আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (55 points)
edited by
১. বন্যার পানিতে যদি অন্য কারো ঘেরের মাছ যদি আমার পুকুরে আসে সে মাছ কি খাওয়া যাবে?

২. এ অবস্থায় যদি কার ঘের থেকে আসছে এটা জানা না যায় তাহলে কি বিধান?

৩. তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোন মহিলা যদি বলে " ২ এ ২ এ চার হয় আর তিন এ তিন এ ছয়" একথা বলার সময় যদি ঐ মহিলার মনে তালাকের চিন্তা চলে আসে তাহলে কি তার উপর কোনো তালাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَکُمۡ بَیۡنَکُمۡ بِالۡبَاطِلِ اِلَّاۤ اَنۡ تَکُوۡنَ تِجَارَۃً عَنۡ تَرَاضٍ مِّنۡکُمۡ ۟ وَ لَا تَقۡتُلُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ بِکُمۡ رَحِیۡمًا ﴿۲۹﴾ 
হে মুমিনগণ! তোমরা একে অপরের সম্পত্তি অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না; কিন্তু তোমরা পরস্পর রাযী হয়ে ব্যবসা করা বৈধ এবং নিজেদেরকে হত্যা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু।
(সুরা নিসা ২৯)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى

আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়।
আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২।

فتاوی ہندیہ:

"نصب شبكةً فتعقل بها صيد فجاء إنسان وأخذه قبل أن يتخلص و يطير، فهو للأول؛ لأنّ سبب الملك انعقد في حق الأول؛ لأنه موضوع له، ولم ينتقض السبب بعد حتى لو أخذه الثاني بعد ما تخلص، وطار فهو للثاني؛ لأنه انتقض السبب قبل أخذ الثاني كذا في الكبرى ولو كان صاحب الشبكة أخذه ثم انفلت منه ثم أخذه آخر فهو ملك للأول لأنه ملكه بالأخذ وانفلاته بمنزلة إباق العبد وشرود البعير وذلك لايوجب زوال ملكه، كذا في محيط السرخسي.

ذكر الحاكم الشهيد - رحمه الله تعالى - في المنتقى رجل هيأ موضعا يخرج منه الماء إلى أرض له ليصيد السمك في أرضه فخرج الماء من ذلك الموضع إلى أرضه بسمك كثير، ثم ذهب الماء وبقي السمك في أرضه، أو لم يذهب الماء إلا أنه قل حتى صار السمك يؤخذ بغير صيد فلا سبيل لأحد على هذا السمك، وهو لرب الأرض، ومن أخذ منه شيئا ضمنه، ولو كان الماء كثيرا لا يقدر على السمك الذي فيه إلا بصيد فمن اصطاد منه شيئا فهو له، كذا في الذخيرة."

(كتاب الصيد، الباب الثاني في بيان ما يملك به الصيد وما لا يملك به، ج:5، ص:418، ط: رشيدية)
সারমর্মঃ-
কোনো ব্যাক্তি একটি স্থান বানিয়েছে,যেখান হতে পানি তার জমিনে বের হয়,তার জমিমে মাছ শিকারের জন্য। অতঃপর পানি অনেক মাছ নিয়ে সেই স্থান থেকে বের হয়ে গিয়েছে,
এমতাবস্থায় সেই মাছ যদি শিকার ছাড়াই ধরা যায়,সেক্ষেত্রে কারো জন্য সেই মাছ গ্রহন জায়েজ হবেনা। এটা জমি ওয়ালারই থাকবে। কেউ সেখান হতে মাছ গ্রহন করে থাকলে সে জামিন হবে। আর যদি পানি বেশি হয়,যে শিকার করা ছাড়া মাছ ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে যে শিকার করবে,মাছ তারই হবে। 

بدائع الصنائع:

"وكذلك الآجام المملوكة في حكم السمك، لأن السمك أيضا مباح الأصل لقوله تعالى - عز شأنه - {أحل لكم صيد البحر وطعامه متاعا لكم} [المائدة: 96] وقوله عليه الصلاة والسلام «أحلت لنا ميتتان ودمان» الحديث فلا يصير مملوكا إلا بالأخذ والاستيلاء لما بينا.

ولو حظر السمك في حظيرة فإن كان مما يمكن أخذه بغير صيد يملكه بنفس الحظر لوجود الاستيلاء وإثبات اليد عليه، ولهذا لو باعه جاز وإن كان لا يمكن أخذه إلا بصيد لا يملكه صاحب الحظيرة؛ لأنه ما استولى عليه ولا يملك المباح إلا بالاستيلاء."

(كتاب الأراضي، أنواع الأراضي وبيان حكم كل نوع منها، ج:6، ص:193، ط: دار الكتب العلمية)

إذا دخل السمك فى حظيرة، فإما أن يعدها لذلك أولا، ففى الأول يملكه وليس لأحد أخذه، ثم إن امكن أخذه بلا حيلة جاز بيعه، لأنه مملوك مقدور التسليم، وإلا لم يجز، لعدم القدرة على التسليم، وفى الثانى لا يملكه، فلا يجوز بيعه لعدم الملك، إلا أن يسد الحظيرة إذا دخل، فحينئذ يملكه، ثم أن أمكن أخذه بلا حيلة جاز بيعه وإلا فلا، وإن لم يعدها لذلك لكنه أخذه وأرسله فيها ملكه (رد المحتار، كتاب البيوع، باب البيع الفاسد، سعيد-5\61)

قال فى الأصل: ومن اصطاد سمكة من نهر جار لرجل لا يقدر على اخذ صيده فهو للذى أخذه (الفتاوى الهندية-5\420)
সারমর্মঃ-
কেহ যদি অন্যের প্রবাহিত নহর থেকে মাছ শিকার করে,যাহা শিকার করা ছাড়া ধরা সম্ভব না হয়,সেক্ষেত্রে যে শিকার করবে,মাছ তারই হবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
সেই মাছ যদি শিকার ছাড়াই ধরা যায়,সেক্ষেত্রে কারো জন্য সেই মাছ গ্রহন জায়েজ হবেনা। এটা মালিকের মালিকানাতেই থাকবে।
কবজা না থাকার দরুন মালিকের মালিকানা থেকে বের হয়ে যায়না।
যে ব্যাক্তি সে মাছ ধরবে,এর দ্বারা তাহা তার মালিকানাতে যাবেনা। বরং মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেয়া আবশ্যক।
কেউ সেখান হতে মাছ গ্রহন করে থাকলে সে জামিন হবে। 

বন্যার কারণে যেসব মাছ ঘেরের সীমানার বাহিরে পুকুরে চলে গেছে। যদি পানি বেশি হয়,যা মালিকপক্ষ নতুন করে শিকার করা ছাড়া ফিরিয়ে আনতে সক্ষম নয়।
সেসব মাছ মালিকের মালিকানা থেকে মুক্ত হয়ে যায়।
 
সেক্ষেত্রে যে শিকার করবে,মাছ তারই হবে। 

সুতরাং এসব মাছ যে কারো জন্য শিকার করা ও খাওয়া জায়েজ আছে। এতে বাধা দেবার শরয়ী কোন ইখতিয়ার বাকি থাকে না।

(০২)
এক নং প্রশ্নের জবাবের ভিত্তিতে এটা যদি ১ম ছুরত হয়,সেক্ষেত্রে সেই মাছ কোনো গরিব মিসকিনকে দিয়ে দিতে হবে।
হ্যাঁ, নিজে খেয়ে ফেললে সেক্ষেত্রে মালিকের ছওয়াবের নিয়তে গরিব মিসকিনকে মাছের সমপরিমাণ মূল্য দান করতে হবে।

আর যদি ২য় ছুরত হয়,সেক্ষেত্রে সেই মাছ খেতে কোনো সমস্যা নেই 

(০৩)
এটা ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্ন।
এ প্রশ্নের জবাব দেয়া হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...