আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
77 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
السلام عليكم ورحمة الله
১)আমি এ মাসে ১১তারিখ পর্যন্ত টিউশন করিয়েছি।।তারপর বাড়িতে চলে গেছি।মাঝখানে কোরবানের বন্ধ + মাদ্রাসার বন্ধ সব মিলিয়ে ১৫ দিন মতো বন্ধ হয়ে গেছে। ওদের মাদ্রাসা খুলছে 25 তারিখ( মঙ্গলবার)। আমি বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে আসছি।শনিবার(২৯তারিখ) থেকে আবার পড়াইছি।বন্ধের ব্যাপার হচ্ছে আমি যখন আসবো বাড়ি থেকে তখন থেকে পড়াবো।এতে উনাদের কোনো দ্বিমত নেই।

আজকে স্যালারি দিছে।ফুল দিছে।এখন আমি বুঝতেছি না ফুল নেয়াটা কি ঠিক হবে কিনা।।

২)জুমার দিন গোসল করা সুন্নত না ফরজ না মুস্তাহাব। এটার সঠিক উত্তর কি পড়াচ্ছিলাম স্টুডেন্টকে।সে ৮/৯ বছর(ছেলে) জিজ্ঞেস করতেছে গোসল আবার ফরজ হয় কখন?বইয়ে নাই বলে এড়িয়ে যেতে চাইছি সে বলে আপনি কি জানেন না?

এই বছরের বাচ্চাকে মুকাল্লাফ কখন হয় আর এ-ই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কোনো টেকনিক আছে? বা এখন কি এসব জানানোর সময়?

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/52643/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

আল্লাহর রাসূল সা. বলেন, তোমরা পরস্পর হাদিয়ার আদান-প্রদান করো, তাহলে মহাব্বত বৃদ্ধি পাবে। (ইমাম বুখারী রচিত আদাবুল মুফরাদ, হা/৫৯৪)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, তারা যদি খুশি হয়ে তোমাদেরকে দিয়ে দেয়, তাহলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ করো। (সূরা নিসা আয়াত নং ০৪)


রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

مَنْ أَتَى إِلَيْكُمْ مَعْرُوفًا فَكَافِئُوهُ، فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَادْعُوا لَهُ، حَتَّى يَعْلَمَ أَنْ قَدْ كَافَأْتُمُوهُ.

তোমাদের প্রতি যে ব্যক্তি কোনো ভালো আচরণ করে তোমরা তার প্রতিদান দাও। যদি দেয়ার মতো কিছু না পাও তাহলে তার জন্যে দুআ করো, যাতে সে বুঝতে পরে- তোমরা তার প্রতিদান দিয়েছ। -আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদীস ২১৬


হাদিস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. তিনি যেহেতু নিজের থেকেই সন্তুষ্টচিত্তে পুরো বেতন দিয়ে দিয়েছেন তাই তা নেওয়া আপনার জন্য নেওয়া জায়েজ আছে। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনি উত্তম মনে করলে অর্ধেক মাসের বেতন ফেরতও দিতে পারেন।

২. ছেলে সন্তানরা সাধারণত ১২/১৩ বছরের দিকে বালেগ হয়। সে যেহেতু এখনো ছোট। তাই তাকে এভাবে বলা যেতে পারে যে, তুমি এখনো ছোট। একটু বড় হলে বুঝতে পারবে। এখন বললে বুঝতে পারবে না। এই বলে এড়িয়ে যাওয়া। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...