আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম, আমার একবান্ধবী তার বাবার বাসায় গেছে। কিন্তু সে 15দিনের বেশি থাকবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। মানে 15দিনের বেশিও থাকতে পারে আবার 15দিনের আগেই শশুড়বাড়ি ফিরত যেতে পারে। এখন তার প্রশ্ন হচ্ছে এক্ষেত্রে সে 15দিন হওয়ার আগ পর্যন্ত কসর পড়বে কিনা। জাযাকাল্লাহু খায়ের

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/26191/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

মানুষ কখন মুসাফির হয় আবার কখন মুক্বিম হয় সেটা বুঝার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে কিছু ফেকহী মূলনীতি বুঝতে হবে,,,,,,

والوطن الأصلي هو الذي ولد فيه" الإنسان "أو تزوج" فيه "أو لم يتزوج" ولم يولد فيه "و" لكن "قصد التعيش لا الارتحال عنه ووطن الإقامة موضع" صالح لها على ما قدمناه وقد "نوى الإقامة فيه نصف شهر فما فوقه"

ওয়াতনে আসলীঃ ঐ স্থান যেখানে মানুষ জন্মগ্রহণ করেছে,অথবা বিয়ে করেছে (সাথে বসবাসেরও নিয়ত করেছে) অথবা জন্মগ্রহণ ও করেনি এবং বিয়ে ও করেনি তবে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের দৃঢ়তর  ইচ্ছা পোষণ করেছে, সেখান থেকে সে অন্য কোথা যাবে না। এমন স্থানকে ওয়াতানে আসলী বলে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/107


https://ifatwa.info/10855/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-

أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ

সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে। (তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব। (তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।

(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)

বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1281


তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন। তাই বর্তমানে কেউ ৭৭ কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429


মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে পড়তে হয়। অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে। দুই রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে কোনো কসর নেই।


তবে সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়, তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ করা যাবে না। বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ। সময় সুযোগ না থাকলে অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫১৭) তবে পড়ে নেয়াটা-ই উত্তম। কেননা বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরের সময় সুন্নাত পড়েছেন। (তিরমিযি-১/৭২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি সফরের দূরত্বে হয় হয় তাহলে কসরের নামাজ পড়বে। তবে যখন ১৫ দিনের বেশী থাকার ইচ্ছা পূষণ করবে তখন থেকে মুকীম হয়ে যাবে।


কসরের সালাত: ফজর- দুই রাকাত সুন্নাত ও দুই রাকাত ফরজ। জহর: দুই রাকাত ফরজ। আসর: দুই রাকাত ফরজ। মাগরীব: তিন রাকাত ফরজ

এশা: দুই রাকাত ফরজ ও তিন রাকাত বিতর।

উল্লেখ্য যে, সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়, তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ করা ঠিক নয়। বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ। আর সময় সুযোগ না থাকলে অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...