আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।
কোন এক ইংরেজি বক্তার বক্তব্যে শুনেছে যে হানাফি, মালেকি,হাম্বলি মাযহাবের অধিকাংশ আলেমগন নাকি একইদিনে

ঈদ পালন করতে মত দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকে নাকি এমন একটা সুন্দর সমাধান দিয়েছেন যে যদি কোথাও চাঁদ দেখা যায় তাহলে নাকি

এর পশ্চীমের দেশগুলো সেটা অনুসরণ করবে। যেহেতু পশ্চিমে তারিখ পরে আসে। আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা: এর হাদিস নিয়ে বলেছে শামদেশ ছিল মদিনার পশ্চীমে

(যেখানে আগে চাঁদ দেখা গিয়েছিল)।

এখন এই সমাধানটি কি গ্রহনযোগ্য আলেমগন দিয়েছেন?

1 Answer

0 votes
by (549,210 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

তাবেয়ী কুরাইব ইবনে আবী মুসলিম (৯৮ হি.)-কে উম্মুল ফযল বিনতুল হারিছ কোনো কাজে মুয়াবিয়া রা.-এর কাছে শামে পাঠিয়েছিলেন। তিনি তাঁর কাজ সমাপ্ত করলেন। ইতিমধ্যে শামে রমযানের চাঁদ দেখা গেল এবং জুমার রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) চাঁদ দেখা গেল এবং জুমাবার থেকে রোযা শুরু হল। কুরাইব মাসের শেষের দিকে মদীনায় পৌঁছলেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা., যিনি ছিলেন কুরাইবের মাওলা, কথাপ্রসঙ্গে কুরাইবকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ?’ কুরাইব বললেন, ‘জুমা-রাতে।’ ইবনে আববাস রা. জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি নিজে দেখেছ?’ তিনি বললেন, ‘হাঁ, আমিও দেখেছি, অন্যরাও দেখেছেন। সবাই রোযা রেখেছেন। মুয়াবিয়া রা.-ও (ঐ সময়ের আমীরুল মুমিনীন) রোযা রেখেছেন।’ আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বললেন,

لكنا رأيناه ليلة السبت، فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين، أو نراه

‘কিন্তু আমরা তো শনিবার রাতে (শুক্রবার দিবাগত রাতে) চাঁদ দেখেছি। অতএব আমরা আমাদের হিসাবমত ত্রিশ রোযা পুরা করব, তবে যদি (২৯ তারিখ দিবাগত রাতে) চাঁদ দেখি সেটা আলাদা কথা।’

কুরাইব জিজ্ঞাসা করলেন-

أولا تكتفي برؤية معاوية وصيامه

‘আপনি কি মুয়াবিয়া রা.-এর চাঁদ দেখা ও রোযা রাখাকে যথেষ্ট মনে করবেন না?’

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বললেন-

لا، هكذا أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم

‘না, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এ আদেশই করেছেন।’

(সহীহ মুসলিম ১০৮৭; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৭৮৯; জামে তিরমিযী, হাদীস : ২৩৩২; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস : ৬৯৩; সুনানে নাসায়ী, হাদীস : ২১১১)

বিস্তারিত জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এটা বাংলাদেশ সহ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মতবিরোধ পূর্ণ মাস'আলা সমূহের একটি।

আপনি যে মত উল্লেখ করেছেন,সেটা 
মুতাকাদ্দিমিনে ফুকাহায়ে আহনাফদের মত।

মুতা'আখখিরিন হানাফি ফুকাহায়ে কেরামের মাযহাব হলো,কোনো এক জায়গায় চাদ দেখা গেলে সারা বিশ্বের সবার জন্য ঈদ করা জরুরী নয়।বরং নিজ নিজ এলাকায় যখন চাদ দেখা যাবে,তখন সেখানে ঈদ করা হবে।জাহিরুর রেওয়াতের যে কথা উল্লেখ করা হয় যে,ইমাম আবু হানিফা রাহ বলেছেন,কোনো শহরে চাদ দেখা গেলে সমস্ত শহর এবং এলাকার উপর সেই চাদ দেখার ভিত্তিতে মাস ঠিক করা ও ইবাদত করা ওয়াজিব।সেটা প্রমাণিত নয়।
ইমাম শা'ফেয়ী রাহ এর মাযহাব ও এ সম্পর্কে সংশয় মূলক।উনার মাযহাবের উযুহ তথা মুতা'আখখিরিন উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো এক জায়গায় চাদ দেখা গেলে নিকটবর্তী দূরবর্তী সমস্ত এলাকার জন্য সেই চাদের ভিত্তিতে দিন গণনা শুরু করতে হবে।ঠিক এ এভাবে মালিকী মাযহাব ও হাম্বলী মাযহাবের সিদ্ধান্ত।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...