আমার প্রশ্ন হল এই তালাক কি সঠিকভাবে হয়েছে? এবং আমি যে বিয়ে করেছি সেটা কি ইসলাম মতে বৈধ হয়েছে?এখন আমার করনীয় কি?

Question

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বিয়ে হয়েছে ৬ মাস।আমার স্ত্রীর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল কিন্তু তার আগের স্বামী মাদকাসক্ত ছিল বলে তাকে সে ডিভোর্স দিয়েছিল।আমি সবকিছু জেনেশুনেই তাকে বিয়ে করেছি।কিন্তু কিছুদিন আগে আমি জানতে পারি যে আমার স্ত্রীর আগের স্বামীর সাথে যেই কাজীর মাধ্যমে বিয়ে হয়েছিল সেই কাজীর মাধ্যমেই তাকে তালাক দিয়েছে এবং তার আগের স্বামী নাকি তাকে তালাক দিতে চায়নি।সেক্ষেত্রে তার আগের স্বামীকে এবং তার পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর নিয়েছে।তার আগের স্বামী তাকে মুখে তালাক দেয়নি।সে শুধু তার পরিবারের চাপে অনিচ্ছায় কাজীর কাছে ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করে দিয়েছে।স্বাক্ষর করার আগে সে কাজীকে প্রায় সাত থেকে আট দিন ঘুরিয়েছে এরপরে স্বাক্ষর করেছে।তালাকের সময় আমার স্ত্রীকে কাজী শুধু জিজ্ঞেস করেছিল এই তালাকে আপনার মতামত রয়েছে কিনা যদি তালাকে আপনার মতামত থাকে তাহলে এই ডিভোর্স পেপারে আপনি স্বাক্ষর করে দেন।তখন আমার স্ত্রী তাকে বলেছিল যে তার মত রয়েছে এবং সে তখন ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করে দেয়।পরবর্তীতে তার আগের স্বামীর পরিবার থেকে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে চেয়েছিল কিন্তু আমার স্ত্রী তার আগের স্বামীর থেকে কোন কাবিনের টাকা গ্রহণ করেনি। যেহেতু আমার স্ত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে তালাক নোটিশ দিয়েছিল তাই সে সেই কাবিনের টাকা মাফ করে দিয়েছে।পরবর্তীতে তার আগের স্বামী অন্য একজন নারীকে বিয়ে করে সংসার করছে।

এখন আমার প্রশ্ন হল আমার স্ত্রীর এই তালাক কি সঠিকভাবে হয়েছে? এবং আমি যে বিয়ে করেছি সেটা কি ইসলাম মতে বৈধ হয়েছে?এই স্ত্রীর সাথে সংসার করতে কি আমার কোন রকম ধর্মীয় বাধা রয়েছে? এখন আমার করনীয় কি?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আলহামদুলিল্লাহ!

জোরপূর্বক, ব্ল্যাকমেইল করার কারণে স্বামী তালাক দিলে তা পতিত হয়ে যাবে। তবে হত্যার হুমকি এবং তার বাস্তবায়ন প্রায় নিশ্চিত হলে, তখন লিখে তালাক দিলে, সেই তালাক গ্রহণযোগ্য হবে না।তবে মৌখিক তালাক তখনো গ্রহণযোগ্য হবে।

"( وأما ) ( أنواعه ) فالإكراه في أصله على نوعين إما إن كان ملجئا أو غير ملجئ فالإكراه الملجئ هو الإكراه بوعيد تلف النفس أو بوعيد تلف عضو من الأعضاء والإكراه الذي هو غير ملجئ هو الإكراه بالحبس والتقييد" .(35/5)

وفي الفتاوی الشامية:

"وفي البحر: أن المراد الإكراه على التلفظ بالطلاق فلو أكره على أن يكتب طلاق امرأته فكتب لاتطلق لأن الكتابة أقيمت مقام العبارة باعتبار الحاجة ولا حاجة هنا، كذا في الخانية". (236/3ط: سعید')

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/72902

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

যদি আপনার বর্তমান সঙ্গিনীর প্রাক্তন স্বামী জীবন নাশের হুমকির মুখে লিখিত তালাক দেয়, তাহলে সেই গ্রহণযোগ্য হয়নি। নতুবা গ্রহণযোগ্য হবে। তালাক গ্রহণযোগ্য নয়, এমন অবস্থায় নতুন করে তালাক নিয়ে আবার বিয়ে করতে হবে।