(০১)
শরীয়তের বিধান হলো মহিলাদের হায়েজ অবস্থায় কুরআন শরিফ স্পর্শ করা, তেলাওয়াত করা জায়েজ নেই।
,
হায়েজ,নেফাস,গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় কুরআনে কারীম পড়া হারাম।
তবে যিকির,দোয়া সম্বলিত আয়াত,দ্বীনি কিতাব সমুহ পড়তে কোনো সমস্যা নেই।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১১০)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمر : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئا من القرآن (سنن الترمذى، ابواب الطهارات، باب ما جاء في الجنب والحائض : أنهما لا يقرأن القرآن، رقم الحديث-131
অনুবাদ-হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১,
সুনানে দারেমী, হাদীস নং-৯৯১,
মুসনাদুর রাবী, হাদীস নং-১১,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-১০৯০,
মুসন্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩৮২৩)
فتاوی شامی
" فلو قرأت الفاتحة على وجه الدعاء أو شيئاً من الآيات التي فيها معنى الدعاء ولم ترد القراءة لا بأس به، كما قدمناه عن العيون لأبي الليث، وأن مفهومه أن ما ليس فيه معنى الدعاء كسورة أبي لهب لا يؤثر فيه قصد غير القرآنية".(1/293)
সারমর্মঃ-
যদি সুরা ফাতেহা দোয়ার উদ্দেশ্যে পড়ে,অথবা অন্য কোনো আয়াত পড়ে,যে আয়াতের মধ্যে দোয়ার অর্থ আছে,সেক্ষেত্রে কিরাআত (তিলাওয়াত) উদ্দেশ্য না হয়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তবে যে আয়াতের মধ্যে দোয়ার অর্থ নেই,যেমন সুরা লাহাব,সেক্ষেত্রে কুরআন থেকে তিলাওয়াত না করার উদ্দেশ্যটি প্রতিক্রিয়াশীল হবেনা। {অর্থাৎ সেক্ষেত্রে কুরআন থেকে কিরাআত (তিলাওয়াত) উদ্দেশ্য হিসেবেই ধরা হবে।}
(ফাতাওয়ায়ে শামি ১/২৯৩)
হায়েজ অবস্থায় দোয়ার উদ্দেশ্যে প্রশ্নে উল্লেখিত আয়াত ও দোয়া গুলি পড়া যাবে,বিবাহের বিশেষ আমলগুলো করা যাবে। তবে কিরাআত (তিলাওয়াত) উদ্দেশ্য হলে নাজায়েজ।