ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া
রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/26191/
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
মানুষ কখন মুসাফির হয় আবার কখন মুক্বিম
হয় সেটা বুঝার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে কিছু ফেকহী মূলনীতি বুঝতে হবে,,,,,,
والوطن
الأصلي هو الذي ولد فيه" الإنسان "أو تزوج" فيه "أو لم
يتزوج" ولم يولد فيه "و" لكن "قصد التعيش لا الارتحال عنه
ووطن الإقامة موضع" صالح لها على ما قدمناه وقد "نوى الإقامة فيه نصف
شهر فما فوقه"
ওয়াতনে আসলীঃ ঐ স্থান যেখানে মানুষ
জন্মগ্রহণ করেছে,অথবা বিয়ে করেছে (সাথে বসবাসেরও নিয়ত করেছে) অথবা জন্মগ্রহণ
ও করেনি এবং বিয়ে ও করেনি তবে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের দৃঢ়তর ইচ্ছা পোষণ করেছে, সেখান থেকে সে
অন্য কোথা যাবে না। এমন স্থানকে ওয়াতানে আসলী বলে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক
করুন- https://www.ifatwa.info/107
https://ifatwa.info/10855/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের
অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে। যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ
تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي
التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের
বিধি-বিধানে পরিবর্তন আসে। (তথা মানুষ মুসাফির
হয়)তিন দিনের দূরত্ব। (তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।
(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮)
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1281
তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম
৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন। তাই বর্তমানে কেউ ৭৭ কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী
মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429
মুসাফিরের নামায কসর/অর্ধেক করে
পড়তে হয়। অর্থাৎ চার রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে দু রা'কাত পড়তে হবে। দুই রা'কাত বিশিষ্ট
নামাযে দুই রা'কাত পড়তে হবে এবং তিন রা'কাত বিশিষ্ট নামাযে
কোনো কসর নেই।
তবে সুন্নাত নামায সমূহে কসরের বিধান
প্রযোজ্য নয়, তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ
করা যাবে না। বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ। সময় সুযোগ না থাকলে
অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫১৭) তবে পড়ে
নেয়াটা-ই উত্তম। কেননা বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ সফরের সময় সুন্নাত পড়েছেন। (তিরমিযি-১/৭২)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
জ্বী হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে যদি সফরের দূরত্বে হয় হয় তাহলে কসরের নামাজ পড়বে। তবে যখন ১৫ দিনের বেশী
থাকার ইচ্ছা পূষণ করবে তখন থেকে মুকীম হয়ে যাবে।
কসরের সালাত: ফজর- দুই রাকাত সুন্নাত
ও দুই রাকাত ফরজ। জহর: দুই রাকাত ফরজ। আসর: দুই রাকাত ফরজ। মাগরীব: তিন রাকাত ফরজ
এশা: দুই রাকাত ফরজ ও তিন রাকাত
বিতর।
উল্লেখ্য যে, সুন্নাত নামায
সমূহে কসরের বিধান প্রযোজ্য নয়,
তথা পড়লে সম্পূর্ণই পড়তে হবে এবং সাধারণত সুন্নাতকে তরক/পরিত্যাগ
করা ঠিক নয়। বরং সময় থাকলে সুন্নাত নামায সমূহকে পড়ে নেয়া উচিৎ। আর সময় সুযোগ না থাকলে
অবশ্য সুন্নাত-কে পরিত্যাগ করার রুখসত রয়েছে।