্য কাউকে দিয়ে কাপড় ধোয়াতে পারবো?উনি যদি নিজের মত ধুয়ে নেয় তাহলে ধোয়ানোর পর যদি নাপাকীর আলামত না থাকে, তাহলে সেই কাপড় দিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে?


৫.আমি দুইটা পায়জামা ধুয়ে দড়িতে নাড়ার জন্য দড়িতে রাখতে চাচ্ছিলাম তখন দরজার দিকে লেগে মাকড়সার জাল লেগে যায়, অন্য কোন তেলাপোকার বিষ্ঠা লেগেছে কিনা দেখি নাই, পরে আমার নানু নিয়ে পায়জামা নেরে দিয়েছে তাই আমি দেখতে পারিনি ঠিক করে কি লেগেছে,কাপড় আবার কি ধুতে হবে?


৬.একাধিক নাপাক কাপড় একসাথে ধোয়ার সময় একবার ধুয়ে,চিপ্রে কলের উপর রাখার পর দ্বিতীয়বার ধোয়ার সময় কল না ধুয়ে আবার একই কলের উপর রাখলে এভাবে তিনবার ধুয়ে নিলে কি কাপড় পাক হবে?


৭. রুকাইয়ার ক্ষেত্রে পড়া পানি দিয়ে গোসল করার ক্ষেত্রে আলেমদের দ্বিমত আছে, পড়া পানি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ আলেম কি জায়েজ বলেছে?
৮. অনেক সময় আমার সাদা স্রাব পরিষ্কার করতে করতে অথবা গ্যাস এর কারণে বারবার অজু করতে করতে অনেক সময় লাগে, যদি এমন হয় আবার অজু করতে গেলে নামাজের সময় চলে যাবে, সে ক্ষেত্রে কি নামাজ কাজা পড়বো? নাকি এভাবেই নামাজ পড়ে নিব?


৯. সাদাস্রাবের জন্য লজ্জাস্থানের টিস্যু বা কাপড় ব্যবহার করলে অনেক সময় সেটা খুলে পড়ে যায়, কোথায় কি লেগেছে বুঝা যায় না, টিস্যু বা কাপড় খুলে পড়ে গেলে কাপড় বা শরীর কি নাপাক হয়ে যাবে?


১০. অনেক সময় আমার এশার ওয়াক্তে অনেক বার ওযু ভঙ্গ হয়, ওয়াসওয়াসা থাকায় তাড়াতাড়ি অজু শেষ করতে পারি না,৫ বার ও অজু করতে হয় অনেক সময়,আমি আসলে অজু করে নামাজ শুরু করতে পারি না,অজু করে শেষ করি তারপর ভেঙে যায়,এতে আমার ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়, ঘুমাতে দেরি হলে ফজরে সমস্যা হয়, এক্ষেত্রে আমি কি তায়াম্মুম করে নামাজ পড়বো?


১১. ওয়াসওয়াসা এর নাপাকী জনিত বিষয় গুলো কিভাবে বাদ দিতে পারি?
by (588,060 points)
আমাদের মাশওয়ারা হয়েছে, ওয়াসওয়াসা রোগীরা কোর্স কম্পিলিট করার পর অফিস থেকে একটা কোড দেয়া হবে, সেই কোড পোষ্টে না থাকলে উত্তর দেয়া হবে না। জাযাকুমুল্লাহ।
by (4 points)
কোড কোথায় পাবো?
by (588,060 points)
কোর্স শেষ করার পর অফিস থেকে কোড দেয়া হবে।
by (4 points)
আলহামদুলিল্লাহ শেষ করেছি কিন্তু কোড পাইনি,আপনাদের পেজ গ্রুপে জিজ্ঞেস করেছি,ওনারা জানে না

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(ওয়াসওয়াসা)
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...