আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
84 views
in সালাত(Prayer) by (33 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,

মুহতারাম,

ঘুমের কারণে ফজর নামাজ ওয়াক্তমত সূর্য ওঠার আগে আদায় করতে পারিনি। সূর্য উদিত হওয়ার পর ঘুম থেকে উঠে কেবলমাত্র অলসতার কারণে কিংবা কোনো কাজে ব্যাস্ততার কারণে সুন্নতসহ ফজরের ফরয নামাযের কাযা জোহরের ওয়াক্ত হওয়ার আগে আদায় না করে বরং জোহরের ওয়াক্ত হওয়ার পর জোহরের নামাজের পূর্বে বা পরে কেবল ফজরের ফরয নামাযের কাযা আদায় করলে কি গুনাহ হবে?

উল্লেখ্য, আমার উমরী কাযা নামায আদায় বাকি আছে।

1 Answer

+1 vote
by (546,690 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ الْبُنَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ الأَنْصَارِيِّ، حَدَّثَنَا أَبُو قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم كَانَ فِي سَفَرٍ لَهُ فَمَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَمِلْتُ مَعَهُ فَقَالَ " انْظُرْ " . فَقُلْتُ هَذَا رَاكِبٌ هَذَانِ رَاكِبَانِ هَؤُلَاءِ ثَلَاثَةٌ حَتَّى صِرْنَا سَبْعَةً . فَقَالَ " احْفَظُوا عَلَيْنَا صَلَاتَنَا " . يَعْنِي صَلَاةَ الْفَجْرِ فَضُرِبَ عَلَى آذَانِهِمْ فَمَا أَيْقَظَهُمْ إِلَّا حَرُّ الشَّمْسِ فَقَامُوا فَسَارُوا هُنَيَّةً ثُمَّ نَزَلُوا فَتَوَضَّئُوا وَأَذَّنَ بِلَالٌ فَصَلَّوْا رَكْعَتَىِ الْفَجْرِ ثُمَّ صَلَّوُا الْفَجْرَ وَرَكِبُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ قَدْ فَرَّطْنَا فِي صَلَاتِنَا . فَقَالَ النَّبِيُّ صلي الله عليه وسلم " إِنَّهُ لَا تَفْرِيطَ فِي النَّوْمِ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ فَإِذَا سَهَا أَحَدُكُمْ عَنْ صَلَاةٍ فَلْيُصَلِّهَا حِينَ يَذْكُرُهَا وَمِنَ الْغَدِ لِلْوَقْتِ "

আবূ ক্বাতাদাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক সফরে ছিলেন। সে সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিকে মনোনিবেশ করলে আমিও তাঁর সাথে মনোনিবেশ করি। তিনি বললেনঃ লক্ষ্য রাখ। আমি বললাম, এই একজন যাত্রী, এই দু’জন যাত্রী, এই তিনজন যাত্রী। এভাবে আমরা সাতজন হয়ে গেলাম। তিনি বললেনঃ তোমরা আমাদের ফজর সলাতের ব্যাপারে সজাগ থাক। কিন্তু তাদের সবার কান বন্ধ হয়ে গেল (সকলেই ঘুমিয়ে পড়লেন) এবং গায়ে সূর্যতাপ না লাগা পর্যন্ত তারা ঘুম হতে জাগতে পারলেন না। অতঃপর ঘুম থেকে জেগে কিছু দূর সফর করে তারা (এক স্থানে) অবতরণ করে অযু করলেন।

বিলাল (রাঃ) আযান দিলে সবাই প্রথমে ফজরের দু’ রাক‘আত সুন্নাত, অতঃপর ফরয সলাত আদায় করে সওয়ারীতে আরোহণ করলেন। তারপর পরস্পর বলাবলি করতে লাগলেন, আমরা (নির্ধারিত সময়ে) সলাত আদায়ে অবহেলা করেছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ঘুমের কারণে গাফলতি হলে দোষ নেই। কিন্তু জাগ্রতবস্থায় গাফিলতি করা অন্যায়। তোমাদের কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হলেই সলাত আদায় করে নেয়। আর পরবর্তী দিন যেন নির্ধারিত সময়ে সলাত আদায় করে (অর্থাৎ সলাত ক্বাযা করা যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়)।

(মুসলিম (অধ্যায়ঃ মাসাজিদ, অনুঃ ছুটে যাওয়া সালাতের ক্বাযা), আবু দাউদ ৪৩৭, মুসনাদে আহমাদ (৫/২৯৮), ইবনু খুযাইমাহ (৪১০)

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ الْعَنْبَرِيُّ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، - وَهُوَ الطَّيَالِسِيُّ - حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ، - يَعْنِي ابْنَ الْمُغِيرَةِ - عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ رَبَاحٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ فِي النَّوْمِ تَفْرِيطٌ إِنَّمَا التَّفْرِيطُ فِي الْيَقَظَةِ أَنْ تُؤَخَّرَ صَلَاةٌ حَتَّى يَدْخُلَ وَقْتُ أُخْرَى "


আবূ ক্বাতাদাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘুমের কারণে সলাতের গাফলতি হলে দোষ নেই। কিন্তু জাগ্রতবস্থায় গাফিলতি করে বিলম্বে সলাত আদায় করা অন্যায়, এতে করে আরেক সলাতের ওয়াক্ত এসে যায়।
(আবু দাউদ ৪৪১)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ نَسِيَ صَلَاةً فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا لَا كَفَّارَةَ لَهَا إِلَّا ذَلِكَ "

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ সলাত আদায় করতে ভুলে গেলে যেন স্মরণ হওয়া মাত্রই তা আদায় করে নেয়। এটাই তার সলাতের কাফফারা।
(আবু দাউদ ৪৪২)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার জন্য করনীয় ছিলো জাগ্রত হওয়া মাত্র ফজরের নামাজের কাজা আদায় করা।

এক্ষেত্রে আপনি যেহেতু কাজা আদায়ে ইচ্ছাকৃতভাবে অনেক দেড়ি করে ফেলেছেন,সুতরাং এর দরুন আপনার গুনাহ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (51 points)
মাশাআল্লাহ, হযরত, সুন্দর উত্তর দিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে মানুষের বেশি জিজ্ঞাসা থাকে হলো যে, ফজরের কাযা আদায়ের সময় সুন্নত পড়বো নাকি পড়বো না?

আমার বুঝমতে, এখানে মূল বিষয়টা হলো যে, ঘুমের কারণে ফজরের নামাজ পড়তে না পারলে, যখনই ঘুম ভাঙবে, তখনই সুন্নতসহ ফজরের নামাজ কাযা পড়তে হবে (যদি তখন নামাজের নিষিদ্ধ সূর্যোদয়ের সময় না হয়)।

এতদসত্ত্বেও কেউ যদি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতেই না পারে অথবা গুনাহ হওয়া সত্ত্বেও সকালে ফজরের নামায না পড়ে জোহরের সময় গিয়ে পড়ে, তখন গিয়ে সুন্নত বাদে কেবল ফজরের ফরয নামায কাযা পড়বে।
by (546,690 points)
যেদিন ফজরের নামাজ কাজা হলো,সেদিন যদি জোহরের ওয়াক্ত আসার আগেই ফজরের কাজা আদায় করেন,সেক্ষেত্রে ফজরের ফরজ নামাজের কাজার পাশাপাশি সুন্নাতও আদায় করতে হবে।

আর যদি জোহরের ওয়াক্ত আসার পর বা অন্য কোনো দিন যদি সেই ফজরের কাজা আদায় করা হয়,সেক্ষেত্রে সুন্নাতের কাজা আদায় করতে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...