আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
90 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته

উস্তাদ, আমি একটা মেসেন্জার  গ্রুপ করেছি প্রায় ১০০ জন বোনদের নিয়ে। তারা প্রতিদিন তাদের নিজেদের কাছে থাকা ইসলামিক বই যা আছে, তা পড়ে আপডেট দিবে, যেন তাদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস হয়ে যায়, ইন শা আল্লাহ্।
কিন্তু আজকে এক বোন আরেকজন বোনকে  বলছেনঃ
একটা বইয়ের ছবি প্রতিদিন ১ পৃষ্ঠা করে তুলে দেওয়ার জন্য, যেন অন্যান্য বোনেরাও ঔ বইটা পড়তে পারবে।
আমি ওনাদের বল্লামঃ বোন এমনটা করা যাবে না, যদি লেখক এবং প্রকাশনীর অনুমতি না থাকে। এটা গুনাহের কাজ।

ওনারা বল্লো: অন্যের তো উপকার হচ্ছে

আমি বল্লাম: লেখক ও প্রকাশনীর হক্ব নষ্ট করা হবে।

ওনারা বল্লো: পরীক্ষার সময় তো একাডেমিক বই এর ছবি নিয়ে পড়ি। এতে তো অন্য বোন আমার উপকার করতেছে।
আমার প্রশ্ন হলোঃ
১) এভাবে সম্পূর্ণ বই লেখক এবং প্রকাশকের অনুমতি ছাড়া কি গ্রুপে ছবি তুলে পাঠাতে পারবো?

২)  এমনটা করলে, এটা কি গুনাহের কাজ হবে?
৩) যদি  গ্রুপের অন্যান্য বোনদের কারোই বইটি কিনার সামর্থ্য না থাকলে তাহলে কি সম্পূর্ন বইয়ের ছবি এভাবে পাঠানো যাবে?
৫) যদি কিছু বোনের সামর্থ থাকে, বাকিদের না থাকে, তাহলেও কি এভাবে সম্পূর্ন বই গ্রুপে ছবি তুলে পাঠানো যাবে? প্রতিদিন ১ পেজ করে।

৪) পরীক্ষার সময় আমরা অনেক সময় একটা বইয়ে অল্প অংশ (১/২/৩ পৃ:) মতো জরুরতে লাগতে পারে একাডেমিক পড়াশোনার জন্য। এতটুকুর জন্যও কি আমাদের বইটা সম্পূর্ণ কিনতে হবে নাকি, আমরা পিডিএফ দেখেই পড়তে পারব?
৫) যে-কোনো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশের যেমন, ১ পৃষ্ঠা বা অর্ধেক পৃষ্ঠার ছবি কি আমরা ফেসবুকে পোস্ট করতে পারব?
৬) কোনো একটা এসাইনমেন্ট করার জন্য ৩/৪ টা বই প্রয়োজন হতে পারে, এক্ষেত্রে প্রতি সেমিস্টারে আমার ভার্সিটিতে ৪ সাবজেক্টের জন্য ১২/১৩ টার মতো বইয়ের সাহায্য লাগতে পারে। (সম্পূর্ন বই না)।  এক্ষেত্রে আমি কি এ বই গুলোর পিডিএফ পড়তে পারব? এ বইগুলো কিনার সামর্থ নেই আমার। আবার অনেক সময় লাইব্রেরি থেকে বই পেলেও তা এসাইনমেন্টের জন্য সংগ্রহ করে নেই। (টাকার বিনিময়ে বই ভাড়া নেওয়ার মতো কিছুটা)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবিস্কার এবং প্রকাশনা সত্ত্বের ক্রয়-বিক্রয়
আবিস্কার সত্ত্ব এমন একটি সত্ত্বকে বলা হয়, যা প্রচলিত নিয়মানুসারে কিংবা আইনগত দিক দিয়ে ওই ব্যক্তির অনুকূলে থাকে,যে ব্যক্তি নতুন কোনো জিনিষ আবিস্কার করেছে বা কোনো জিনিষের নতুন আকৃতি বা রূপ দান করেছে।আর আবিস্কার সত্ত্বের অর্থ হল,এককভাবে ওই ব্যক্তির জন্যই নিজের আবিস্কৃত জিনিষ বানানোর এবং বাজারজাত করার অধিকার থাকবে।আবার কোনো কোনো সময় আবিস্কারক তার আবিস্কার সত্ত্ব অন্য কারো কাছে বিক্রয় করে দিয়ে থাকে।আর সত্ত্ব ক্রয়কারী তখন আবিস্কারকের মত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ওই জিনিষ প্রস্তুত করে থাকে।এমনিভাবে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো কিতাব, বই লিখে কিংবা সংকলন করে, তাহলে ওই কিতাব-বই, প্রকাশ-প্রচার ব্যবসায়িক ভিত্তিতে বাজারজাত করার অধিকার লেখক বা সংখকলকের জন্য সংরক্ষিত থাকে।আবার কোনো কোনো সময় কিতাবের লেখক ওই সত্ত্ব অন্যের কাছে বিক্রয় করে দিয়ে থাকে।আর ওই সময় ক্রেতা এই কিতাবের প্রকাশ-প্রচার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার সত্ত্বাধিকারী হয়ে যায়।যে অধিকার পূর্বে লেখকের ছিল,সেই অধিকার চলে আসে ক্রেতার নিয়ন্ত্রণে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1197

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্বত্ব সংরক্ষিত কোনো বইয়ের সকল পৃষ্টাকে লেখন/প্রকাশকের অনুমতি ব্যতি এভাবে ছবি তুলে গ্রুপে পাঠানো যাবে না।

(২)  এমনটা করলে, লেখক/প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে বা যতজন পড়বেন, সেই সংখ্যানুসারে বইয়ের টাকা তাদেরকে পাঠিয়ে দিতে হবে।নতুবা হক নষ্টের গুনাহ হবে।
(৩) যদি  গ্রুপের অন্যান্য বোনদের কারোই বইটি কিনার সামর্থ্য না থাকে, তাহলে সম্পূর্ন বইয়ের ছবি এভাবে পাঠানো যাবে, তবে তাদের সবাইকে এ নিয়ত রাখতে হবে যে, যখনই সামর্থ্য হবে, তখন বইয়ের টাকা তার লিখক/প্রকাশক এর নিকট পাঠিয়ে দিবে।

(৫) যদি কিছু বোনের সামর্থ্য থাকে,তাহলে তারা অতিসত্বর বইয়ের টাকা মালিকের নিকট পাঠিয়ে দিবে যদি তারা বইটি পড়ে। 

(৪) পরীক্ষার জন্যও বইটি ক্রয় করতে হবে।পিডিএফ পড়া যাবে না।

(৫) যে-কোনো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ যেমন,১ম পৃষ্ঠা বা অর্ধেক পৃষ্ঠার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করা যেতে পারে। কেননা এদ্বারা বইটির প্রচারই বরং হবে।হক নষ্ট হবে না।

(৬) সামর্থ্য না থাকে পরবর্তীতে টাকা পরিশোধ করবেন,সেই নিয়ত রেখে আপাতত পিডিএফ পড়তে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...