আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
98 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায!
আমি একটি প্রশ্ন করতে চাই, জানিনা এটা নফসের ধোকার কারনে কিনা শুরুতেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, প্রশ্নে কোনো ভুল থাকলে।
আমার শ্বশুড়বাড়িতে যৌথ ফ্যামিলি। আমি হাজব্যন্ডের সাথে বাইরে থাকি, একটা বাবু আছে আমার৷ বাড়িতে গেলে যৌথভাবে থাকি৷ সে হিসেবে আমাদের বাড়িতে কুরবানিও যৌথ ভাবে দেয়া হয়। তারা ৪ ভাই, বাবা-মা আছে৷ এক ভাই অবিবাহিত, ৩ ভাই বিবাহিত।
উস্তায এবারে আমরা কুরবানি দিয়েছি, আমার মেজ ভাসুর আর জাওজ হাফ হাফ টাকা দিয়ে গরু কিনেছে৷ বলতে গেলে একটা গরু দুই ভাই ২৫ হাজার করে শেয়ারে ৫০ হাজার দিয়ে কিনে কুরবানি দিয়েছে। এটা কি এক ভাগেই ধরা হবে নাকি দুই ভাগে?

আর দুই ভাগ হয়ে থাকলে আর একটা প্রশ্ন, গোশত তিনভাগ করা হয়েছে। এক ভাগ আত্মীয়, এক ভাগ মিসকিন এক ভাগ নিজেদের। আত্নীয়, মিসকিনদের ঠিকভাবে দেয়া হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন নিজেদের ভাগে আনুমানিক ২০ কেজি মত গোশত হয়েছে। আমরা যেহেতু এবারে ঈদে বাড়িতে যেতে পারিনি তাই কুরবানির সময় উপস্থিত ছিলাম না৷ বাড়িতে মানুষ বেশি বলে বাড়ি থেকে আমাদের জন্য ৪ কেজি গোশত রেখে বাকিগুলো নিজেদের জন্য রেখেছে৷ এতে কি আমাদের সাথে বে ইনসাফি হয়েছে? এক্ষেত্রে আসলে ভাগাভাগি কিভাবে হওয়া উচিৎ ছিল? উস্তায এরকম প্রতি কুরবানিতেই হয়, আমার হাজব্যান্ড কখনও হাফ, কখনও হাফের বেশি টাকা দিয়ে শরীক হয় কিন্তু ভাগাভাগি হয়না। ৩-৪ কেজি গোশত দেয়া হয় আমাদের৷ আমার জাওজ এসব নিয়ে কিছু বলেনা, তারা যা দেবে তাতেই সে সন্তুষ্ট কিন্তু মনে মনে এক্সপেক্টেশন হয়ত থাকে।
এখন প্রশ্ন হলো, উস্তায এই যে মান বন্টনে হের ফের এটার জন্য কি কষ্ট পাওয়া শোভনীয়? কুরবানি তো আল্লাহর জন্য কিন্তু আমার মাঝে মাঝে খুব অবাক লাগছে, ইনসাফ হলো কিনা ভেবে। কুরবানির গোশত নিয়ে পরিকল্পনা, বা বিভিন্ন ভাবে খেতে চাওয়ার চাহিদা থাকলে কি কুরবানি কবুল হবে? আর এই ঘটনায় আমার মানসিক অস্বস্তি হচ্ছে, এটা কি শয়তানের ওয়াসওয়াসা?

1 Answer

0 votes
by (573,480 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
কুরবানির গোশতকে তিনভাগে ভাগ করা সুন্নত। এক ভাগকে সদকাহ করা হবে। এবং এক ভাগকে আত্নীয় স্বজনদের মধ্যে বন্টন করা হবে বা রান্না করে খাওয়ানো হবে। এবং অবশিষ্ট এক ভাগকে নিজের জন্য রাখা হবে।
(قَوْلُهُ:  وَنُدِبَ إلَخْ) قَالَ فِي الْبَدَائِعِ: وَالْأَفْضَلُ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِالثُّلُثِ وَيَتَّخِذَ الثُّلُثَ ضِيَافَةً لِأَقْرِبَائِهِ وَأَصْدِقَائِهِ وَيَدَّخِرَ الثُّلُثَ؛ وَيُسْتَحَبُّ أَنْ يَأْكُلَ مِنْهَا، وَلَوْ حَبَسَ الْكُلَّ لِنَفْسِهِ جَازَ؛ لِأَنَّ الْقُرْبَةَ فِي الْإِرَاقَةِ وَالتَّصَدُّقِ بِاللَّحْمِ تَطَوُّعٌ. (قَوْلُهُ: وَنُدِبَ تَرْكُهُ) أَيْ تَرْكُ التَّصَدُّقِ الْمَفْهُومِ مِنْ السِّيَاقِ. (قَوْلُهُ: لِذِي عِيَالٍ) غَيْرِ مُوَسَّعِ الْحَالِ بَدَائِعُ."
( كتاب الأضحية، ۶ / ۳۲۸، ط: دار الفكر)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনারা কুরবানির সময় উপস্থিত থাকবেন।অথবা পৃথক বকরি কুরবানি দিবেন।অথবা তাদের বন্টনের উপর সন্তুষ্ট থাকবেন। গোশত বন্টন নিয়ে অযথা চিন্তাভাবনা কখনো কাম্য হতে পারে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...