আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
116 views
in সালাত(Prayer) by (20 points)
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته أستاذ


আমরা ফেনী বসবাস করি, আমার ভাইয়া ssc'র পর পরই(২০১৭' মাঝামাঝি সময় থেকে) ঢাকায় কলেজ-ভার্সিটির পড়াশোনা শেষে গত বছর থেকে জব শুরু করে,(কলেজে থাকা সময় ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়েছিলো) কিন্তু আম্মু আসা-যাওয়া করতো এমনভাবে-১৫দিনের বেশি থাকতো না! -এতে কসর আদায় করবে না মুক্বীমের বিধানে পড়বে?

ভাইয়ার কলেজ শেষে বাসা ভাড়া ছেড়ে দিয়ে মেসে থাকা শুরু করে, এর মাঝে আমিও ঢাকায় আসি ২০১৯ এর মাঝামাঝি কলেজের জন্য, এর মাঝে আমিও মেসেই থাকতাম, (bachelor system)


সমস্যা লাগছে আমি ভার্সিটি উঠার পর থেকে এবং ভাইয়া জব শুরুর পর থেকে, আম্মু গেলো বছর(২০২৩) বাসা ভাড়া নেয় দুই ভাইয়ের জন্যই, একপ্রকার family system বাসা, আম্মু প্রায় সপ্তাহ-১৫দিন পর এসে ১৫দিনের বেশি থাকে না,

এখানেও একই প্রশ্ন,

যেহেতু ঢাকায় বাসা নিয়েছে,কিন্তু ভিটে-মাটি নেই কিছুই( একমাত্র ফেনী ছাড়া), তবে মাথার উপরে ছাঁদ থাকার দরুন আম্মুসহ আমার family'র প্রতিটা সদস্য কি মুক্বীম হবে না?


মাস'আলাটা বিস্তারিত জানানোর অনুরোধ উস্তাদ,


جزاك الله خيرا

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ওয়াতনে আসলি তথা স্থায়ী নিবাস বলে এমন স্থানকে-“যেখানে ব্যক্তির বসবাসের জন্য স্থায়ী গৃহ থাকে, স্ত্রী সন্তান নিয়ে যেখানে সর্বদার জন্য থাকার নিবাস হয়”।

فى رد المحتار- (الوطن الاصلى يبطل بمثله) ( قوله إذا لم يبق له بالأول أهل ) أي وإن بقي له فيه عقار قال في النهر : ولو نقل أهله ومتاعه وله دور في البلد لا تبقى وطنا له وقيل تبقى كذا في المحيط وغيره (رد المحتار-كتاب الصلاة، باب صلاة المسافر، مطلب في الوطن الأصلي ووطن الإقامة-2/614)

সারমর্মঃ ওয়াতনে আসলী, ওয়াতনে আসলিত দ্বারা বাতিল হয়ে যায়। ওয়াতনে আসলিতে যদি স্থায়ী আর না থাকার নিয়ত করে,এবং  পরিবার সামানা যদি সেখানে আর না থাকে,তাহলে সেটা আর ওয়াতনে আসলি থাকবেনা। 
অন্যথায় সেটা ওয়াতনে আসলি হিসেবেই থাকবে।  

আরো জানুনঃ

সফরের দুরত্বে তবে,সেখানে যদি ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি থাকার নিয়ত করে,তাহলে সেই স্থান ওয়াতনে ইকামত বলা হবে।
সেখানে পূর্ণ নামাজই আদায় করতে হবে।   

https://ifatwa.info/36976/ ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছেঃ
আয়েশা রাযি. বলেন,

فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ


মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)

অপর হাদিসে এসেছে,

عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার ও আপনার ভাইয়ার ও আপনার আম্মুর সকলের ওয়াতনে আসলি ফেনী।

আপনাদের কাহারোই ঢাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে স্থায়ী ভাবে বসবাসের নিয়ত নেই,বরং আপনাদের স্থায়ী বাসা ফেনীতেই রয়েছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত (১.২) উভয় ছুরতেই আপনার আম্মু সহ ফ্যামিলির যেকোন সদস্য ঢাকাতে গিয়ে সেই বাসায় ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেখানে কসর নামাজ আদায় করবে।

ঢাকায় ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে আপনার family'র কোনো সদস্যই মুক্বীম হবে না। শরয়ী দৃষ্টিকোন থেকে সকলেই মুসাফির হিসেবেই থাকবে।

হ্যাঁ ১৫ দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন থাকার নিয়ত করলে সেক্ষেত্রে সেখানে পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবে।
সেক্ষেত্রে তারা আর মুসাফির বলে গন্য হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (20 points)
উস্তাদ, এক্ষেত্রে আমার এবং আমার ভাইয়ের উপর কি কসরের বিধান আসবে ১৫ দিনের কম নিয়ত করলে? অনেক সময় ছুটির মৌসুমে এমন হয়, তবে থাকা ঢাকাতেই হয়(পড়াশোনা এবং জবের সুবাদে)
by (559,140 points)
ঢাকাতে ১৫ দিনের কম থাকার নিয়ত করলে সেক্ষেত্রে সেখানে কসর আদায় করবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...