আসসালামু আলাইকুম উস্তায!
আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, জানিনা এটা নফসের ধোকার কারনে কিনা শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, প্রশ্নে কোনো ভুল থাকলে।
আমার শ্বশুড়বাড়িতে যৌথ ফ্যামিলি। আমি হাজব্যন্ডের সাথে বাইরে থাকি, একটা বাবু আছে আমার৷ বাড়িতে গেলে যৌথভাবে থাকি৷ সে হিসেবে আমাদের বাড়িতে কুরবানিও যৌথ ভাবে দেয়া হয়। তারা ৪ ভাই, বাবা-মা আছে৷ এক ভাই অবিবাহিত, ৩ ভাই বিবাহিত।
উস্তায এবারে আমরা কুরবানি দিয়েছি, আমার মেজ ভাসুর আর জাওজ হাফ হাফ টাকা দিয়ে গরু কিনেছে৷ বলতে গেলে একটা গরু দুই ভাই ২৫ হাজার করে শেয়ারে ৫০ হাজার দিয়ে কিনে কুরবানি দিয়েছে। এটা কি এক ভাগেই ধরা হবে নাকি দুই ভাগে?
আর দুই ভাগ হয়ে থাকলে আর একটা প্রশ্ন, গোশত তিনভাগ করা হয়েছে। এক ভাগ আত্মীয়, এক ভাগ মিসকিন এক ভাগ নিজেদের। আত্নীয়, মিসকিনদের ঠিকভাবে দেয়া হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন নিজেদের ভাগে আনুমানিক ২০ কেজি মত গোশত হয়েছে। আমরা যেহেতু এবারে ঈদে বাড়িতে যেতে পারিনি তাই কুরবানির সময় উপস্থিত ছিলাম না৷ বাড়িতে মানুষ বেশি বলে বাড়ি থেকে আমাদের জন্য ৪ কেজি গোশত রেখে বাকিগুলো নিজেদের জন্য রেখেছে৷ এতে কি আমাদের সাথে বে ইনসাফি হয়েছে? এক্ষেত্রে আসলে ভাগাভাগি কিভাবে হওয়া উচিৎ ছিল? উস্তায এরকম প্রতি কুরবানিতেই হয়, আমার হাজব্যান্ড কখনও হাফ, কখনও হাফের বেশি টাকা দিয়ে শরীক হয় কিন্তু ভাগাভাগি হয়না। ৩-৪ কেজি গোশত দেয়া হয় আমাদের৷ আমার জাওজ এসব নিয়ে কিছু বলেনা, তারা যা দেবে তাতেই সে সন্তুষ্ট কিন্তু মনে মনে এক্সপেক্টেশন হয়ত থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো, উস্তায এই যে মান বন্টনে হের ফের এটার জন্য কি কষ্ট পাওয়া শোভনীয়? কুরবানি তো আল্লাহর জন্য কিন্তু আমার মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগছে, ইনসাফ হলো কিনা ভেবে। কুরবানির গোশত নিয়ে পরিকল্পনা, বা বিভিন্ন ভাবে খেতে চাওয়ার চাহিদা থাকলে কি কুরবানি কবুল হবে? আর এই ঘটনায় আমার মানসিক অস্বস্তি হচ্ছে, এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?