আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in সাওম (Fasting) by (25 points)
আমার ওয়াইফ আজকে নফল রোজা রেখেছিল। কিন্তু আমাদের চার মাসের বাচ্চা আছে সে বুকের দুধ খায়। এখন রোজা রাখার কারণে দুধ আসতেছিল না, এবং দুধ না পেয়ে বাচ্চা কান্নাকাটি করতেছিল। এজন্য বাচ্চার মা বাবুকে দুধ খাওয়ানোর জন্য রোজা ভেঙে ফেলে। আমি জানতে চাচ্ছিলাম রোজা ভাঙ্গার কারণে কি বাচ্চার মায়ের কি গুনাহ হয়েছে? এটার বিধান কি শরীয়তে? এবং পরবর্তীতে এই নফল রোজার কি কোন কাযা আদায় অথবা কাফফারা দিতে হবে??

আরেকটা বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম সেটা হচ্ছে যে রমজান মাসের ফরজ রোজার ক্ষেত্রে করণীয় কি যদি দুধ খাওয়ার মত ছোট বাচ্চা থাকে?? রমজানের মাসে বাচ্চার মায়ের কি করণীয় সে কি পরবর্তীতে এই রোজাগুলোর কাযা আদায় করবে?? আর তার সাথে কি কাফফরাও দিতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  

ولا تُبْطِلُوا أَعْمَالَكُمْ} [محمد: 33]

তোমরা তোমাদের আমলকে বাতিল করিওনা।

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَوْفُوا بِالْعُقُودِ} [المائدة: 1]

হে ইমানদারগন তোমরা তোমাদের ওয়াদা,চুক্তি সঠিকভাবে সম্পাদন করো,পূরন করো।

يجب القضاء على من قطع النفل – عند الحنفية – سواء أفسده باختياره أو بغير اختياره بأن شرع في صلاة النفل بالتيمم ناسياً الماء في رحله ثم وجده كأن تذكره خلال الصلاة، أو شرع في صوم النفل فصب الماء في حلقه في النوم وجب عليه القضاء وإن لم يوجد منه الإفساد

আবু হানিফা রহঃ এর মাযহাবের বিস্তারিত হলো নফল ইবাদত শুরু করার পর ইচ্ছাপূর্বক হোক আর অনিচ্ছায় তাহা নষ্ট করার দ্বারা সেটা আবার আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। 
 এটি নামাজ রোযা সব ক্ষেত্রেই,,,,,

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে ফেলা আপনার স্ত্রীর জন্য জায়েজ। 
তবে তিনি যেহেতু রোযার নিয়ত করেছিলেন,সুতরাং এমতাবস্থায় পরবর্তীতে উক্ত রোযার কাজা আদায় করা আবশ্যক হবে। 

এক্ষেত্রে কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

(০২)
পরবর্তীতে এই রোজাগুলোর কাযা আদায় করবে।
এক্ষেত্রেও কোনো কাফফারা আদায় করতে হবেনা।

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...